বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
প্রথম টি-টোয়েন্টির ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে বিকেল ৬টায়।
ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার জিতলে প্রথবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের নজির গড়ে টাইগাররা।
গত মে মাসে পাকিস্তানের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন ও মোস্তাফিজের বোলিং তোপে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার পাকিস্তানকে অলআউট করলো বাংলাদেশ। তাসকিন ২২ রানে ৩টি ও মোস্তাফিজ ৬ রানে ২ উইকেট নেন। জবাবে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৭ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
শেরেবাংলার উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটাররা যেখানে সমস্যায় পড়েছে সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সফরকারী বোলারদের সামনে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেছেন ওপেনার পারভেজ। ৩৯ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ ম্যাচের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে চতুর্থ জয় এনে দেন পারভেজ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন জয়ই এসেছে মিরপুরের এই ভেন্যুতে। তাই মিরপুরেই সিরিজ দ্বিতীয় ম্যাচ হওয়ায় জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিকল্পনায় খেলার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস, ‘আমরা অবশ্যই উইকেট সম্পর্কে জানি কারণ মিরপুরে আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি। ব্যাট করার জন্য এই উইকেট সহজ নয়। তবে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, সেটি দুর্দান্ত ছিল।’
আগামীকালের (মঙ্গলবার) ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। কারণ জয় পাওয়া একাদশ নিয়েই খেলতে নামার লক্ষ্য থাকবে স্বাগতিকদের।
সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের।
দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। দলের প্রধান কোচ মাইক হেসন বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালোভাবে করেছিলাম। ফখর জামানের চার-পাঁচটি চমৎকার শটে, আমরা উইকেট সম্পর্কে ভুল ধারণা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছু বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখন হঠাৎ করে বল ঢুকে যেতে লাগল ও বল লাফাতে লাগল তখন আমরা সঠিকভাবে নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারিনি। ঐ সময় ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলা চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত দুবার টানা একাধিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারায় তারা। ২০২২-২৩ সালে জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচের একটি জিততে পারলে নেতৃত্বের অর্জনে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর আরও কাছে চলে যাবেন লিটন। আগের চার সিরিজের দুটিতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। পঞ্চম সিরিজে তৃতীয় সাফল্যের সুযোগ তার সামনে।
সাকিবের নেতৃত্বে ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ৪টি জিতেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ দায়িত্বে বাংলাদেশের জয় ৪ সিরিজে। তবে তার এই সাফল্য ১১ সিরিজে অধিনায়কত্ব করে।
চলতি বছরই সাকিব-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড ছোঁয়া কিংবা ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে লিটনের। অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অক্টোবরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও একটি সিরিজ আয়োজনের আলোচনা করছে বিসিবি।
এসব অর্জন ও রেকর্ডের হাতছানি কাজে লাগাতে প্রয়োজন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা সফরের সাফল্যের ছন্দ ধরে রাখার লক্ষ্য তাদের।
পাকিস্তানকে প্রথম ম্যাচ হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেন ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা পারভেজ হোসেন।
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আমাদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খুব ভালো খেলে এসেছি। সবাই খুব আত্মবিশ্বাসী। চেষ্টা করেছি ওই আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখার। সে মনোভাব নিয়েই আমরা আজ (গত রোববার) নেমেছি।’
সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেও এখন একই আত্মবিশ্বাসের মন্ত্রে হাঁটতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
প্রথম টি-টোয়েন্টির ফাইল ছবি
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে বিকেল ৬টায়।
ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার জিতলে প্রথবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের নজির গড়ে টাইগাররা।
গত মে মাসে পাকিস্তানের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন ও মোস্তাফিজের বোলিং তোপে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার পাকিস্তানকে অলআউট করলো বাংলাদেশ। তাসকিন ২২ রানে ৩টি ও মোস্তাফিজ ৬ রানে ২ উইকেট নেন। জবাবে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৭ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
শেরেবাংলার উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটাররা যেখানে সমস্যায় পড়েছে সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সফরকারী বোলারদের সামনে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেছেন ওপেনার পারভেজ। ৩৯ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ ম্যাচের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে চতুর্থ জয় এনে দেন পারভেজ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন জয়ই এসেছে মিরপুরের এই ভেন্যুতে। তাই মিরপুরেই সিরিজ দ্বিতীয় ম্যাচ হওয়ায় জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিকল্পনায় খেলার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস, ‘আমরা অবশ্যই উইকেট সম্পর্কে জানি কারণ মিরপুরে আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি। ব্যাট করার জন্য এই উইকেট সহজ নয়। তবে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, সেটি দুর্দান্ত ছিল।’
আগামীকালের (মঙ্গলবার) ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। কারণ জয় পাওয়া একাদশ নিয়েই খেলতে নামার লক্ষ্য থাকবে স্বাগতিকদের।
সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের।
দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। দলের প্রধান কোচ মাইক হেসন বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালোভাবে করেছিলাম। ফখর জামানের চার-পাঁচটি চমৎকার শটে, আমরা উইকেট সম্পর্কে ভুল ধারণা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছু বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখন হঠাৎ করে বল ঢুকে যেতে লাগল ও বল লাফাতে লাগল তখন আমরা সঠিকভাবে নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারিনি। ঐ সময় ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলা চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত দুবার টানা একাধিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারায় তারা। ২০২২-২৩ সালে জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচের একটি জিততে পারলে নেতৃত্বের অর্জনে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর আরও কাছে চলে যাবেন লিটন। আগের চার সিরিজের দুটিতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। পঞ্চম সিরিজে তৃতীয় সাফল্যের সুযোগ তার সামনে।
সাকিবের নেতৃত্বে ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ৪টি জিতেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ দায়িত্বে বাংলাদেশের জয় ৪ সিরিজে। তবে তার এই সাফল্য ১১ সিরিজে অধিনায়কত্ব করে।
চলতি বছরই সাকিব-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড ছোঁয়া কিংবা ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে লিটনের। অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অক্টোবরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও একটি সিরিজ আয়োজনের আলোচনা করছে বিসিবি।
এসব অর্জন ও রেকর্ডের হাতছানি কাজে লাগাতে প্রয়োজন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা সফরের সাফল্যের ছন্দ ধরে রাখার লক্ষ্য তাদের।
পাকিস্তানকে প্রথম ম্যাচ হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেন ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা পারভেজ হোসেন।
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আমাদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খুব ভালো খেলে এসেছি। সবাই খুব আত্মবিশ্বাসী। চেষ্টা করেছি ওই আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখার। সে মনোভাব নিয়েই আমরা আজ (গত রোববার) নেমেছি।’
সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেও এখন একই আত্মবিশ্বাসের মন্ত্রে হাঁটতে হবে বাংলাদেশ দলকে।