স্কোর: বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৩৩/১০ : পাকিস্তান ১৯.২ ওভারে ১২৫/১০। বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী।
বোলার সাকিবকে নিয়ে খেলোয়াড়দের উইকেট উদযাপন
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানে রোমাঞ্চ জাগানো জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশ। এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাকের আলির দায়িত্বশীল ফিফটিতে ১৩৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পরে শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানদের দারুণ বোলিংয়ে বড় জয়ের সম্ভাবনা জাগায় তারা। এক পর্যায়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ ও ৩০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ফিফটিতে লড়াইয়ে ফেরে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেনি।
ম্যাচের শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে দিলেন আহমেদ দানিয়াল। কিছুটা শঙ্কা জাগল স্বাগতিক দলে। তবে পরের বলে দানিয়ালকে ফিরিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ পেসার। ৮ রানে জিতে গেল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে স্লগ করে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন অভিষিক্ত দানিয়াল। শরীফুল ৩টি, মাহেদি ২টি মোস্তাফিজ ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে জাকের আলির লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৩৪ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। জাকের ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৪৮ বলে ৫৫ রান করে আব্বাসের বলে ক্যাচ আউট হন।
পঞ্চম উইকেটে জাকের ও শেখ মাহেদি ৪৯ বলে ৫৩ রান যোগ করেন টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পেসার আশরাফের বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৭ বলে ৩ রান), দলীয় ৫ রানে ।
এর পর ৪ ওভারে দলের রান ২৫’এ নেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক লিটন দাস। পঞ্চম ওভারের শুরুতে সালমান মির্জার বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লিটন, করেন ১টি বাউন্ডারিতে ৯ বলে ৮ রান। একই ওভারে তাওহিদ হৃদয় রান আউট শূণ্য রানে।
পাওয়ার প্লের এক বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে দেন আগের ম্যাচে ৩৯ বলে ৫৬ রান করে সেরা খেলোয়াড় হওয়া পারভেজ। অভিষিক্ত পেসার দানিয়ালের বলে ফাহিমের ক্যাচে পরিণত হন ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ১৩ রান করা পারভেজ।
২৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান পাঁচ নম্বরে নামা জাকের ও মাহেদি হাসান। দশম ওভারে মাহেদির ব্যাটে ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ রান আসায় হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছায় বাংলাদেশের স্কোর।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে স্লগ সুইপে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে জাকেরের সঙ্গে জুটিতে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন মাহেদি। পরের ডেলিভারিতে বিদায় ঘণ্টা বাজে মাহেদির। ক্রিজ ছেড়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে হাসানকে ক্যাচ দেন তিনি। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন মাহেদি।
দলীয় ৮১ রানে মাহেদি ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা একাই ঘুড়িয়েছেন জাকের। পেসার আব্বাস আফ্রিদির করা ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ৪৬ বল খেলা জাকের।
শেষ পর্যন্ত জাকেরের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে বাংলাদেশ। ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৫ রান করেন জাকের।
সালমান-দানিয়েল ও আব্বাস ২টি করে উইকেট নেন।
স্কোর: বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৩৩/১০ : পাকিস্তান ১৯.২ ওভারে ১২৫/১০। বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী।
বোলার সাকিবকে নিয়ে খেলোয়াড়দের উইকেট উদযাপন
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানে রোমাঞ্চ জাগানো জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশ। এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাকের আলির দায়িত্বশীল ফিফটিতে ১৩৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পরে শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানদের দারুণ বোলিংয়ে বড় জয়ের সম্ভাবনা জাগায় তারা। এক পর্যায়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ ও ৩০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ফিফটিতে লড়াইয়ে ফেরে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেনি।
ম্যাচের শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে দিলেন আহমেদ দানিয়াল। কিছুটা শঙ্কা জাগল স্বাগতিক দলে। তবে পরের বলে দানিয়ালকে ফিরিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ পেসার। ৮ রানে জিতে গেল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে স্লগ করে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন অভিষিক্ত দানিয়াল। শরীফুল ৩টি, মাহেদি ২টি মোস্তাফিজ ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে জাকের আলির লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৩৪ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। জাকের ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৪৮ বলে ৫৫ রান করে আব্বাসের বলে ক্যাচ আউট হন।
পঞ্চম উইকেটে জাকের ও শেখ মাহেদি ৪৯ বলে ৫৩ রান যোগ করেন টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পেসার আশরাফের বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৭ বলে ৩ রান), দলীয় ৫ রানে ।
এর পর ৪ ওভারে দলের রান ২৫’এ নেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক লিটন দাস। পঞ্চম ওভারের শুরুতে সালমান মির্জার বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লিটন, করেন ১টি বাউন্ডারিতে ৯ বলে ৮ রান। একই ওভারে তাওহিদ হৃদয় রান আউট শূণ্য রানে।
পাওয়ার প্লের এক বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে দেন আগের ম্যাচে ৩৯ বলে ৫৬ রান করে সেরা খেলোয়াড় হওয়া পারভেজ। অভিষিক্ত পেসার দানিয়ালের বলে ফাহিমের ক্যাচে পরিণত হন ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ১৩ রান করা পারভেজ।
২৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান পাঁচ নম্বরে নামা জাকের ও মাহেদি হাসান। দশম ওভারে মাহেদির ব্যাটে ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ রান আসায় হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছায় বাংলাদেশের স্কোর।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে স্লগ সুইপে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে জাকেরের সঙ্গে জুটিতে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন মাহেদি। পরের ডেলিভারিতে বিদায় ঘণ্টা বাজে মাহেদির। ক্রিজ ছেড়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে হাসানকে ক্যাচ দেন তিনি। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন মাহেদি।
দলীয় ৮১ রানে মাহেদি ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা একাই ঘুড়িয়েছেন জাকের। পেসার আব্বাস আফ্রিদির করা ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ৪৬ বল খেলা জাকের।
শেষ পর্যন্ত জাকেরের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে বাংলাদেশ। ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৫ রান করেন জাকের।
সালমান-দানিয়েল ও আব্বাস ২টি করে উইকেট নেন।