এসিসি প্রধানকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি
দুই দিনব্যাপী এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) যোগ দিতে বুধবার,(২৩ জুলাই ২০২৫) ঢাকায় এসেছেন এসিসি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর প্রধান মহসিন নাকভি।
নানা দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সম্ভাব্য কোরাম সঙ্কটের কারণে সভা পিছিয়ে যাওয়ার নানা গুঞ্জনও ছিল। শেষ পর্যন্ত সভা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে বিসিবি। বুধবার অনুষ্ঠিত হয় প্রধান নির্বাহীদের বৈঠক। বাংলাদেশ বা বিসিবি এই সভার আয়োজক হলো প্রথমবার। ভারতের প্রতিনিধি সরাসরি বৈঠকে না আসলেও কিছু কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হতে পারেন! সবমিলিয়ে এসিসির ২৫টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৬-১৭টি দেশ এই সভায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সভার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ (বিসিবি)। এসিসি সভা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘এসিসির বিষয়টি আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি। এসিসি একটি সংগঠন যেখানে এশিয়ার পাঁচটি পূর্ণ সদস্য এবং ২৫টি সহযোগী সদস্য দেশ রয়েছে। এসিসি থেকে আমাদের কাছে এজিএম আয়োজন করার একটি প্রস্তাব এসেছিল। আমরা আয়োজক হিসেবে সম্মতি জানিয়েছি। এসিসির এই অনুষ্ঠানে আমরা শুধুমাত্র লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি।’
এসিসির সভায় আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তাদের বলার কিছু নেই। তারা কেবলমাত্র আয়োজকের ভূমিকায় রয়েছে, ‘বিসিবি এখানে শুধুমাত্র আয়োজক। আমরা এসিসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। কারা আসছে বা আসছে না, তাদের কখন বিমানবন্দর থেকে আনতে হবে, হোটেলে বুকিং দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি। এর বাইরে আমাদের আর কোনো কাজ নেই।’
এই সভাতে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাড়ানো নিয়েও আলোচনার পরিকল্পনা আছে বিসিবি সভাপতির। গণমাধ্যমকে বুলবুল বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বোর্ড চেয়ারম্যান এখন এসিসিরও প্রধান। তিনি এসিসির অনুষ্ঠানেই এসেছেন। এর মাঝে যদি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাড়ানো বা ক্রিকেট নিয়ে অন্য কোনো আলোচনার সুযোগ থাকে, সেই চেষ্টা করা হবে।’
এসিসির বর্তমান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। ভারত বরাবরই এসিসিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। আর নাকভি দায়িত্ব নেয়ার পর সেই উদাসীনতা যেন আরও স্পষ্ট হয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন তো আগে থেকেই চরমে, তার প্রভাব এবার ক্রিকেট প্রশাসনেও পড়েছে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনও পর্যন্ত সভায় কোনো প্রতিনিধি পাঠাবে কিনা, তা নিশ্চিত করেনি। যদিও পিসিবি ও বিসিবি মিলে আফগান বোর্ডকে রাজি করাতে চেষ্টা করছে। লঙ্কান বোর্ডের কোনো প্রতিনিধিকেও অনলাইনে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি না থাকা মানে এশিয়া কাপ নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে না এখানে।
এই অঞ্চলের ক্রিকেট রাজনীতির সমীকরণে বাংলাদেশ বিপাকে পড়তে পারে কিনা এমন প্রশ্নে বুলবুল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না (সমস্যা হবে)। ক্রিকেট সবার ওপরে। এই ধরনের সমস্যা হবে না বলেই মনে হয়। আমি আবারও বলছি, আমরা কেবলই আয়োজক। আগে কখনও আমরা এজিএম হোস্ট করিনি। বোর্ডের সবাই মিলে, দেশের সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করবো যেন ভালো একটা এজিএম হয়।’
সহযোগী দেশগুলোকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত বুলবুল, ‘আমাদের জন্য এটা ভালো বিষয় যে বিভিন্ন সহযোগী দেশগুলো আমাদের এখানে আসছে। আগে আমরা যেমন পূর্ণ সদস্য দেশগুলোকে বড় ভাই হিসেবে দেখতাম, এখন তারা আমাদেরকে সেভাবে দেখছে। আমাদের যে ক্রিকেট সংস্কৃতি আছে, আমরা চেষ্টা করবো সেটা তুলে ধরতে। ওদের সামনে আমরা এখানে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জিতেছি, ওরাও দেখবে আমরা কত শক্তিশালী ক্রিকেট জাতি।’
এসিসি প্রধানকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
দুই দিনব্যাপী এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) যোগ দিতে বুধবার,(২৩ জুলাই ২০২৫) ঢাকায় এসেছেন এসিসি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর প্রধান মহসিন নাকভি।
নানা দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সম্ভাব্য কোরাম সঙ্কটের কারণে সভা পিছিয়ে যাওয়ার নানা গুঞ্জনও ছিল। শেষ পর্যন্ত সভা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে বিসিবি। বুধবার অনুষ্ঠিত হয় প্রধান নির্বাহীদের বৈঠক। বাংলাদেশ বা বিসিবি এই সভার আয়োজক হলো প্রথমবার। ভারতের প্রতিনিধি সরাসরি বৈঠকে না আসলেও কিছু কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হতে পারেন! সবমিলিয়ে এসিসির ২৫টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৬-১৭টি দেশ এই সভায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সভার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ (বিসিবি)। এসিসি সভা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘এসিসির বিষয়টি আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি। এসিসি একটি সংগঠন যেখানে এশিয়ার পাঁচটি পূর্ণ সদস্য এবং ২৫টি সহযোগী সদস্য দেশ রয়েছে। এসিসি থেকে আমাদের কাছে এজিএম আয়োজন করার একটি প্রস্তাব এসেছিল। আমরা আয়োজক হিসেবে সম্মতি জানিয়েছি। এসিসির এই অনুষ্ঠানে আমরা শুধুমাত্র লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি।’
এসিসির সভায় আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তাদের বলার কিছু নেই। তারা কেবলমাত্র আয়োজকের ভূমিকায় রয়েছে, ‘বিসিবি এখানে শুধুমাত্র আয়োজক। আমরা এসিসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। কারা আসছে বা আসছে না, তাদের কখন বিমানবন্দর থেকে আনতে হবে, হোটেলে বুকিং দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি। এর বাইরে আমাদের আর কোনো কাজ নেই।’
এই সভাতে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাড়ানো নিয়েও আলোচনার পরিকল্পনা আছে বিসিবি সভাপতির। গণমাধ্যমকে বুলবুল বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বোর্ড চেয়ারম্যান এখন এসিসিরও প্রধান। তিনি এসিসির অনুষ্ঠানেই এসেছেন। এর মাঝে যদি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাড়ানো বা ক্রিকেট নিয়ে অন্য কোনো আলোচনার সুযোগ থাকে, সেই চেষ্টা করা হবে।’
এসিসির বর্তমান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। ভারত বরাবরই এসিসিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। আর নাকভি দায়িত্ব নেয়ার পর সেই উদাসীনতা যেন আরও স্পষ্ট হয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন তো আগে থেকেই চরমে, তার প্রভাব এবার ক্রিকেট প্রশাসনেও পড়েছে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনও পর্যন্ত সভায় কোনো প্রতিনিধি পাঠাবে কিনা, তা নিশ্চিত করেনি। যদিও পিসিবি ও বিসিবি মিলে আফগান বোর্ডকে রাজি করাতে চেষ্টা করছে। লঙ্কান বোর্ডের কোনো প্রতিনিধিকেও অনলাইনে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি না থাকা মানে এশিয়া কাপ নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে না এখানে।
এই অঞ্চলের ক্রিকেট রাজনীতির সমীকরণে বাংলাদেশ বিপাকে পড়তে পারে কিনা এমন প্রশ্নে বুলবুল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না (সমস্যা হবে)। ক্রিকেট সবার ওপরে। এই ধরনের সমস্যা হবে না বলেই মনে হয়। আমি আবারও বলছি, আমরা কেবলই আয়োজক। আগে কখনও আমরা এজিএম হোস্ট করিনি। বোর্ডের সবাই মিলে, দেশের সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করবো যেন ভালো একটা এজিএম হয়।’
সহযোগী দেশগুলোকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত বুলবুল, ‘আমাদের জন্য এটা ভালো বিষয় যে বিভিন্ন সহযোগী দেশগুলো আমাদের এখানে আসছে। আগে আমরা যেমন পূর্ণ সদস্য দেশগুলোকে বড় ভাই হিসেবে দেখতাম, এখন তারা আমাদেরকে সেভাবে দেখছে। আমাদের যে ক্রিকেট সংস্কৃতি আছে, আমরা চেষ্টা করবো সেটা তুলে ধরতে। ওদের সামনে আমরা এখানে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জিতেছি, ওরাও দেখবে আমরা কত শক্তিশালী ক্রিকেট জাতি।’