স্কোর: পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৭৮/৮ : বাংলাদেশ ১৬.৪ ওভারে ১০৪/১০। ফল: পাকিস্তান ৭৪ রানে জয়ী
দুই ওপনার ফারহান ও আইয়ুব জুটি আট ওভারে ৮২ রান তুলে পাকিস্তানের বড় স্কোরের ভিত গড়েন।
শেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশকে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে লিটন দাসের দল প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করার পর সালমান আগার দলটিকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) টস জিতে ফিল্ডিং নিলেও টাইগার বোলার এবং পরে ব্যাটাররা সফরকারী দরের ওপর কোনরূপ প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৯ রার করতে নেমে বাংলাদেশ ৪১ রানে ৭ উইকেট হারায় । এ অবস্থায় ব্যাটিংয়ে নেমে সাইফউদ্দিন এক প্রান্ত ধরে রেখে নাসুমকে (৯) নিয়ে অষ্টম জুটিতে ২৪, তাসকিনকে (৭) নবম জুটিতে ১৬ ও শরিফুলকে (৭) নিয়ে শেষ জুটিতে ২৪ রান তুলে দলের স্কোর তিন অঙ্কে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত সাইফ অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। তার ৩৪ বলের এই দায়িত্বশীল ইনিংনসে ছিল ২টি করে চার ও ছক্কা। পাকিস্তানের সালমান মির্জা ১৯ রানে ৩টি এবং আশরাফ ১৩ ও নাওয়াজ ৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে বিকেলে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ওপেনার শাহিবজাদা ফারহানের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে । পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলেন দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। সপ্তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৯ বল খেলা ফারহান।
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ডিপ মিড উইকেটে শামীম হোসেনকে ক্যাচ দেন সাইম। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ বলে ২১ রান করেন সাইম।
দলীয় ৮২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফারহান। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪১ বলে ৬৩ রান করা ফারহানকেও শিকার করেন নাসুম।
মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ হারিসকে ৫ রানে তাসকিন আহমেদ এবং হুসেন তালাতকে ১ রানে থামান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
চার নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন হাসান নাওয়াজ। আগের দুই ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এবার বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রান করে ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা শরিফুল ইসলামের শিকার হন হাসান।
১৬তম ওভারে ১৩২ রানে ৫ উইকেট পতনের পর পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান অধিনায়ক সালমান আঘা ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ২৩ বলে ৪১ রানের জুটিতে দলের রান ১৭০ পার করেন তারা। উদ্বোধনী জুটির পর এটি পাকিস্তানের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
শেষ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ নাওয়াজকে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রান করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
ঐ ওভারে ফাহিম আশরাফকেও ৪ রানে শিকার করেছেন তাসকিন। শেষ ওভারে ৫ রান দিয়ে পাকিস্তানের ২ উইকেট নেন তাসকিন। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। সালমান ১২ ও আব্বাস আফ্রিদি ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার তাসকিন। এছাড়া নাসুম ২২ রানে ২টি এবং শরিফুল ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল যাথাক্রমে ৭ উইকেট ও ৮ রানে।
স্কোর: পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৭৮/৮ : বাংলাদেশ ১৬.৪ ওভারে ১০৪/১০। ফল: পাকিস্তান ৭৪ রানে জয়ী
দুই ওপনার ফারহান ও আইয়ুব জুটি আট ওভারে ৮২ রান তুলে পাকিস্তানের বড় স্কোরের ভিত গড়েন।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
শেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশকে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে লিটন দাসের দল প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করার পর সালমান আগার দলটিকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) টস জিতে ফিল্ডিং নিলেও টাইগার বোলার এবং পরে ব্যাটাররা সফরকারী দরের ওপর কোনরূপ প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৯ রার করতে নেমে বাংলাদেশ ৪১ রানে ৭ উইকেট হারায় । এ অবস্থায় ব্যাটিংয়ে নেমে সাইফউদ্দিন এক প্রান্ত ধরে রেখে নাসুমকে (৯) নিয়ে অষ্টম জুটিতে ২৪, তাসকিনকে (৭) নবম জুটিতে ১৬ ও শরিফুলকে (৭) নিয়ে শেষ জুটিতে ২৪ রান তুলে দলের স্কোর তিন অঙ্কে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত সাইফ অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। তার ৩৪ বলের এই দায়িত্বশীল ইনিংনসে ছিল ২টি করে চার ও ছক্কা। পাকিস্তানের সালমান মির্জা ১৯ রানে ৩টি এবং আশরাফ ১৩ ও নাওয়াজ ৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে বিকেলে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ওপেনার শাহিবজাদা ফারহানের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে । পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলেন দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। সপ্তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৯ বল খেলা ফারহান।
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ডিপ মিড উইকেটে শামীম হোসেনকে ক্যাচ দেন সাইম। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ বলে ২১ রান করেন সাইম।
দলীয় ৮২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফারহান। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪১ বলে ৬৩ রান করা ফারহানকেও শিকার করেন নাসুম।
মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ হারিসকে ৫ রানে তাসকিন আহমেদ এবং হুসেন তালাতকে ১ রানে থামান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
চার নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন হাসান নাওয়াজ। আগের দুই ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এবার বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রান করে ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা শরিফুল ইসলামের শিকার হন হাসান।
১৬তম ওভারে ১৩২ রানে ৫ উইকেট পতনের পর পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান অধিনায়ক সালমান আঘা ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ২৩ বলে ৪১ রানের জুটিতে দলের রান ১৭০ পার করেন তারা। উদ্বোধনী জুটির পর এটি পাকিস্তানের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
শেষ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ নাওয়াজকে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রান করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
ঐ ওভারে ফাহিম আশরাফকেও ৪ রানে শিকার করেছেন তাসকিন। শেষ ওভারে ৫ রান দিয়ে পাকিস্তানের ২ উইকেট নেন তাসকিন। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। সালমান ১২ ও আব্বাস আফ্রিদি ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার তাসকিন। এছাড়া নাসুম ২২ রানে ২টি এবং শরিফুল ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল যাথাক্রমে ৭ উইকেট ও ৮ রানে।