সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে লিটন দাস
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ফহফাঁ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ ছিল টাইগারদের। আবার পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানিও ছিল স্বাগতিক দলের । কিন্তু পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার এমন সুযোগটা কাজে লাগানোর চেয়ে নিজেদেও রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে গিয়ে বড় পরাজয় সঙ্গী হলো বাংলাদেশ দলের।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় দারুণ ফর্মে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে। অসুস্থ ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। বাদ পড়েন চমৎকার বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। তানজিম হাসান সাকিবকেও একাদশে রাখা হয়নি। তাদের জায়গায় একাদশে আসেন নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিদ হাসান তামিম। এদের মধ্যে নাসুম ছাড়া সবাই বল হাতে ব্যর্থ।
দলে এত পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, আমাদের যে ১৬ জনের স্কোয়াড, সবার সামর্থ্য আছে ম্যাচ খেলার। তাসকিন প্রথম ম্যাচেও খেলেছে। সাইফউদ্দিন অনেক দিন ধরে খেলছিল না, তাকে দেখার একটা বিষয় ছিল। তামিম (তানজিদ হাসান) তো আমাদের একজন (নিয়মিত) ওপেনার। সে একাদশে ফিরেছে। হৃদয় অসুস্থ, জ্বরের কারণে খেলতে পারেনি। আর নাসুম একটি ম্যাচ খেললো।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বেঞ্চ শক্তি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে লিটন বলেন, স্কোয়াড ঘোষণার সময়ে বাংলাদেশের সেরা স্কোয়াডে থাকে ১৬ জন সদস্য। আমাদের কাজ হচ্ছে, এই ১৬ জন থেকে একাদশ বাছাই করা। ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই একাদশ ঠিক করা হয়। সেটা যেই খেলুক না কেনো প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে দল যেন জিততে পারে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, যাদেরকে খেলানো হয়েছে, সবাই ভালো পারফর্মার। কিছু কিছু ব্যাপার ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। সেজন্যই তৃতীয় ম্যাচে বাকিদের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। তবে শেষ ম্যাচে পাকিস্তান তোলে ২০ ওভারে ১৭৮ রান। এই সিরিজে দুই দল মিলিয়েই যা সর্বোচ্চ। আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় বোলিং ততটা ধারাল ছিল না। পরে রান তাড়ায় ব্যাটিং তো হয়েছে যাচ্ছেতাই।
লিটন বলেন, ‘এটাব্যাটিং বান্ধব উইকেট ছিল। আমরা বোলিং ইনিংসে অনেক ভালো বোলিং করেছি। অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি, ১৮০ রান তাড়া করা উচিত ছিল আমাদের। পাওয়ার প্লেতেই আমরা ম্যাচটা অনেকটা হেরে গেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আজকে হিসেবি ব্যাটিং করতে পারিনি আমরা।’
‘এই সিরিজ সব মিলিয়ে খারাপ যায়নি। আমরা চেষ্টা করেছি সেরা ক্রিকেট খেলার। আমার মনে হয়, আমরা ভালোই দুটি ম্যাচ খেলেছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচ ছাড়া। আজকে ব্যাটিং আমরা ভালো করিনি। গোটা সিরিজে সব মিলিয়ে বোলিং ভালো করেছি।’
শ্রীলঙ্কায় তিন সংস্করণের সিরিজের দীর্ঘ সফরের পর দেশে ফিরেই এই সিরিজটি খেলতে হয়েছে লিটনদের। আগামী মাসে হওয়ার কথা ছিল ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেটি পিছিয়ে গেছে । আপাতত তাই বেশ কিছুদিন বিরতি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
এই বিরতিতে চনমনে হয়ে আবার মাঠে ফিরে কিছু জায়গা নিয়ে কাজ করতে চান লিটন। ‘এমনিতে সফল হলেও কিছু কিছু জায়গা তো থাকবেই উন্নতির জন্য। দল হিসেবে আমরাও জানি আমাদের কোথায় ঘাটতি আছে। আমাদের এই সিরিজের পর কোনো খেলা নেই (অনেক দিন), আমাদের একটা বিরতি আছে। টানা ৪০ দিন ধরে টানা খেলছি আমরা।’
‘কিছুদিন বিরতির পর আবার আমরা ফিটনেসের ওপর মনোযোগ দেব এবং যে সুযোগ আমাদের সামনে আসবে, যদি আমরা ক্যাম্প করি বা কোনো সিরিজ যদি হয়, ওটাকে আমরা আবার ম্যাচে রূপান্তর করার চেষ্টা করব।’
‘গত কিছুদিন ধরে আমরা নতুন বলে খুবই ভালো বোলিং করছি। তবে বোলিং ইউনিট হিসেবে ডেথ বোলিং আরেকটু শক্তিশালী করতে হবে। এটা আমার ধারণা ও গোটা দলও এরকমই মনে করি। অবশ্যই ব্যাটিং তো আছেই (উন্নতির জন্য)। ভালো ব্যাটিং উইকেটে যখন টানা খেলবেন, ভালো ব্যাটিং করবেন, বোলারদের ম্যাচ জেতানোর সুযোগটা বেশি থাকবে।’
‘ আমরা সবাই জানি মোস্তাফিজ ডেথ বোলিংয়ে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। তবে আরও যারা আছে, এখনও সময় আছে, এখান থেকে যদি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ব্যাপারটিতে উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় আমাদের দল আরও ভালো করবে।’
যদি সব ঠিকঠাক থাকে, বাংলাদেশের পরের অভিযান আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি। পরের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অক্টোবরে, দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে লিটন দাস
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ফহফাঁ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ ছিল টাইগারদের। আবার পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানিও ছিল স্বাগতিক দলের । কিন্তু পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার এমন সুযোগটা কাজে লাগানোর চেয়ে নিজেদেও রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে গিয়ে বড় পরাজয় সঙ্গী হলো বাংলাদেশ দলের।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় দারুণ ফর্মে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে। অসুস্থ ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। বাদ পড়েন চমৎকার বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। তানজিম হাসান সাকিবকেও একাদশে রাখা হয়নি। তাদের জায়গায় একাদশে আসেন নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিদ হাসান তামিম। এদের মধ্যে নাসুম ছাড়া সবাই বল হাতে ব্যর্থ।
দলে এত পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, আমাদের যে ১৬ জনের স্কোয়াড, সবার সামর্থ্য আছে ম্যাচ খেলার। তাসকিন প্রথম ম্যাচেও খেলেছে। সাইফউদ্দিন অনেক দিন ধরে খেলছিল না, তাকে দেখার একটা বিষয় ছিল। তামিম (তানজিদ হাসান) তো আমাদের একজন (নিয়মিত) ওপেনার। সে একাদশে ফিরেছে। হৃদয় অসুস্থ, জ্বরের কারণে খেলতে পারেনি। আর নাসুম একটি ম্যাচ খেললো।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বেঞ্চ শক্তি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে লিটন বলেন, স্কোয়াড ঘোষণার সময়ে বাংলাদেশের সেরা স্কোয়াডে থাকে ১৬ জন সদস্য। আমাদের কাজ হচ্ছে, এই ১৬ জন থেকে একাদশ বাছাই করা। ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই একাদশ ঠিক করা হয়। সেটা যেই খেলুক না কেনো প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে দল যেন জিততে পারে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, যাদেরকে খেলানো হয়েছে, সবাই ভালো পারফর্মার। কিছু কিছু ব্যাপার ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। সেজন্যই তৃতীয় ম্যাচে বাকিদের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। তবে শেষ ম্যাচে পাকিস্তান তোলে ২০ ওভারে ১৭৮ রান। এই সিরিজে দুই দল মিলিয়েই যা সর্বোচ্চ। আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় বোলিং ততটা ধারাল ছিল না। পরে রান তাড়ায় ব্যাটিং তো হয়েছে যাচ্ছেতাই।
লিটন বলেন, ‘এটাব্যাটিং বান্ধব উইকেট ছিল। আমরা বোলিং ইনিংসে অনেক ভালো বোলিং করেছি। অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি, ১৮০ রান তাড়া করা উচিত ছিল আমাদের। পাওয়ার প্লেতেই আমরা ম্যাচটা অনেকটা হেরে গেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আজকে হিসেবি ব্যাটিং করতে পারিনি আমরা।’
‘এই সিরিজ সব মিলিয়ে খারাপ যায়নি। আমরা চেষ্টা করেছি সেরা ক্রিকেট খেলার। আমার মনে হয়, আমরা ভালোই দুটি ম্যাচ খেলেছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচ ছাড়া। আজকে ব্যাটিং আমরা ভালো করিনি। গোটা সিরিজে সব মিলিয়ে বোলিং ভালো করেছি।’
শ্রীলঙ্কায় তিন সংস্করণের সিরিজের দীর্ঘ সফরের পর দেশে ফিরেই এই সিরিজটি খেলতে হয়েছে লিটনদের। আগামী মাসে হওয়ার কথা ছিল ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেটি পিছিয়ে গেছে । আপাতত তাই বেশ কিছুদিন বিরতি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
এই বিরতিতে চনমনে হয়ে আবার মাঠে ফিরে কিছু জায়গা নিয়ে কাজ করতে চান লিটন। ‘এমনিতে সফল হলেও কিছু কিছু জায়গা তো থাকবেই উন্নতির জন্য। দল হিসেবে আমরাও জানি আমাদের কোথায় ঘাটতি আছে। আমাদের এই সিরিজের পর কোনো খেলা নেই (অনেক দিন), আমাদের একটা বিরতি আছে। টানা ৪০ দিন ধরে টানা খেলছি আমরা।’
‘কিছুদিন বিরতির পর আবার আমরা ফিটনেসের ওপর মনোযোগ দেব এবং যে সুযোগ আমাদের সামনে আসবে, যদি আমরা ক্যাম্প করি বা কোনো সিরিজ যদি হয়, ওটাকে আমরা আবার ম্যাচে রূপান্তর করার চেষ্টা করব।’
‘গত কিছুদিন ধরে আমরা নতুন বলে খুবই ভালো বোলিং করছি। তবে বোলিং ইউনিট হিসেবে ডেথ বোলিং আরেকটু শক্তিশালী করতে হবে। এটা আমার ধারণা ও গোটা দলও এরকমই মনে করি। অবশ্যই ব্যাটিং তো আছেই (উন্নতির জন্য)। ভালো ব্যাটিং উইকেটে যখন টানা খেলবেন, ভালো ব্যাটিং করবেন, বোলারদের ম্যাচ জেতানোর সুযোগটা বেশি থাকবে।’
‘ আমরা সবাই জানি মোস্তাফিজ ডেথ বোলিংয়ে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। তবে আরও যারা আছে, এখনও সময় আছে, এখান থেকে যদি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ব্যাপারটিতে উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় আমাদের দল আরও ভালো করবে।’
যদি সব ঠিকঠাক থাকে, বাংলাদেশের পরের অভিযান আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি। পরের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অক্টোবরে, দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।