শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৩৮তম সেঞ্চুরি করার পর ইংলিশম্যান জো রুট
ভারতের বিপক্ষে চলমান ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) সেঞ্চুরির স্বাদ পান রুট। ১৭৮ বলে কাক্সিক্ষত শতকে পা রাখেন তিনি।
টেস্টে এটি রুটের ৩৮তম সেঞ্চুরি। তার সমান ৩৮ সেঞ্চুরি করেছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট সাঙ্গাকারা। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে রুটের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তিন জনের- অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (৪১), দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস (৪৫) ও ভারতের শচিন টেন্ডুলকারের (৫১)।
লর্ডসে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩১ মিনিট উইকেটে থেকে ২০ চারে ১৯৯ বলে ১০৪ রান করেছিলেন রুট। ম্যানচেস্টারেও সেই স্বাদ পেলেন দলের প্রথম ইনিংসে।
সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পথে আরও কিছু কীর্তি গড়েন রুট। রাহুল দ্রাবিড়, ক্যালিসকে ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নেন তিনি।
ভারতীয় গ্রেট দ্রাবিড় টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেন ২৮৬ ইনিংসে ১৩ হাজার ২৮৮ রান নিয়ে। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্যালিস ২৮০ ইনিংসে করেন ১৩ হাজার ২৮৯ রান।
২৮৬ ইনিংসে ওই দুই গ্রেটকে ছাড়িয়ে গেলেন ২০১২ সালে টেস্ট অভিষিক্ত রুট। তার ওপরে এখন অস্ট্রেলিয়ান তারকা রিকি পন্টিং ও ভারতীয় কিংবদন্তি টেন্ডুলকার (১৫ হাজার ৯২১ রান)।
টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন রুট। এশিয়ার দলটির বিপক্ষে এটি তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্টিভেন স্মিথের ১১টি। ৮টি করে শতক আছে গ্যারি সোবার্স, ভিভিয়ান রিচার্ডস ও পন্টিংয়ের।
দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে নির্দিষ্ট একটি দলের বিপক্ষে রুটের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন দুইজন। ভারতের সুনিল গাভাস্কার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩ বার পেয়েছেন শতকের স্বাদ। আর অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন ১৯ সেঞ্চুরি।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এনিয়ে দ্বিতীয়বার তিন অঙ্কের দেখা পেলেন রুট। আর ইনিংসটি পথে এই মাঠে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক হাজার রান করার কীর্তি গড়লেন তিনি, ২০ ইনিংসে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাকে ছাড়িয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠেছেন রুট। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার সেঞ্চুরি হলো ৫৬টি (ওয়ানডেতে ১৮টি), তার ওপরে আছেন ক্যালিস (৬২), সাঙ্গাকারা (৬৩), পন্টিং (৭১), কোহলি (৮২) ও টেন্ডুলকার (১০০)।
ম্যানচেস্টারে তৃতীয় দিন শুরু করেন রুট ১১ রান নিয়ে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে ৯৯ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে থিতু অলি পোপকে (৭ চারে ৭১) হারায় ইংল্যান্ড। চাপ না নিয়ে নিজের মতো খেলে যান রুট। ফিফটির পর রানের গতি আরেকটু বাড়ান তিনি। পরের পঞ্চাশ রান করতে তার লাগে ৭৯ বল।
সেঞ্চুরি স্পর্শ করে ব্যাট ও হেলমেট দুই হাতে নিয়ে গ্যালারির দিকে উঁচিয়ে ধরেন রুট। করতালিতে তাকে অভিবাদন জানায়, ড্রেসিংরুমের সতীর্থ থেকে গ্যালারির সবাই। উইকেটে সঙ্গী ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস এসে জড়িয়ে ধরেন সাবেক অধিনায়ককে।
এই টেস্টের আগে রুটের রান ছিল ১৩২৫৯। ভারতের দ্রাবিড়ের (১৩২৮৮ রান) চেয়ে ২৯ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যালিসের (১৩২৮৯) চেয়ে ৩০ রান পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এদিনের প্রথম সেশনেই তাদেরকে ছাড়িয়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ার পন্টিংয়ের (১৩৩৭৮) থেকে রুটের দূরত্ব ছিল ১২০ রানের। দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরি স্পর্শের পর তাকেও পেছনে ফেলেছেন রুট। শীর্ষে থাকা ভারতের কিংবদন্তি টেন্ডুলকারের রান ১৫৯২১।
শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৩৮তম সেঞ্চুরি করার পর ইংলিশম্যান জো রুট
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
ভারতের বিপক্ষে চলমান ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) সেঞ্চুরির স্বাদ পান রুট। ১৭৮ বলে কাক্সিক্ষত শতকে পা রাখেন তিনি।
টেস্টে এটি রুটের ৩৮তম সেঞ্চুরি। তার সমান ৩৮ সেঞ্চুরি করেছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট সাঙ্গাকারা। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে রুটের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তিন জনের- অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (৪১), দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস (৪৫) ও ভারতের শচিন টেন্ডুলকারের (৫১)।
লর্ডসে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩১ মিনিট উইকেটে থেকে ২০ চারে ১৯৯ বলে ১০৪ রান করেছিলেন রুট। ম্যানচেস্টারেও সেই স্বাদ পেলেন দলের প্রথম ইনিংসে।
সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পথে আরও কিছু কীর্তি গড়েন রুট। রাহুল দ্রাবিড়, ক্যালিসকে ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নেন তিনি।
ভারতীয় গ্রেট দ্রাবিড় টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেন ২৮৬ ইনিংসে ১৩ হাজার ২৮৮ রান নিয়ে। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্যালিস ২৮০ ইনিংসে করেন ১৩ হাজার ২৮৯ রান।
২৮৬ ইনিংসে ওই দুই গ্রেটকে ছাড়িয়ে গেলেন ২০১২ সালে টেস্ট অভিষিক্ত রুট। তার ওপরে এখন অস্ট্রেলিয়ান তারকা রিকি পন্টিং ও ভারতীয় কিংবদন্তি টেন্ডুলকার (১৫ হাজার ৯২১ রান)।
টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন রুট। এশিয়ার দলটির বিপক্ষে এটি তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্টিভেন স্মিথের ১১টি। ৮টি করে শতক আছে গ্যারি সোবার্স, ভিভিয়ান রিচার্ডস ও পন্টিংয়ের।
দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে নির্দিষ্ট একটি দলের বিপক্ষে রুটের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন দুইজন। ভারতের সুনিল গাভাস্কার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩ বার পেয়েছেন শতকের স্বাদ। আর অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন ১৯ সেঞ্চুরি।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এনিয়ে দ্বিতীয়বার তিন অঙ্কের দেখা পেলেন রুট। আর ইনিংসটি পথে এই মাঠে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক হাজার রান করার কীর্তি গড়লেন তিনি, ২০ ইনিংসে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাকে ছাড়িয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠেছেন রুট। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার সেঞ্চুরি হলো ৫৬টি (ওয়ানডেতে ১৮টি), তার ওপরে আছেন ক্যালিস (৬২), সাঙ্গাকারা (৬৩), পন্টিং (৭১), কোহলি (৮২) ও টেন্ডুলকার (১০০)।
ম্যানচেস্টারে তৃতীয় দিন শুরু করেন রুট ১১ রান নিয়ে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে ৯৯ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে থিতু অলি পোপকে (৭ চারে ৭১) হারায় ইংল্যান্ড। চাপ না নিয়ে নিজের মতো খেলে যান রুট। ফিফটির পর রানের গতি আরেকটু বাড়ান তিনি। পরের পঞ্চাশ রান করতে তার লাগে ৭৯ বল।
সেঞ্চুরি স্পর্শ করে ব্যাট ও হেলমেট দুই হাতে নিয়ে গ্যালারির দিকে উঁচিয়ে ধরেন রুট। করতালিতে তাকে অভিবাদন জানায়, ড্রেসিংরুমের সতীর্থ থেকে গ্যালারির সবাই। উইকেটে সঙ্গী ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস এসে জড়িয়ে ধরেন সাবেক অধিনায়ককে।
এই টেস্টের আগে রুটের রান ছিল ১৩২৫৯। ভারতের দ্রাবিড়ের (১৩২৮৮ রান) চেয়ে ২৯ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যালিসের (১৩২৮৯) চেয়ে ৩০ রান পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এদিনের প্রথম সেশনেই তাদেরকে ছাড়িয়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ার পন্টিংয়ের (১৩৩৭৮) থেকে রুটের দূরত্ব ছিল ১২০ রানের। দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরি স্পর্শের পর তাকেও পেছনে ফেলেছেন রুট। শীর্ষে থাকা ভারতের কিংবদন্তি টেন্ডুলকারের রান ১৫৯২১।