লিওনেল মেসি ও জর্ডি আলবা
মার্কিন লীগ (এমএলএস) এর অল-স্টার ম্যাচ না খেলায় লিওনেল মেসি এবং তার ইন্টার মায়ামি সতীর্থ জর্ডি আলবাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এর ফলে ২০২৫ সালের পরে বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে ক্লাবে ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কায় পড়লো মায়ামি। এমএলএস গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, অল-স্টার ইভেন্টে ফিট থাকার পরও ‘অনুপস্থিতির কারণে’ মেসি এবং আলবা শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) এফসি সিনসিনাটির বিরুদ্ধে লীগের খেলায় খেলতে পারবেন না।
এমএলএস জানিয়েছে, ‘লীগের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় যদি পূর্বানুমতি ছাড়া অল-স্টার গেমে অংশগ্রহণ না করেন, তবে তারা তাদের ক্লাবের পরবর্তী ম্যাচে খেলার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
মেক্সিকোর লিগা এমএক্স-এর একটি দলের বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত এমএলএস দলের হয়ে খেলার জন্য মেসি ও আলাভাকে এমএলএস অল স্টার দলে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তবে, দুজনে গত বুধবার অজ্ঞাত কারণে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। লীগ নীতি অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে যদি না তাদের চোট থাকে।
ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক জর্জে মাস গতকাল শুক্রবার একটি কনফারেন্স কলে এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছেন যে, মেসি এই সিদ্ধান্তে ‘খুবই হতাশ’।
মাস বলেন, ‘লিও মেসি খুবই হতাশ। আমি আশা করি এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে না।’ মাস বর্তমানে মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের আলোচনা করছেন। বর্তমান চুক্তি চলতি বছর শেষ হয়ে যাবে।
মাস আরও যোগ করেন, মেসি সব সময় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে চান। ঠাসা সূচির কারণে তার ওপর যে ধকল যাচ্ছে সেটাও উল্লেখ করেন তিনি। সূচির বিষয় স্বীকার করেছেন এমএলএস কমিশনার ডন গার্বারও। তবে কোনো খেলোয়াড় খেলতে না পারলে আগেই জানানো উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
গার্বার বলেন, ‘আমি জানি লিওনেল মেসি এই লীগকে ভালোবাসেন। আমি মনে করি না মেসি ছাড়া অন্যকোনো খেলোয়াড় বা ব্যক্তি এমএলএসের জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু করেছেন। আমি ইন্টার মায়ামির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণরূপে বুঝি এবং প্রশংসা করি এবং তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। দুর্ভাগ্যবশত, অল-স্টার অংশগ্রহণের বিষয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি নীতি আছে, এবং আমাদের তা প্রয়োগ করতে হয়েছে।’
গত ৩৫ দিনে ৯ ম্যাচ খেলেছে মেসি। তার মধ্যে ৪ টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। ৩৮ বছরের মেসি গত সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টাতে জোড়া গোল করেছেন। এখনও মায়ামিকে জেতানোর দায়িত্ব তার কাঁধে। সেই কারণেই হয়তো অলস্টার ম্যাচে তিনি নামতে চাননি। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলবা। মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো জানিয়েছেন, তিনি সিদ্ধান্তটা ফুটবলারদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠে না নামায় শাস্তি পেতে হল মেসি ও আলবাকে। এখন দেখার তার কতটা প্রভাব মায়ামির পরের ম্যাচে পড়ে।
লিওনেল মেসি ও জর্ডি আলবা
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
মার্কিন লীগ (এমএলএস) এর অল-স্টার ম্যাচ না খেলায় লিওনেল মেসি এবং তার ইন্টার মায়ামি সতীর্থ জর্ডি আলবাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এর ফলে ২০২৫ সালের পরে বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে ক্লাবে ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কায় পড়লো মায়ামি। এমএলএস গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, অল-স্টার ইভেন্টে ফিট থাকার পরও ‘অনুপস্থিতির কারণে’ মেসি এবং আলবা শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) এফসি সিনসিনাটির বিরুদ্ধে লীগের খেলায় খেলতে পারবেন না।
এমএলএস জানিয়েছে, ‘লীগের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় যদি পূর্বানুমতি ছাড়া অল-স্টার গেমে অংশগ্রহণ না করেন, তবে তারা তাদের ক্লাবের পরবর্তী ম্যাচে খেলার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
মেক্সিকোর লিগা এমএক্স-এর একটি দলের বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত এমএলএস দলের হয়ে খেলার জন্য মেসি ও আলাভাকে এমএলএস অল স্টার দলে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তবে, দুজনে গত বুধবার অজ্ঞাত কারণে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। লীগ নীতি অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে যদি না তাদের চোট থাকে।
ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক জর্জে মাস গতকাল শুক্রবার একটি কনফারেন্স কলে এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছেন যে, মেসি এই সিদ্ধান্তে ‘খুবই হতাশ’।
মাস বলেন, ‘লিও মেসি খুবই হতাশ। আমি আশা করি এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে না।’ মাস বর্তমানে মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের আলোচনা করছেন। বর্তমান চুক্তি চলতি বছর শেষ হয়ে যাবে।
মাস আরও যোগ করেন, মেসি সব সময় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে চান। ঠাসা সূচির কারণে তার ওপর যে ধকল যাচ্ছে সেটাও উল্লেখ করেন তিনি। সূচির বিষয় স্বীকার করেছেন এমএলএস কমিশনার ডন গার্বারও। তবে কোনো খেলোয়াড় খেলতে না পারলে আগেই জানানো উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
গার্বার বলেন, ‘আমি জানি লিওনেল মেসি এই লীগকে ভালোবাসেন। আমি মনে করি না মেসি ছাড়া অন্যকোনো খেলোয়াড় বা ব্যক্তি এমএলএসের জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু করেছেন। আমি ইন্টার মায়ামির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণরূপে বুঝি এবং প্রশংসা করি এবং তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। দুর্ভাগ্যবশত, অল-স্টার অংশগ্রহণের বিষয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি নীতি আছে, এবং আমাদের তা প্রয়োগ করতে হয়েছে।’
গত ৩৫ দিনে ৯ ম্যাচ খেলেছে মেসি। তার মধ্যে ৪ টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। ৩৮ বছরের মেসি গত সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টাতে জোড়া গোল করেছেন। এখনও মায়ামিকে জেতানোর দায়িত্ব তার কাঁধে। সেই কারণেই হয়তো অলস্টার ম্যাচে তিনি নামতে চাননি। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলবা। মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো জানিয়েছেন, তিনি সিদ্ধান্তটা ফুটবলারদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠে না নামায় শাস্তি পেতে হল মেসি ও আলবাকে। এখন দেখার তার কতটা প্রভাব মায়ামির পরের ম্যাচে পড়ে।