মাহফিজুর রহমান সাগর (বাঁয়ে) ও নাজমুল হক হিমেল
বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন মোশাররফ হোসেন, ১৯৮৭ সালে। এর ৩৭ বছর পর এই তালিকায় নাম উঠলো বাংলাদেশের দুজন সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেলের। বাংলদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিবেদিতা দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেএসপির সাবেক দুই শিক্ষার্থী সাগর ও হিমেল গত আড়াই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এবার বাংলাদেশ ও ভারতের চারজন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে রিলে সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন। ৩৩.৪ কিলোমিটার পাড়ি দিতে তাদের সময় লাগে ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। এদের মধ্যে হিমেল কিশোরগঞ্জ জেলা ও সাগর পাবনা জেলা থেকে উঠে আসা সাঁতারু।
এর আগে বাংলাদেশের তিনজন সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন তিনি। এই চ্যানেল সবচেয়ে কম সময়ে সাঁতারে পার হওয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন তখন। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
দুইবারের অলিম্পিয়ান সাগর মূলত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার স্লটের খোঁজে ছিলেন। সঙ্গী হিসেবে চীনা প্রবাসী হিমেলকে পেয়ে যান তিনি। দুজনের নাম এবার উঠলো ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারুদের তালিকায়।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় (ইংল্যান্ড সময় মধ্যরাত আড়াইটা) ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে নামে সাগর-হিমেল সফলভাবে তা শেষ করেন।
বাংলাদেশের সাবেক তারকা সাঁতারু ও অলিম্পিয়ান মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, ‘আমরা ৬ জনের একটি রিলে দল ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। বাংলাদেশ থেকে আমি ও নাজমুল ছিলাম। বাকি চারজনের একজন মেক্সিকান ও তিনজন ভারতীয়। রিলের মধ্যে আমিই প্রথম সাগরে নামি। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় ও পথ অতিক্রম করে সাঁতরাই। সবমিলিয়ে ১২ ঘণ্টা ১৫-২০ মিনিটের মতো লেগেছে।
সফলভাবে আমরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি।
স্বপ্ন পূরণে সাগর ও নাজমুলকে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়েছে। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে স্লট বুকিং ছিল তাদের। বৈরী আবহাওয়ার জন্য কয়েকবার সময় পিছিয়েছে।
গত সোমবার রাত আড়াইটায় তারা ইংলিশ চ্যানেল অভিযান শুরু করেন। ১২ ঘণ্টা সাঁতরে সফলভাবে শেষ করেছেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু। ইংলিশ চ্যানেল কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আসতে হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে।
দুঃসাহসিক এই অভিযান শেষে মাহফিজুর রহমান সাগর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আপনাদের সবার নিরন্তর সমর্থনে, বাংলাদেশ দল ৬ জনের রিলে সাঁতারে ইংলিশ চ্যানেল জয় করেছে। ইংলিশ চ্যানেল আর কোনো কল্পকাহিনী নয়। ৩৭ বছরের অপেক্ষার পর, আমরা শেষমেশ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এসে গেছে দৃপ্ত পদক্ষেপে। আজ ইতিহাস রচিত হলো।’
সত্যি সাগর-হিমেলের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে দূরন্ত এক ইতিহাস রচিত হলো।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের (বিএসএফ)
ইংলিশ চ্যানেল হলো আটলান্টিক মহাসাগরের একটি প্রণালি, যা দক্ষিণ ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সকে পৃথক করেছে।
মাহফিজুর রহমান সাগর (বাঁয়ে) ও নাজমুল হক হিমেল
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন মোশাররফ হোসেন, ১৯৮৭ সালে। এর ৩৭ বছর পর এই তালিকায় নাম উঠলো বাংলাদেশের দুজন সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেলের। বাংলদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিবেদিতা দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেএসপির সাবেক দুই শিক্ষার্থী সাগর ও হিমেল গত আড়াই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এবার বাংলাদেশ ও ভারতের চারজন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে রিলে সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন। ৩৩.৪ কিলোমিটার পাড়ি দিতে তাদের সময় লাগে ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। এদের মধ্যে হিমেল কিশোরগঞ্জ জেলা ও সাগর পাবনা জেলা থেকে উঠে আসা সাঁতারু।
এর আগে বাংলাদেশের তিনজন সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন তিনি। এই চ্যানেল সবচেয়ে কম সময়ে সাঁতারে পার হওয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন তখন। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
দুইবারের অলিম্পিয়ান সাগর মূলত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার স্লটের খোঁজে ছিলেন। সঙ্গী হিসেবে চীনা প্রবাসী হিমেলকে পেয়ে যান তিনি। দুজনের নাম এবার উঠলো ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারুদের তালিকায়।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় (ইংল্যান্ড সময় মধ্যরাত আড়াইটা) ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে নামে সাগর-হিমেল সফলভাবে তা শেষ করেন।
বাংলাদেশের সাবেক তারকা সাঁতারু ও অলিম্পিয়ান মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, ‘আমরা ৬ জনের একটি রিলে দল ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। বাংলাদেশ থেকে আমি ও নাজমুল ছিলাম। বাকি চারজনের একজন মেক্সিকান ও তিনজন ভারতীয়। রিলের মধ্যে আমিই প্রথম সাগরে নামি। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় ও পথ অতিক্রম করে সাঁতরাই। সবমিলিয়ে ১২ ঘণ্টা ১৫-২০ মিনিটের মতো লেগেছে।
সফলভাবে আমরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি।
স্বপ্ন পূরণে সাগর ও নাজমুলকে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়েছে। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে স্লট বুকিং ছিল তাদের। বৈরী আবহাওয়ার জন্য কয়েকবার সময় পিছিয়েছে।
গত সোমবার রাত আড়াইটায় তারা ইংলিশ চ্যানেল অভিযান শুরু করেন। ১২ ঘণ্টা সাঁতরে সফলভাবে শেষ করেছেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু। ইংলিশ চ্যানেল কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আসতে হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে।
দুঃসাহসিক এই অভিযান শেষে মাহফিজুর রহমান সাগর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আপনাদের সবার নিরন্তর সমর্থনে, বাংলাদেশ দল ৬ জনের রিলে সাঁতারে ইংলিশ চ্যানেল জয় করেছে। ইংলিশ চ্যানেল আর কোনো কল্পকাহিনী নয়। ৩৭ বছরের অপেক্ষার পর, আমরা শেষমেশ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এসে গেছে দৃপ্ত পদক্ষেপে। আজ ইতিহাস রচিত হলো।’
সত্যি সাগর-হিমেলের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে দূরন্ত এক ইতিহাস রচিত হলো।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের (বিএসএফ)
ইংলিশ চ্যানেল হলো আটলান্টিক মহাসাগরের একটি প্রণালি, যা দক্ষিণ ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সকে পৃথক করেছে।