জাতীয় বক্সিং
রিংয়ে জিনাতের আক্রমণে রক্ষণাত্মক আফরা
জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীর ফাইনাল ছিল বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে। প্রবাসী জিনাত ফেরদৌসীর মুখোমুখি আফরা খন্দকার, যিনি জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বড় বোন। আফরার খেলা দেখতে তাই আফঈদা ও বাবা-মা মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। তাতে আফরা সেভাবে উদ্বুদ্ধ হতে পারেননি। তিন রাউন্ডের সবকটিতেই তাকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন প্রথমবার ঢাকায় খেলতে আসা জিনাত।
ফাইনাল দেখতে লোকে লোকারণ্য বক্সিং স্টেডিয়াম। এই লড়াই দেখতে এসেছিলেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি কাউন্সিলর স্টিফেন আইবেলি।
বিকেল পৌনে পাঁচটায় শুরু হয় জিনাত ও আফরার লড়াই। তিন রাউন্ডের প্রত্যেকটিতেই জিনাতের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আফরা। সে দিকে তাকিয়ে হতাশ হচ্ছিলেন বোন আফঈদা ও বাবা খন্দকার আরিফ হাসান। বারবার তারা উৎসাহ দিলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি আফরা।
ফাইনাল হেরে আফরা বলেন, ‘হেরেছি এতে কোনো আক্ষেপ নেই। আমি চেয়েছিলাম যাতে খেলাটি তিন রাউন্ড পর্যন্ত যায়। আলহামদুলিল্লাহ তিন রাউন্ড খেলেই এসেছি।’
আরও বিশেষায়িত অনুশীলনের আবেদন জানিয়ে আফরার কথা, ‘জিনাত বিদেশে অনুশীলন করে থাকে। তার অনুশীলন সুবিধা অনেক ভালো। আমরা যদি ওরকম ভালো সুযোগ-সুবিধা পাই, আমরাও ওদের মতো ভালো করবো।’
নিজের খেলা সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘জিনাত আক্রমণাত্মক খেলেছে। আমি প্রথম থেকেই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছি। কারণ আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, মাচটি তিন রাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া।’
বাংলাদেশের বক্সারদের আরও টেকনিক রপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে স্বর্ণপদক জেতা জিনাত বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশি ছেলে এবং মেয়ে যারা আছে, সত্যিকার অর্থেই ওরা অনেক খেলতে চায়। ওরা রিংয়ে খেলা ছেড়ে দিতে চায় না। আরেকটু টেকনিক যদি রপ্ত করতে পারে, তাহলে অনেক ভালো করবে।’
প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে এসে নিজের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই জানান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিনাত, ‘যেভাবে সবাই আমাদের বক্সিংকে সমর্থন করছে, এটা আমার কাছে অনেক বড় জিনিস। খুব ভালো লাগছে, কতজন আসছে। কত মানুষ সাপোর্ট করছে। আমি এটা প্রথমবার খেললাম, তবে এটাই শেষ নয়।’
জাতীয় বক্সিং
রিংয়ে জিনাতের আক্রমণে রক্ষণাত্মক আফরা
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীর ফাইনাল ছিল বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে। প্রবাসী জিনাত ফেরদৌসীর মুখোমুখি আফরা খন্দকার, যিনি জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বড় বোন। আফরার খেলা দেখতে তাই আফঈদা ও বাবা-মা মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। তাতে আফরা সেভাবে উদ্বুদ্ধ হতে পারেননি। তিন রাউন্ডের সবকটিতেই তাকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন প্রথমবার ঢাকায় খেলতে আসা জিনাত।
ফাইনাল দেখতে লোকে লোকারণ্য বক্সিং স্টেডিয়াম। এই লড়াই দেখতে এসেছিলেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি কাউন্সিলর স্টিফেন আইবেলি।
বিকেল পৌনে পাঁচটায় শুরু হয় জিনাত ও আফরার লড়াই। তিন রাউন্ডের প্রত্যেকটিতেই জিনাতের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আফরা। সে দিকে তাকিয়ে হতাশ হচ্ছিলেন বোন আফঈদা ও বাবা খন্দকার আরিফ হাসান। বারবার তারা উৎসাহ দিলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি আফরা।
ফাইনাল হেরে আফরা বলেন, ‘হেরেছি এতে কোনো আক্ষেপ নেই। আমি চেয়েছিলাম যাতে খেলাটি তিন রাউন্ড পর্যন্ত যায়। আলহামদুলিল্লাহ তিন রাউন্ড খেলেই এসেছি।’
আরও বিশেষায়িত অনুশীলনের আবেদন জানিয়ে আফরার কথা, ‘জিনাত বিদেশে অনুশীলন করে থাকে। তার অনুশীলন সুবিধা অনেক ভালো। আমরা যদি ওরকম ভালো সুযোগ-সুবিধা পাই, আমরাও ওদের মতো ভালো করবো।’
নিজের খেলা সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘জিনাত আক্রমণাত্মক খেলেছে। আমি প্রথম থেকেই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছি। কারণ আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, মাচটি তিন রাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া।’
বাংলাদেশের বক্সারদের আরও টেকনিক রপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে স্বর্ণপদক জেতা জিনাত বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশি ছেলে এবং মেয়ে যারা আছে, সত্যিকার অর্থেই ওরা অনেক খেলতে চায়। ওরা রিংয়ে খেলা ছেড়ে দিতে চায় না। আরেকটু টেকনিক যদি রপ্ত করতে পারে, তাহলে অনেক ভালো করবে।’
প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে এসে নিজের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই জানান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিনাত, ‘যেভাবে সবাই আমাদের বক্সিংকে সমর্থন করছে, এটা আমার কাছে অনেক বড় জিনিস। খুব ভালো লাগছে, কতজন আসছে। কত মানুষ সাপোর্ট করছে। আমি এটা প্রথমবার খেললাম, তবে এটাই শেষ নয়।’