বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল একের পর এক টুর্নামেন্ট খেলায় ব্যস্ত। মায়ানমারে নারী এশিয়ান কাপ বাছাই খেলে আসার পর ঢাকায় সাফ অ-২০ টুর্নামেন্ট খেলেছে। শুক্রবার এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই খেলতে লাওস রওনা হচ্ছে। সেখানে এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন, ‘আমরা সেখানে ভালো খেলে কোয়ালিফাই করার জন্যই যাচ্ছি। আমরা টানা খেলার মধ্যে আছি। সাফে সবাই গেম টাইম পেয়েছে। আমরা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যারা খেলেছি তারা কিছুটা বিশ্রাম নিয়েই খেলেছি ফলে তেমন ক্লান্তি নেই।’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে এএফসির বয়সভিত্তিক আসরে খেলেনি। ফলে টুর্নামেন্টের ড্রতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে। বাংলাদেশের গ্রুপে দক্ষিণ কোরিয়া হট ফেবারিট। স্বাগতিক লাওসও শক্ত প্রতিপক্ষ, তুর্কমেনিস্তান তুলনামূলক সহজ দল বাংলাদেশের জন্য।

বাছাইয়ে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স-আপ আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলবে। দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রুপে পড়ায় বাংলাদেশের চোখ সেরা তিন রানার্সআপে, ‘দক্ষিণ কোরিয়া এই অঞ্চলের (মহাদেশের) সেরা দল। নিঃসন্দেহে তারা অনেক এগিয়ে ও অনেক ভালো দল। আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের সঙ্গে। সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঐ ম্যাচ জিতে আমরা এগিয়ে থাকতে চাই’ বলেন বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার।

বাংলাদেশ এএফসি অ-১৬ নারী টুর্নামেন্টে দুইবার মূল পর্বে খেলেছে। অ-২০ আসরে সেই কীর্তি নেই। ছয় বছর আগে এএফসি অ-১৯ নারী বাছাইয়ের ফলাফলের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে কোচ খানিকটা রসিকতা করে বলেন, ‘এটা ২০২৫ সাল, ২০১৯ নয়। আগে কি হয়েছে সেটা দেখার বিষয় নয়। এ দেশে ইতিহাস নিয়েই মানুষ পড়ে থাকে বেশি। সামনে এগুতে হবে।’

সম্প্রতি সাফ অ-২০ টুর্নামেন্ট খেলা ২৩ জন খেলোয়াড়ই যাচ্ছেন লাওসে। অ-২০ দলে নয় জন রয়েছেন যারা সিনিয়র দলের স্কোয়াডে ছিলেন। সিনিয়র অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়া, চীনের মতো পরাশক্তি। অ-২০ বাছাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়া থাকায় এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য অনেক সহায়ক মনে করছেন অধিনায়ক, ‘অবশ্যই ম্যাচগুলো অনেক কাজে আসবে। আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে।’

বাংলাদেশের ম্যাচগুলো