ইনজুরিতে মাঠের বাইরে মেসি
ইনজুরিতে মাঠের বাইরে মেসি
গত শনিবার নেকাক্সার বিপক্ষে লীগস কাপ ম্যাচে মাত্র ১০ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি অনুভব করায় সোজা সাইডলাইনে চলে যেতে হয় তাকে। পরদিন ইন্টার মায়ামি জানায়, আঘাতটি গুরুতর নয়, শুধু সামান্য মাংসপেশির চোট। তবু এই ইনজুরি জটিলতা তৈরি করেছে ইন্টার মায়ামি কোচ জাভিয়ের মাশচেরানোর জন্য। কারণ লীগস কাপ গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচসহ একাধিক ম্যাচে মেসিকে ছাড়া খেলতে হবে দলটিকে। একইসঙ্গে প্রভাব পড়েছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির পরিকল্পনায়ও।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বুয়েনস আয়ার্সে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ৯ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের মাঠে খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য আগেই কোয়ালিফাই করলেও মেসির উপস্থিতি সবসময় বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে। বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষের ম্যাচটি হবে আর্জেন্টিনার মাটিতে বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।
এখনও ম্যাচগুলোতে এক মাস বাকি এবং চোট যেহেতু ছোটখাটো, তাই ধারণা করা হচ্ছে, মেসি ওই দুই ম্যাচে খেলতে পারবেন। তবে কবে মাঠে ফিরবেন, তা নির্ভর করছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর।
২০২৪ সালের মার্চে মেসি ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগে ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনার বেশ কিছু ম্যাচ মিস করেছিলেন। এরপর ২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনালে ডান গোড়ালিতে লিগামেন্ট ইনজুরিতে পড়েন, যা অস্ত্রোপচার ছাড়াই সারানো হলেও দীর্ঘ সময় তাকে মাঠের বাইরে রাখে। এছাড়া ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা গত মার্চে বাঁ পায়ের অ্যাডাক্টর মাংসপেশির সমস্যায়ও ভুগেছিলেন, যার কারণে উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি। ইন্টার মায়ামির পরের ম্যাচগুলো: ৬ আগস্ট (লীগস কাপ), ১০ আগস্ট (এমএলএস), ১৬ আগস্ট (এমএলএস), ২৩ আগস্ট (এমএলএস) ও ৩০ আগস্ট (এমএলএস)।