এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপ ফুটবল
লাওসে অনুশীলনে বাংলাদেশের মেয়েরা
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ এইচে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও লাওস। আরেক প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে জয়ের আশা করছে দল। আজ লাওসের বিপক্ষে ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে এই ম্যাচ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাওস আছে ১০৭ নম্বরে। সেখানে ১২৮ নম্বরে বাংলাদেশ। লাওসের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ২১ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও দলটির বিপক্ষে জয়ের আশা করছেন, বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। এই ম্যাচে জয়ের ছকে কীভাবে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠা যায়, অনুশীলনে আফঈদা খন্দকার-নবীরনদের নিয়ে সেই কাজটি করেছেন বাটলার।
অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিনটি রানার্সআপ দল খেলবে মূলপর্বে। বাংলাদেশের গ্রুপে কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দল থাকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। রানার্সআপ হওয়া লক্ষ্য নিয়ে লাল-সবুজের মেয়েদের চাওয়া লাওস ও তিমুরের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়। যদিও ঘরের মাঠে লাওস কঠিন প্রতিপক্ষ, তারপরও ভালো করার আশা বাংলাদেশের। দলটির অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ম্যাচের আগের দিন বলেন, ‘কোচ আমাদের ডিফেন্সিং ও অ্যাটাকিংয়ের অ্যাপ্রোচ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের কাছাকাছি কীভাবে থাকতে হবে, সেটা নিয়ে কাজ হয়েছে। মেয়েরা ভালো কাজ করেছে।’ যেকোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লাওসের বিপক্ষে শুরুর ম্যাচে জিততে চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ টার্গেট করেছি। ওই হিসেবে প্রথম ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে ভালোভাবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাচ্ছি। যেটা আমাদের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে সাহায্য করবে’। একই সঙ্গে টার্গেট যে চূড়ান্তপর্বে যাওয়া, সেটাও জানিয়ে তিনি বলেন ‘আমাদের টার্গেট চূড়ান্তপর্বে খেলা। সামনে যেহেতু লাওস ম্যাচ, আপাতত সেই ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। আমরা যখন প্রথম ম্যাচ খেলব, তখন গ্রুপের অন্য দুই দলেরও খেলা হয়ে যাবে। তাদের নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর সময় পাবো।’ দায়িত্ব নেয়ার পর বৃটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ সিনিয়র দল দুটি ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছে একটি আন্তর্জাতিক আসর। প্রতিটিতেই তিনি এনে দিয়েছেন সফলতা। সিনিয়র সাফ শিরোপা জেতানোর পর বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ গত মাসে মায়ানমারে গড়েছে ইতিহাস। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পেঁৗঁছে গেছে নারী এশিয়ান কাপে। এর কয়েক দিন পর ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এবার তিনি দল নিয়ে গেলেন লাওসে। এবার লাওসে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। এর ঠিক আট মাস পর অস্ট্রেলিয়ার তিন শহরে বসবে নারী এশিয়ান কাপের মর্যাদার আসর। এশিয়ার সেরা ১২ দলের একটি হয়ে খেলবেন বাটলারের শিষ্যরা। ওই আসরের আগে বাটলারের কাছে লাওসের এই বাছাই আগামী বছর মার্চের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির একটি অংশ।
ঘরের মাঠে খেলা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ স্কোয়াড নিয়েই তিনি এসেছেন লাওসে। এই দলে সর্বশেষ জাতীয় দলের ৯ জন আছেন। আবার এই যুব দল থেকেও তিনি ভবিষ্যতের সিনিয়র দলের জন্য খেলোয়াড় বেছে নেবেন। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালে থাইল্যান্ডে এই আসরের মূলপর্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আরও বড় মঞ্চে অভ্যস্ত করার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই ব্রিটিশ কোচ। লাওস ম্যাচের আগে বাটলার বলেন, ‘লাওস অবশ্যই শক্ত প্রতিপক্ষ ঘরের মাঠে খেলা। তবে আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই, অতীতে পড়ে থাকতে চাই না। এই বাছাইটা আমাদের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মেয়েরা আরও বড় মঞ্চে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। যে অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে সিনিয়র দলের জন্য কাজে দেবে। আমার বিশ^াস মেয়েরা এখানে ভালো কিছুর অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।’
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপ ফুটবল
লাওসে অনুশীলনে বাংলাদেশের মেয়েরা
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ এইচে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও লাওস। আরেক প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে জয়ের আশা করছে দল। আজ লাওসের বিপক্ষে ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে এই ম্যাচ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাওস আছে ১০৭ নম্বরে। সেখানে ১২৮ নম্বরে বাংলাদেশ। লাওসের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ২১ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও দলটির বিপক্ষে জয়ের আশা করছেন, বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। এই ম্যাচে জয়ের ছকে কীভাবে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠা যায়, অনুশীলনে আফঈদা খন্দকার-নবীরনদের নিয়ে সেই কাজটি করেছেন বাটলার।
অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিনটি রানার্সআপ দল খেলবে মূলপর্বে। বাংলাদেশের গ্রুপে কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দল থাকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। রানার্সআপ হওয়া লক্ষ্য নিয়ে লাল-সবুজের মেয়েদের চাওয়া লাওস ও তিমুরের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়। যদিও ঘরের মাঠে লাওস কঠিন প্রতিপক্ষ, তারপরও ভালো করার আশা বাংলাদেশের। দলটির অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ম্যাচের আগের দিন বলেন, ‘কোচ আমাদের ডিফেন্সিং ও অ্যাটাকিংয়ের অ্যাপ্রোচ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের কাছাকাছি কীভাবে থাকতে হবে, সেটা নিয়ে কাজ হয়েছে। মেয়েরা ভালো কাজ করেছে।’ যেকোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লাওসের বিপক্ষে শুরুর ম্যাচে জিততে চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ টার্গেট করেছি। ওই হিসেবে প্রথম ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে ভালোভাবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাচ্ছি। যেটা আমাদের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে সাহায্য করবে’। একই সঙ্গে টার্গেট যে চূড়ান্তপর্বে যাওয়া, সেটাও জানিয়ে তিনি বলেন ‘আমাদের টার্গেট চূড়ান্তপর্বে খেলা। সামনে যেহেতু লাওস ম্যাচ, আপাতত সেই ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। আমরা যখন প্রথম ম্যাচ খেলব, তখন গ্রুপের অন্য দুই দলেরও খেলা হয়ে যাবে। তাদের নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর সময় পাবো।’ দায়িত্ব নেয়ার পর বৃটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ সিনিয়র দল দুটি ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছে একটি আন্তর্জাতিক আসর। প্রতিটিতেই তিনি এনে দিয়েছেন সফলতা। সিনিয়র সাফ শিরোপা জেতানোর পর বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ গত মাসে মায়ানমারে গড়েছে ইতিহাস। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পেঁৗঁছে গেছে নারী এশিয়ান কাপে। এর কয়েক দিন পর ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এবার তিনি দল নিয়ে গেলেন লাওসে। এবার লাওসে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। এর ঠিক আট মাস পর অস্ট্রেলিয়ার তিন শহরে বসবে নারী এশিয়ান কাপের মর্যাদার আসর। এশিয়ার সেরা ১২ দলের একটি হয়ে খেলবেন বাটলারের শিষ্যরা। ওই আসরের আগে বাটলারের কাছে লাওসের এই বাছাই আগামী বছর মার্চের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির একটি অংশ।
ঘরের মাঠে খেলা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ স্কোয়াড নিয়েই তিনি এসেছেন লাওসে। এই দলে সর্বশেষ জাতীয় দলের ৯ জন আছেন। আবার এই যুব দল থেকেও তিনি ভবিষ্যতের সিনিয়র দলের জন্য খেলোয়াড় বেছে নেবেন। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালে থাইল্যান্ডে এই আসরের মূলপর্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আরও বড় মঞ্চে অভ্যস্ত করার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই ব্রিটিশ কোচ। লাওস ম্যাচের আগে বাটলার বলেন, ‘লাওস অবশ্যই শক্ত প্রতিপক্ষ ঘরের মাঠে খেলা। তবে আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই, অতীতে পড়ে থাকতে চাই না। এই বাছাইটা আমাদের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মেয়েরা আরও বড় মঞ্চে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। যে অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে সিনিয়র দলের জন্য কাজে দেবে। আমার বিশ^াস মেয়েরা এখানে ভালো কিছুর অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।’