সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে রানের স্রোত বইয়ে সেরার পুরস্কার জয়ী শুবমান গিলের সামনে বড় এক স্বীকৃতি পাওয়ার হাতছানি। আইসিসি প্লেয়ার অব মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে তার দুই সঙ্গী ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস ও দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার।
গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) প্রকাশ করে আইসিসি। দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত অধিনায়ক না হলেও, যে ম্যাচের পারফরম্যান্সের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মুল্ডার, ওই ম্যাচে দলটির অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
জুলাইয়ের সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়া তিন নারী ক্রিকেটার হলেন ইংল্যান্ডের সোফি ডাঙ্কলি ও সোফি এক্লেস্টোন এবং আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইস।
শুবমান গিল: শুবমান গিল পাঁচ টেস্টে ৭৫৪ রান করেন । যেখানে গতমাসে তিন ম্যাচ খেলে ৯৪.৫০ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬৭ রান। এজবাস্টনে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৩১ রান। তার ওই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় ভারত। পরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বেন স্টোকস: ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্ট খেলে স্টোকস ৫০.২০ গড়ে ২৫১ রান করেন । বল হাতে ১২ উইকেট নেন ২৬.৩৩ গড়ে। সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তারই হাতে।
ম্যানচেস্টার টেস্টে নিজের সেরাটা মেলে ধরেন স্টোকস। ১৪১ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বোলিংয়ে ৭২ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া প্রথম ইংলিশ অধিনায়ক তিনি।
ভিয়ান মুল্ডার: জুলাইয়ে একটি ম্যাচ খেলেই মাস সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মুল্ডার। জিম্বাবুয়ে সফরের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার এই অন্তর্ভুক্তি। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা চোটে পড়ায় কেশাভ মহারাজের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট খেলতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টের পর ছিটকে যান মহারাজও। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পান মুল্ডার। প্রথমবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান মুল্ডার। একমাত্র ইনিংসে ৪ ছক্কা ও ৪৯ চারে ৩৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড।
পরে বল হাতে দুই ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মুল্ডার। ম্যাচটি ইনিংস ও ২৩৬ রান জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ৪ উইকেট নেয়া এই ক্রিকেটার হন সিরিজ সেরাও।
সোফি ডাঙ্কলি: ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত মাসে খেলা সাতটি ম্যাচেই ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন ডাঙ্কলি। চার টি-টোয়েন্টিতে ১৩৪.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪৪ রান করেন টপ অর্ডার এই ব্যাটার। পরে তিন ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ রান।
সোফি এক্লেস্টোন: ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার এক্লেস্টোন জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে এই সংস্করণে তিন ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নেন। সিরিজে ইংলিশদের সফলতম বোলার ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। চার টি-টোয়েন্টিতে ধরেন তিনি ৪ শিকার। দুটি সিরিজই ভারতের বিপক্ষে হারে ইংল্যান্ড।
গ্যাবি লুইস: ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে আয়ারল্যান্ড এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন লুইস। তিন টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ১৫৪ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতে নেন আইরিশ অধিনায়ক। আর দুই ওয়ানডেতে ৭৯.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৯৫ রান করেন তিনি।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে রানের স্রোত বইয়ে সেরার পুরস্কার জয়ী শুবমান গিলের সামনে বড় এক স্বীকৃতি পাওয়ার হাতছানি। আইসিসি প্লেয়ার অব মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে তার দুই সঙ্গী ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস ও দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার।
গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) প্রকাশ করে আইসিসি। দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত অধিনায়ক না হলেও, যে ম্যাচের পারফরম্যান্সের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মুল্ডার, ওই ম্যাচে দলটির অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
জুলাইয়ের সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়া তিন নারী ক্রিকেটার হলেন ইংল্যান্ডের সোফি ডাঙ্কলি ও সোফি এক্লেস্টোন এবং আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইস।
শুবমান গিল: শুবমান গিল পাঁচ টেস্টে ৭৫৪ রান করেন । যেখানে গতমাসে তিন ম্যাচ খেলে ৯৪.৫০ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬৭ রান। এজবাস্টনে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৩১ রান। তার ওই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় ভারত। পরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বেন স্টোকস: ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্ট খেলে স্টোকস ৫০.২০ গড়ে ২৫১ রান করেন । বল হাতে ১২ উইকেট নেন ২৬.৩৩ গড়ে। সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তারই হাতে।
ম্যানচেস্টার টেস্টে নিজের সেরাটা মেলে ধরেন স্টোকস। ১৪১ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বোলিংয়ে ৭২ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া প্রথম ইংলিশ অধিনায়ক তিনি।
ভিয়ান মুল্ডার: জুলাইয়ে একটি ম্যাচ খেলেই মাস সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মুল্ডার। জিম্বাবুয়ে সফরের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার এই অন্তর্ভুক্তি। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা চোটে পড়ায় কেশাভ মহারাজের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট খেলতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টের পর ছিটকে যান মহারাজও। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পান মুল্ডার। প্রথমবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান মুল্ডার। একমাত্র ইনিংসে ৪ ছক্কা ও ৪৯ চারে ৩৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড।
পরে বল হাতে দুই ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মুল্ডার। ম্যাচটি ইনিংস ও ২৩৬ রান জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ৪ উইকেট নেয়া এই ক্রিকেটার হন সিরিজ সেরাও।
সোফি ডাঙ্কলি: ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত মাসে খেলা সাতটি ম্যাচেই ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন ডাঙ্কলি। চার টি-টোয়েন্টিতে ১৩৪.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪৪ রান করেন টপ অর্ডার এই ব্যাটার। পরে তিন ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ রান।
সোফি এক্লেস্টোন: ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার এক্লেস্টোন জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে এই সংস্করণে তিন ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নেন। সিরিজে ইংলিশদের সফলতম বোলার ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। চার টি-টোয়েন্টিতে ধরেন তিনি ৪ শিকার। দুটি সিরিজই ভারতের বিপক্ষে হারে ইংল্যান্ড।
গ্যাবি লুইস: ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে আয়ারল্যান্ড এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন লুইস। তিন টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ১৫৪ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতে নেন আইরিশ অধিনায়ক। আর দুই ওয়ানডেতে ৭৯.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৯৫ রান করেন তিনি।