টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
নুরুল হাসান সোহান
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অধিনায়ক বলেছেন, ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্টে যাচ্ছেন তারা। ডারউইনে এই টুর্নামেন্ট খেলতে দুই ধাপে আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত ক্রিকেট মৌসুমের বাইরে গত তিন বছর ধরে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গতবার প্রথম অংশ নেয়। ফাইনালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমির কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল আকবর আলির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
দেশ ছাড়ার আগে বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সোহান একবার বলেন, আবারও ফাইনাল খেলাটা তাদের লক্ষ্য। ট্রফিতেই চোখ রাখছেন দলের সবাই। ‘একটা ভালো টুর্নামেন্টে আমরা যাচ্ছি। খুব ভালো ভালো দলই আছে এখানে। আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। অবশ্যই চাইব যেন ফাইনাল খেলতে পারি।’
‘শেখার প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি না, কারণ আমরা শিখতেই আছি। অবশ্যই শিখবো, সেটা জীবনেরই অংশ। কিন্তু যেহেতু একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, অবশ্যই লক্ষ্য ফাইনাল খেলার। দলের প্রতিটি ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন, সবারই লক্ষ্য ট্রফির দিকে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরের সুযোগ খুব বেশি হয় না। সেদিক থেকে পরপর দুই বছর এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারা ক্রিকেটারদের জন্য বড় ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভালো কয়েকটি প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়িয়ে ক্রিকেট উপহার দেয়ার আশা সোহানের।
‘অনেক ভালো দল আছে এই টুর্নামেন্টে। পাকিস্তান ‘এ’ দল আছে, নেপাল জাতীয় দল, ওখানকার যে দলগুলো আছে, ওখানে যাওয়ার পর বোঝার সুযোগ পাবো ভালোভাবে। সবই ভালো দল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হবে। এই কন্ডিশনে ভালো করার ভালো সুযোগ আমাদের।’
সোহানের নিজের জন্যও এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলে ফেরার যে লড়াই তিনি করছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে ‘এ’ দলে পারফর্ম করছেন নিয়মিত, সেই পথ ধরেই তিনি ছুটতে চান। দেশের জার্সিতে আবার খেলার স্বপ্ন তিনি হৃদয়ে ধারণ করেন প্রবলভাবেই।
‘এটা (জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া) আসলে আমার হাতে নয়, এটা নিয়ে মন্তব্য করাটাও ঠিক হবে না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যেখানে খেলছি, ভালো করার চেষ্টা করছি। নিজের জায়গা থেকে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। অবশ্যই জাতীয় দলের হয়ে খেলা একটা বড় গর্বের ব্যাপার। এটা খেলার জন্যই ছোট থেকে স্বপ্ন দেখেছি, এখনও স্বপ্ন দেখছি। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’
এই অস্ট্রেলিয়া সফরে ভালো করতে পারলে সেই স্বপ্নের দুয়ার খুলে যেতে পারে তার সামনে। এই মাসের শেষেই তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে নেদারল্যান্ডস। এরপরই আছে এশিয়া কাপ। তবে সেসব না ভেবে আপাতত শুধু অস্ট্রেলিয়ার এই টুর্নামেন্টকেই ভাবনায় রাখতে চান বাংলাদেশের হয়ে ৪৬ টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার।
‘আমার জন্য প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা অনুশীলন ম্যাচ হোক বা ঘরোয়া ম্যাচ।’
‘সামনে যা থাকে, আমি সেটাতেই মনোযোগ দিতে চাই। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, আমার কাছে মূল মনোযোগ এখানেই। আমার কাজ মাঠে পারফর্ম করা বা খেলা। সবসময় শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি। কোনো সময় হয়, কোনো সময় হয় না। এটা (জাতীয় দল) তাদের চিন্তার বিষয়। এখন আমার ভাবনা পুরোটাই এই টুর্নামেন্ট ঘিরে।’
সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সোহানের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সুযোগটি তিনি পাননি। নির্বাচকদের কাছে এটা নিয়ে যেমন অনেক প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল, তেমনি এমন আলোচনাও ছিল যে, রংপুর রাইডার্সের হয়ে গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লীগে খেলার জন্য তিনি নিজেই তখন জাতীয় দলের সিরিজে থাকতে চাননি।
তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
‘আমি একটা ব্যাপার পরিষ্কার করতে চাই, আমার প্রথম প্রাধান্য গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ছিল না। ওই টুর্নামেন্টের জন্য জাতীয় দলে ছিলাম না, এরকম কোনো ব্যাপারও ছিল না। চট্টগ্রামে ক্যাম্পে ছিলাম। যখন জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি, তখন ফঁাঁকা ছিলাম। বাসায় পড়ে থাকার চেয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলা ভালো। সেজন্যই এটা নিয়ে চিন্তা করেছি।’
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তান শাহিন্সের (এ দল) বিপক্ষে। পরের ম্যাচ ১৬ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে। এরপর ১৭ আগস্ট লড়াই পার্থ স্কর্চার্সের সঙ্গে, ১৯ আগস্ট প্রতিপক্ষ নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইক, ২১ আগস্ট খেলা মেলবোর্ন স্টার্সের সঙ্গে এবং ২৩ আগস্ট অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে।
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ২৪ আগস্ট। ফাইনালে উঠতে পারলে তাই দুই দিনে তিনটি ম্যাচ খেলবে হবে সোহানদের। সফরের জন্য সোহানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ঘোষণা করা হয়েছে দুই দিন আগে।
বাংলাদেশ ‘এ: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, জিসান আলম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, আফিফ হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, রকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, নাঈম হাসান, মুসফিক হাসান, রিপন মন্ডল, হাসান মাহমুদ।
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
নুরুল হাসান সোহান
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অধিনায়ক বলেছেন, ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্টে যাচ্ছেন তারা। ডারউইনে এই টুর্নামেন্ট খেলতে দুই ধাপে আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত ক্রিকেট মৌসুমের বাইরে গত তিন বছর ধরে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গতবার প্রথম অংশ নেয়। ফাইনালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমির কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল আকবর আলির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
দেশ ছাড়ার আগে বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সোহান একবার বলেন, আবারও ফাইনাল খেলাটা তাদের লক্ষ্য। ট্রফিতেই চোখ রাখছেন দলের সবাই। ‘একটা ভালো টুর্নামেন্টে আমরা যাচ্ছি। খুব ভালো ভালো দলই আছে এখানে। আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। অবশ্যই চাইব যেন ফাইনাল খেলতে পারি।’
‘শেখার প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি না, কারণ আমরা শিখতেই আছি। অবশ্যই শিখবো, সেটা জীবনেরই অংশ। কিন্তু যেহেতু একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, অবশ্যই লক্ষ্য ফাইনাল খেলার। দলের প্রতিটি ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন, সবারই লক্ষ্য ট্রফির দিকে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরের সুযোগ খুব বেশি হয় না। সেদিক থেকে পরপর দুই বছর এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারা ক্রিকেটারদের জন্য বড় ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভালো কয়েকটি প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়িয়ে ক্রিকেট উপহার দেয়ার আশা সোহানের।
‘অনেক ভালো দল আছে এই টুর্নামেন্টে। পাকিস্তান ‘এ’ দল আছে, নেপাল জাতীয় দল, ওখানকার যে দলগুলো আছে, ওখানে যাওয়ার পর বোঝার সুযোগ পাবো ভালোভাবে। সবই ভালো দল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হবে। এই কন্ডিশনে ভালো করার ভালো সুযোগ আমাদের।’
সোহানের নিজের জন্যও এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলে ফেরার যে লড়াই তিনি করছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে ‘এ’ দলে পারফর্ম করছেন নিয়মিত, সেই পথ ধরেই তিনি ছুটতে চান। দেশের জার্সিতে আবার খেলার স্বপ্ন তিনি হৃদয়ে ধারণ করেন প্রবলভাবেই।
‘এটা (জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া) আসলে আমার হাতে নয়, এটা নিয়ে মন্তব্য করাটাও ঠিক হবে না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যেখানে খেলছি, ভালো করার চেষ্টা করছি। নিজের জায়গা থেকে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। অবশ্যই জাতীয় দলের হয়ে খেলা একটা বড় গর্বের ব্যাপার। এটা খেলার জন্যই ছোট থেকে স্বপ্ন দেখেছি, এখনও স্বপ্ন দেখছি। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’
এই অস্ট্রেলিয়া সফরে ভালো করতে পারলে সেই স্বপ্নের দুয়ার খুলে যেতে পারে তার সামনে। এই মাসের শেষেই তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে নেদারল্যান্ডস। এরপরই আছে এশিয়া কাপ। তবে সেসব না ভেবে আপাতত শুধু অস্ট্রেলিয়ার এই টুর্নামেন্টকেই ভাবনায় রাখতে চান বাংলাদেশের হয়ে ৪৬ টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার।
‘আমার জন্য প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা অনুশীলন ম্যাচ হোক বা ঘরোয়া ম্যাচ।’
‘সামনে যা থাকে, আমি সেটাতেই মনোযোগ দিতে চাই। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, আমার কাছে মূল মনোযোগ এখানেই। আমার কাজ মাঠে পারফর্ম করা বা খেলা। সবসময় শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি। কোনো সময় হয়, কোনো সময় হয় না। এটা (জাতীয় দল) তাদের চিন্তার বিষয়। এখন আমার ভাবনা পুরোটাই এই টুর্নামেন্ট ঘিরে।’
সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সোহানের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সুযোগটি তিনি পাননি। নির্বাচকদের কাছে এটা নিয়ে যেমন অনেক প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল, তেমনি এমন আলোচনাও ছিল যে, রংপুর রাইডার্সের হয়ে গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লীগে খেলার জন্য তিনি নিজেই তখন জাতীয় দলের সিরিজে থাকতে চাননি।
তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
‘আমি একটা ব্যাপার পরিষ্কার করতে চাই, আমার প্রথম প্রাধান্য গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ছিল না। ওই টুর্নামেন্টের জন্য জাতীয় দলে ছিলাম না, এরকম কোনো ব্যাপারও ছিল না। চট্টগ্রামে ক্যাম্পে ছিলাম। যখন জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি, তখন ফঁাঁকা ছিলাম। বাসায় পড়ে থাকার চেয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলা ভালো। সেজন্যই এটা নিয়ে চিন্তা করেছি।’
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তান শাহিন্সের (এ দল) বিপক্ষে। পরের ম্যাচ ১৬ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে। এরপর ১৭ আগস্ট লড়াই পার্থ স্কর্চার্সের সঙ্গে, ১৯ আগস্ট প্রতিপক্ষ নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইক, ২১ আগস্ট খেলা মেলবোর্ন স্টার্সের সঙ্গে এবং ২৩ আগস্ট অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে।
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ২৪ আগস্ট। ফাইনালে উঠতে পারলে তাই দুই দিনে তিনটি ম্যাচ খেলবে হবে সোহানদের। সফরের জন্য সোহানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ঘোষণা করা হয়েছে দুই দিন আগে।
বাংলাদেশ ‘এ: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, জিসান আলম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, আফিফ হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, রকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, নাঈম হাসান, মুসফিক হাসান, রিপন মন্ডল, হাসান মাহমুদ।