ব্রেভিসের রেকর্ড গড়া ইনিংস
ডেভাল্ড ব্রেভিসের রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৩ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরালো দক্ষিণ আফ্রিকা । মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। এই তরুণ ব্যাটার মাত্র ৪১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেন। তার ১২৫ রানের রেকর্ড ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে ২১৮ রান করে। বড় লক্ষ্যে নেমে কেবল টিম ডেভিড জ্বলে ওঠেন। কেনা মাফাকা ও করবিন বশের বোলিংয়ে ১৭.৪ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
টসে জিতে বোলিং নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভালো শুরু করেছিল। ৪৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ব্রেভিস ক্রিজে নেমে নিজের দ্বিতীয় বলে চার মারেন। সপ্তম ডেলিভারিতে ছক্কা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিন ছয় ও এক চার মেরে ওভারে ২৪ রান তোলেন ব্রেভিস। জশ হ্যাজেলউডও এক ওভারে ১৮ রান দেন তাকে।
৫৭ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর দাপট দেখিয়ে ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে ১২৬ রানের জুটি গড়েন ব্রেভিস। ৩১ রান করে স্টাবস বিদায় নিলে এই জুটি ভাঙে। ২৫ বলে করা ফিফটিকে তিন অঙ্কের ঘরে নিতে আর ১৬ বল খেলেন ব্রেভিস। ইনিংস শেষে তিনি পাঁচটি রেকর্ড গড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত টি-টোয়েন্টি স্কোর তার। ৫৬ বলে ১২ চার ও ৮ ছয়ে ১২৫ রান করেন তিনি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডু প্লেসির ১১৯ রান পেছনে পড়ে গেলো। প্র্রোটিয়ার যেকোনও ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান করলেন ব্রেভিস। আবার অজিদের বিপক্ষে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। ২০২৩ সালে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ১২৩ রান পেছনে পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২০ বাউন্ডারি মারা দক্ষিণ আফ্রিকান তিনি। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বোলারের বিরুদ্ধেই ২০-এর বেশি রান নিয়েছেন ব্রেভিস। ম্যাক্সওয়েল ও ডোয়ারশুইস সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে ২৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে মিচেল মার্শ ও ডেভিডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দুশ্চিন্তায় পড়েছিল। মার্শকে (২২) ফিরিয়ে ২২ বলে ৪৮ রানের জুটি ভেঙে দেন বশ। তারপর ডেভিড হাফ সেঞ্চুরি করে কাগিসো রাবাদার শিকার হলে অজিদের লড়াইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৭ রানের। অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল ওয়েনের ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি ভাঙতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয় তরান্বিত হয়। ২৬ রান করেন ক্যারি। অস্ট্রেলিয়া ১৮ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায়।
বশ ও মাফাকা সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচসেরা হন ব্রেভিস। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি শনিবার কেয়ার্নসে।
ব্রেভিসের রেকর্ড গড়া ইনিংস
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
ডেভাল্ড ব্রেভিসের রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৩ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরালো দক্ষিণ আফ্রিকা । মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। এই তরুণ ব্যাটার মাত্র ৪১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেন। তার ১২৫ রানের রেকর্ড ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে ২১৮ রান করে। বড় লক্ষ্যে নেমে কেবল টিম ডেভিড জ্বলে ওঠেন। কেনা মাফাকা ও করবিন বশের বোলিংয়ে ১৭.৪ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
টসে জিতে বোলিং নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভালো শুরু করেছিল। ৪৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ব্রেভিস ক্রিজে নেমে নিজের দ্বিতীয় বলে চার মারেন। সপ্তম ডেলিভারিতে ছক্কা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিন ছয় ও এক চার মেরে ওভারে ২৪ রান তোলেন ব্রেভিস। জশ হ্যাজেলউডও এক ওভারে ১৮ রান দেন তাকে।
৫৭ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর দাপট দেখিয়ে ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে ১২৬ রানের জুটি গড়েন ব্রেভিস। ৩১ রান করে স্টাবস বিদায় নিলে এই জুটি ভাঙে। ২৫ বলে করা ফিফটিকে তিন অঙ্কের ঘরে নিতে আর ১৬ বল খেলেন ব্রেভিস। ইনিংস শেষে তিনি পাঁচটি রেকর্ড গড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত টি-টোয়েন্টি স্কোর তার। ৫৬ বলে ১২ চার ও ৮ ছয়ে ১২৫ রান করেন তিনি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডু প্লেসির ১১৯ রান পেছনে পড়ে গেলো। প্র্রোটিয়ার যেকোনও ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান করলেন ব্রেভিস। আবার অজিদের বিপক্ষে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। ২০২৩ সালে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ১২৩ রান পেছনে পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২০ বাউন্ডারি মারা দক্ষিণ আফ্রিকান তিনি। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বোলারের বিরুদ্ধেই ২০-এর বেশি রান নিয়েছেন ব্রেভিস। ম্যাক্সওয়েল ও ডোয়ারশুইস সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে ২৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে মিচেল মার্শ ও ডেভিডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দুশ্চিন্তায় পড়েছিল। মার্শকে (২২) ফিরিয়ে ২২ বলে ৪৮ রানের জুটি ভেঙে দেন বশ। তারপর ডেভিড হাফ সেঞ্চুরি করে কাগিসো রাবাদার শিকার হলে অজিদের লড়াইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৭ রানের। অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল ওয়েনের ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি ভাঙতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয় তরান্বিত হয়। ২৬ রান করেন ক্যারি। অস্ট্রেলিয়া ১৮ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায়।
বশ ও মাফাকা সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচসেরা হন ব্রেভিস। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি শনিবার কেয়ার্নসে।