মেলবোর্নে অ্যাশেজ ট্রফির ডামির সঙ্গে বোল্যান্ড
সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজটা বাজে কাটে স্কট বোল্যান্ডের। ইংল্যান্ডে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি এই অস্ট্রেলিয়ান বোলার । তবে এবার লড়াইটা ঘরের মাঠে। চেনা কন্ডিশনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের আগ্রাসী ক্রিকেটের সামনে এবার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অজি পেসার বোল্যান্ড।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এজবাস্টন ও হেডিংলিতে তার ওপর আক্রমণ চালান ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। তাতে ১১৫.৫০ গড়ে মাত্র দুই উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন ডানহাতি এই পেসার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এতো বাজে পারফরম্যান্স কখনও করেননি তিনি।
১৪ টেস্ট খেলে ৬২ উইকেট নেয়া বোল্যান্ডের বোলিং গড় ১৬.৫৩। টেস্ট ইতিহাসে অন্তত ৫০ উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে ষষ্ঠ সেরা বোলিং গড় তার। গত ১১০ বছরের মধ্যে এতো কম বোলিং গড়ে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি কেউ।
পরিসংখ্যানের দিক থেকে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে গড়ের হিসেবে সেরা টেস্ট বোলার হয়েও অস্ট্রেলিয়া দলে নিয়মিত নন বোল্যান্ড। দলটির পেসত্রয়ী প্যাট কামিন্স, জশ হেজেলউড ও মিচেল স্টার্কের মধ্যে কেউ চোট পেলে কিংবা বিশ্রামে গেলেই কেবল সুযোগ আসে তার। আর সীমিত সেই সুযোগটিই তিনি কাজে লাগান দারুণভাবে।
ঘরের মাঠে ২০২১-২২ মৌসুমের অ্যাশেজ দিয়ে টেস্ট অভিষেক বোল্যান্ডের। ওই সিরিজে ১৮ উইকেট নেন তিনি ৯.৫৫ গড়ে। নিজ আঙিনায় এবার সুযোগ পেলে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের নিষ্ক্রিয় করে রাখতে নিজেকে প্রস্তুত মনে করছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
২০২৩ সালে ওই পারফরম্যান্সের পর থেকে আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। তবে আমার এখনও মনে হয়, ইংল্যান্ডে এমন কিছু সময় ছিল যখন আমি ভালো বোলিং করেছি, কিন্তু উইকেট পাইনি। আমি আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো বোলার। নিজেদের কন্ডিশনে খেলব, যেটা সম্পর্কে আমি খুব ভালো করেই জানি। ভালো কিছু পারফরম্যান্স উপহার দেয়ার আশায় আছি।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে বলে মনে করেন বোল্যান্ড। তার মতে, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন গত কয়েক বছরের মতো বোলিং সহায়ক হলে ‘বাজবল’ কৌশলে খেললে ভুগতে হবে ইংলিশদের।
তিনি বলেন, তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে। গত কয়েক বছরের মতো যদি উইকেট থাকে, আমার মনে হয়, ম্যাচের লাগাম সবসময় আমাদের হাতেই থাকবে। গতবার ইংল্যান্ড সফরে বলে খুব কমই মুভমেন্ট পাওয়া গেছে এবং বোলাররা কমই সহায়তা পেয়েছে। সেখানে সাধারণত উইকেটগুলো ব্যাটিং সহায়ক থাকে। অস্ট্রেলিয়ার কথা বললে, গত তিন কিংবা চার বছর ধরে এখানে উইকেট বোলারদের সহায়তা করেছে।
আগামী নভেম্বরে পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ।
মেলবোর্নে অ্যাশেজ ট্রফির ডামির সঙ্গে বোল্যান্ড
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজটা বাজে কাটে স্কট বোল্যান্ডের। ইংল্যান্ডে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি এই অস্ট্রেলিয়ান বোলার । তবে এবার লড়াইটা ঘরের মাঠে। চেনা কন্ডিশনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের আগ্রাসী ক্রিকেটের সামনে এবার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অজি পেসার বোল্যান্ড।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এজবাস্টন ও হেডিংলিতে তার ওপর আক্রমণ চালান ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। তাতে ১১৫.৫০ গড়ে মাত্র দুই উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন ডানহাতি এই পেসার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এতো বাজে পারফরম্যান্স কখনও করেননি তিনি।
১৪ টেস্ট খেলে ৬২ উইকেট নেয়া বোল্যান্ডের বোলিং গড় ১৬.৫৩। টেস্ট ইতিহাসে অন্তত ৫০ উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে ষষ্ঠ সেরা বোলিং গড় তার। গত ১১০ বছরের মধ্যে এতো কম বোলিং গড়ে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি কেউ।
পরিসংখ্যানের দিক থেকে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে গড়ের হিসেবে সেরা টেস্ট বোলার হয়েও অস্ট্রেলিয়া দলে নিয়মিত নন বোল্যান্ড। দলটির পেসত্রয়ী প্যাট কামিন্স, জশ হেজেলউড ও মিচেল স্টার্কের মধ্যে কেউ চোট পেলে কিংবা বিশ্রামে গেলেই কেবল সুযোগ আসে তার। আর সীমিত সেই সুযোগটিই তিনি কাজে লাগান দারুণভাবে।
ঘরের মাঠে ২০২১-২২ মৌসুমের অ্যাশেজ দিয়ে টেস্ট অভিষেক বোল্যান্ডের। ওই সিরিজে ১৮ উইকেট নেন তিনি ৯.৫৫ গড়ে। নিজ আঙিনায় এবার সুযোগ পেলে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের নিষ্ক্রিয় করে রাখতে নিজেকে প্রস্তুত মনে করছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
২০২৩ সালে ওই পারফরম্যান্সের পর থেকে আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। তবে আমার এখনও মনে হয়, ইংল্যান্ডে এমন কিছু সময় ছিল যখন আমি ভালো বোলিং করেছি, কিন্তু উইকেট পাইনি। আমি আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো বোলার। নিজেদের কন্ডিশনে খেলব, যেটা সম্পর্কে আমি খুব ভালো করেই জানি। ভালো কিছু পারফরম্যান্স উপহার দেয়ার আশায় আছি।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে বলে মনে করেন বোল্যান্ড। তার মতে, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন গত কয়েক বছরের মতো বোলিং সহায়ক হলে ‘বাজবল’ কৌশলে খেললে ভুগতে হবে ইংলিশদের।
তিনি বলেন, তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে। গত কয়েক বছরের মতো যদি উইকেট থাকে, আমার মনে হয়, ম্যাচের লাগাম সবসময় আমাদের হাতেই থাকবে। গতবার ইংল্যান্ড সফরে বলে খুব কমই মুভমেন্ট পাওয়া গেছে এবং বোলাররা কমই সহায়তা পেয়েছে। সেখানে সাধারণত উইকেটগুলো ব্যাটিং সহায়ক থাকে। অস্ট্রেলিয়ার কথা বললে, গত তিন কিংবা চার বছর ধরে এখানে উইকেট বোলারদের সহায়তা করেছে।
আগামী নভেম্বরে পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ।