টড গ্রিনবার্গ
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বি-স্তর রীতি চালু নিয়ে। এই ফরম্যাটে প্রথম সারির ছয়টি দল এক গ্রুপে এবং বাকি ছয় দেশকে আরেক গ্রুপে রেখে টেস্ট সূচি প্রস্তুতের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এরই মাঝে অতিরিক্ত টেস্ট খেলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান পদ্ধতি যেকোনো দেশকে দেউলিয়া করতে পারে বলেও সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টেস্ট ফরম্যাটে দ্বি-স্তর কাঠামো চালু করতে আলোচনার জন্য ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করেছে। এরই মাঝে নতুন কাঠামো প্রবর্তনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী গ্রিনবার্গ। তিনি বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কম থাকা আমাদের জন্য অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ। বিশ্বের প্রতিটি দেশকে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখতে হবে বলে আমি মনে করি না। আমরা জোর করে টেস্ট খেলতে বাধ্য করে আসলে কিছু দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছি।
গ্রিনবার্গ ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজের মতো প্রতিযোগিতায় বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ২০২৫-২৬ মৌসুমে অ্যাশেজ হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। যা শুরু হতে আর মাত্র ১০০ দিন বাকি। ইতোমধ্যে ঐতিহ্যবাহী সিরিজটি নিয়ে দুই দল প্রস্তুতি শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে শচীন-অ্যান্ডারসন সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড-ভারত। যা ২-২ সমতায় শেষ হওয়া রোমাঞ্চকর ওই সিরিজ টেস্ট ক্রিকেটের সেরা দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ানরা তিনটি টেস্টই জিতেছে একপেশে দাপট দেখিয়ে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড দলও জিম্বাবুয়েকে ইনিংসের পাশাপাশি বড় রানের ব্যবধানে পরাজিত করে অনায়াসে সিরিজ জিতেছে। ফলে বড় দলের সঙ্গে এমন সিরিজ আয়োজনকে দেউলিয়া পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন অজি সিইও গ্রিনবার্গ।
তার মতে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে টেস্ট ক্রিকেট এমন জায়গায় বা এমন দলগুলোকে নিয়ে আয়োজন করা উচিতে যখানে এর মূল্য আছে এবং আছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অনিশ্চয়তা। তিনি বলেন, এজন্যই অ্যাশেজ এতো বড় পরিসরে হয় এবং এটি লাভজনকও। অর্থাৎ, এমন সিরিজ আয়োজনের যথেষ্ট কারণ আছে।
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, সকল দেশকে টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া উচিত। সবাই টেস্ট খেলার যোগ্যও নয়। সবাই মিলে টেস্ট খেললে তাতে আখেরে ক্ষতি হবে। আর্থিক সমস্যায় পড়বে দেশগুলো। এ রকম চলতে থাকলে টেস্ট ক্রিকেট দেশগুলোকে দেউলিয়া করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ নিজেদের মধ্যে যত খেলবে ততো ভালো হবে। আইসিসি-র সেটা দেখা উচিত।’
তিনি আরও বলেছেন, টি টোয়েন্টিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ ও দ্য হান্ড্রেডের মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের উত্থান টেস্ট ক্রিকেটের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যেখানে খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেটেই মোটা অঙ্কের চুক্তি পাচ্ছেন এবং বিশ্ব ক্রিকেটের সূচি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
টড গ্রিনবার্গ
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বি-স্তর রীতি চালু নিয়ে। এই ফরম্যাটে প্রথম সারির ছয়টি দল এক গ্রুপে এবং বাকি ছয় দেশকে আরেক গ্রুপে রেখে টেস্ট সূচি প্রস্তুতের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এরই মাঝে অতিরিক্ত টেস্ট খেলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান পদ্ধতি যেকোনো দেশকে দেউলিয়া করতে পারে বলেও সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টেস্ট ফরম্যাটে দ্বি-স্তর কাঠামো চালু করতে আলোচনার জন্য ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করেছে। এরই মাঝে নতুন কাঠামো প্রবর্তনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী গ্রিনবার্গ। তিনি বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কম থাকা আমাদের জন্য অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ। বিশ্বের প্রতিটি দেশকে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখতে হবে বলে আমি মনে করি না। আমরা জোর করে টেস্ট খেলতে বাধ্য করে আসলে কিছু দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছি।
গ্রিনবার্গ ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজের মতো প্রতিযোগিতায় বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ২০২৫-২৬ মৌসুমে অ্যাশেজ হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। যা শুরু হতে আর মাত্র ১০০ দিন বাকি। ইতোমধ্যে ঐতিহ্যবাহী সিরিজটি নিয়ে দুই দল প্রস্তুতি শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে শচীন-অ্যান্ডারসন সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড-ভারত। যা ২-২ সমতায় শেষ হওয়া রোমাঞ্চকর ওই সিরিজ টেস্ট ক্রিকেটের সেরা দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ানরা তিনটি টেস্টই জিতেছে একপেশে দাপট দেখিয়ে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড দলও জিম্বাবুয়েকে ইনিংসের পাশাপাশি বড় রানের ব্যবধানে পরাজিত করে অনায়াসে সিরিজ জিতেছে। ফলে বড় দলের সঙ্গে এমন সিরিজ আয়োজনকে দেউলিয়া পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন অজি সিইও গ্রিনবার্গ।
তার মতে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে টেস্ট ক্রিকেট এমন জায়গায় বা এমন দলগুলোকে নিয়ে আয়োজন করা উচিতে যখানে এর মূল্য আছে এবং আছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অনিশ্চয়তা। তিনি বলেন, এজন্যই অ্যাশেজ এতো বড় পরিসরে হয় এবং এটি লাভজনকও। অর্থাৎ, এমন সিরিজ আয়োজনের যথেষ্ট কারণ আছে।
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, সকল দেশকে টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া উচিত। সবাই টেস্ট খেলার যোগ্যও নয়। সবাই মিলে টেস্ট খেললে তাতে আখেরে ক্ষতি হবে। আর্থিক সমস্যায় পড়বে দেশগুলো। এ রকম চলতে থাকলে টেস্ট ক্রিকেট দেশগুলোকে দেউলিয়া করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ নিজেদের মধ্যে যত খেলবে ততো ভালো হবে। আইসিসি-র সেটা দেখা উচিত।’
তিনি আরও বলেছেন, টি টোয়েন্টিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ ও দ্য হান্ড্রেডের মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের উত্থান টেস্ট ক্রিকেটের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যেখানে খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেটেই মোটা অঙ্কের চুক্তি পাচ্ছেন এবং বিশ্ব ক্রিকেটের সূচি আরও জটিল হয়ে উঠছে।