টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের উইকেট উদ্যাপন
অস্ট্রেলিয়ার টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পথচলা শুরু হলো বিশাল পরাজয়ে। বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনে পাকিস্তান শাহিনস (‘এ’ দল) ৭৯ রানে হারায় নুরুল হাসান সোহানের দলকে ।
মারারা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২২৮ রান করতে নেমে একপর্যায়ে ১ উইকেটে ৯২ রানে থাকা দল পরের ৯ উইকেট হারায় ৫৬ রানের মধ্যেই।
ইনিংসের চতুর্থ বলে চার মারেন নাঈম শেখ পরের বলেই বোল্ড হন। তবে বোলিংয়ে ব্যর্থ সাইফ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। তার সঙ্গে যোগ দেন তরুণ জিসান আলম। দু’জনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষেও প্রথম তিন বলে দুটি ছক্কা একটি চার মেরে দলকে একশ’র কাছে নিয়ে যান সাইফ। তবে শট খেলার চেষ্টাতেই বাঁহাতি স্পিনার সাদাকাতকে উইকেট দিয়ে ফেরেন জিসান ১৭ বলে ৩৩ রানে। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান ধরে রাখতে পারেননি সেই ধারা।
৩৪ ওয়ানডে ও ৭০ টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞ আফিফ হোসেন ৬ রান করতে পারেন ৮ বল খেলে। রানের গতি কমে আসে অনেকটাই। সেই গতিতে দম দেয়ার চেষ্টায় সাইফ হাসানও বিদায় নেন। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে করেন তিনি ৫৭ রান।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন প্রথম বলেই ছক্কা মেরে কাভারে ক্যাচ দেন তৃতীয় বলে। মাহফুজুর রাব্বি ১০ বলে করেন ৩। অধিনায়ক সোহান ১৬ বলে ২২ করে বিদায় নিলে বাংলাদেশ ১৯ বল বাকি রেখেই গুটিয়ে যায় ১৪৮ রানে। পাকিস্তানের দলটির একাদশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা ছিল চারজনের। বাংলাদেশের একাদশের ১০ জনের ছিল আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। কিন্তু তারা পাত্তা পেলেন না তরুণ পাকিস্তানি দলটির কাছে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান বড় স্কোরের ভিত পায় দুই ওপেনারের ব্যাটে।
পেস-স্পিন মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫ বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক সোহান। পাকিস্তানের রান তবু উঠে যায় ৬৯। ২৭ বলে ফিফটিতে পা রাখেন নাফে। দশম ওভারে দলের রান পেরিয়ে যায় একশ’। ১১ ওভারে ১১৮ রান তোলার পর ভাঙে ওপেনিং জুটি। রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন নাফে। তার ৬১ রান আসে ৩১ বলে। একটু পরই ফেরেন ইয়াসির। রাব্বির বলে ছক্কা মারার পরের বলেই কিপার সোহানের হাতে ধরা পড়েন ৪০ বলে ৬২ করে।
আব্দুল সামাদ নেমে সাইফ হাসানের এক ওভারে মারেন চারটি ছক্কা। ১০ বলে ১৮ রান করেন ফাইক, তিন ছক্কায় ১৩ বলে ২৫ অধিনায়ক ইরফান খান। সামাদ অপরাজিত রয়ে যান ৫ ছক্কায় ২৭ বলে ৫৬ রান করে।
বাংলাদেশের কোনো বোলার প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান শাহিনস ২২৭/৪ (নাফে ৬১, ইয়াসির ৬২, সামাদ ৫৬*, ফাইক ১৮*, ইরফান ২৫; রকিবুল ১/৪৩, হাসান ১/৩৪, মাহফুজুর ১/৩৯)।
বাংলাদেশ ‘এ’ ১৬.৫ ওভারে ১৪৮/১০ (নাঈম ৫, জিসান ৩৩, সাইফ ৫৭, আফিফ ৬, সোহান ২২, অঙ্কন ৬, মাহফুজুর ৩, মৃত্যুঞ্জয়, রকিবুল ১; আকরাম ৩/১৯, মাসুদ ৩/৩০, ওয়াসিম ২/২৪)।
ম্যাচ সেরা: ইয়াসির খান।
সোহানদের পরের ম্যাচ শনিবার নেপালের বিপক্ষে
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের উইকেট উদ্যাপন
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পথচলা শুরু হলো বিশাল পরাজয়ে। বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনে পাকিস্তান শাহিনস (‘এ’ দল) ৭৯ রানে হারায় নুরুল হাসান সোহানের দলকে ।
মারারা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২২৮ রান করতে নেমে একপর্যায়ে ১ উইকেটে ৯২ রানে থাকা দল পরের ৯ উইকেট হারায় ৫৬ রানের মধ্যেই।
ইনিংসের চতুর্থ বলে চার মারেন নাঈম শেখ পরের বলেই বোল্ড হন। তবে বোলিংয়ে ব্যর্থ সাইফ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। তার সঙ্গে যোগ দেন তরুণ জিসান আলম। দু’জনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষেও প্রথম তিন বলে দুটি ছক্কা একটি চার মেরে দলকে একশ’র কাছে নিয়ে যান সাইফ। তবে শট খেলার চেষ্টাতেই বাঁহাতি স্পিনার সাদাকাতকে উইকেট দিয়ে ফেরেন জিসান ১৭ বলে ৩৩ রানে। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান ধরে রাখতে পারেননি সেই ধারা।
৩৪ ওয়ানডে ও ৭০ টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞ আফিফ হোসেন ৬ রান করতে পারেন ৮ বল খেলে। রানের গতি কমে আসে অনেকটাই। সেই গতিতে দম দেয়ার চেষ্টায় সাইফ হাসানও বিদায় নেন। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে করেন তিনি ৫৭ রান।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন প্রথম বলেই ছক্কা মেরে কাভারে ক্যাচ দেন তৃতীয় বলে। মাহফুজুর রাব্বি ১০ বলে করেন ৩। অধিনায়ক সোহান ১৬ বলে ২২ করে বিদায় নিলে বাংলাদেশ ১৯ বল বাকি রেখেই গুটিয়ে যায় ১৪৮ রানে। পাকিস্তানের দলটির একাদশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা ছিল চারজনের। বাংলাদেশের একাদশের ১০ জনের ছিল আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। কিন্তু তারা পাত্তা পেলেন না তরুণ পাকিস্তানি দলটির কাছে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান বড় স্কোরের ভিত পায় দুই ওপেনারের ব্যাটে।
পেস-স্পিন মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫ বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক সোহান। পাকিস্তানের রান তবু উঠে যায় ৬৯। ২৭ বলে ফিফটিতে পা রাখেন নাফে। দশম ওভারে দলের রান পেরিয়ে যায় একশ’। ১১ ওভারে ১১৮ রান তোলার পর ভাঙে ওপেনিং জুটি। রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন নাফে। তার ৬১ রান আসে ৩১ বলে। একটু পরই ফেরেন ইয়াসির। রাব্বির বলে ছক্কা মারার পরের বলেই কিপার সোহানের হাতে ধরা পড়েন ৪০ বলে ৬২ করে।
আব্দুল সামাদ নেমে সাইফ হাসানের এক ওভারে মারেন চারটি ছক্কা। ১০ বলে ১৮ রান করেন ফাইক, তিন ছক্কায় ১৩ বলে ২৫ অধিনায়ক ইরফান খান। সামাদ অপরাজিত রয়ে যান ৫ ছক্কায় ২৭ বলে ৫৬ রান করে।
বাংলাদেশের কোনো বোলার প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান শাহিনস ২২৭/৪ (নাফে ৬১, ইয়াসির ৬২, সামাদ ৫৬*, ফাইক ১৮*, ইরফান ২৫; রকিবুল ১/৪৩, হাসান ১/৩৪, মাহফুজুর ১/৩৯)।
বাংলাদেশ ‘এ’ ১৬.৫ ওভারে ১৪৮/১০ (নাঈম ৫, জিসান ৩৩, সাইফ ৫৭, আফিফ ৬, সোহান ২২, অঙ্কন ৬, মাহফুজুর ৩, মৃত্যুঞ্জয়, রকিবুল ১; আকরাম ৩/১৯, মাসুদ ৩/৩০, ওয়াসিম ২/২৪)।
ম্যাচ সেরা: ইয়াসির খান।
সোহানদের পরের ম্যাচ শনিবার নেপালের বিপক্ষে