ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো
বার্সেলোনার আছে লামিনে ইয়ামাল, রেয়াল মাদ্রিদে ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো! এই দুটি নাম পাশাপাশি রাখা কিংবা দুজনের তুলনা অবশ্যই বাড়াবাড়ি। বয়স ছাড়া আপাতত দুজনের কোনো মিলও নেই। তবে রবার্তো লেভানদোস্কির ধারণা, ইয়ামালের মতো কাউকে খুঁজে বের করার চাপ থেকেই মাস্তানতুয়োনোকে দলে নিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। তবে বার্সেলোনার অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড নিশ্চিত, ইয়ামালের মতো কাউকে পাবে না রেয়াল।
বয়সে ইয়ামালের চেয়ে এক মাসের ছোট মাস্তানতুয়োনো। আর্জেন্টিনার এই তরুণ প্রতিভাকে সাড়ে চার কোটি ইউরোতে রিভারপ্লেট থেকে দলে নিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। গত বৃহস্পতিবার তার বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবে তার পথচলা।
লেভানদোস্কির মতে, ইয়ামালের মতো কাউকে বের করার চাপ থেকেই মাস্তানতুয়োনোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে রেয়াল। তবে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর উদাহরণ তুলে ধরে বার্সার পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্তো লেভানদোস্কি ইএসপিএনকে বলেন, এ ধরনের প্রতিভা আসলে খুঁজে বের করা যায় না।
‘ফুটবলারদের মধ্যে তুলনা করা যায় না, বিশেষ করে এই বয়সে। অবশ্যই লামিনের মতো কাউকে খুঁজে বের করা চাপে আছে তারা (রেয়াল মাদ্রিদ)। তবে আমার মতে, সেটা অসম্ভব এবং ভালো হয় নিজের মতো পথ বেছে নিলে। অবশ্যই সমর্থকদের দিক থেকে প্রত্যাশা থাকবেই যেন লামিনের মতো কাউকে তারা বের করতে পারে।’
‘তবে এসব আসলে খুঁজে বের করা যায় না। কারণ প্রতি শহরে প্রতি বছর এ ধরনের ছেলেরা জন্মায় না। ১০ বছরে একবার হয়তো এমন কাউকে পাওয়া যায়। এটা আসলে অতীতের মতো।
লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো, তারা পুরো ভিন্ন ধরনের ফুটবলার। পরবর্তী মেসি বা রোনালদো খুঁজে বের করা যাবে না, কারণ তারা অনন্য।’
ইয়ামালের প্রতিভা ও সম্ভাবনা নিয়ে যেমন কোনো সংশয় নেই, তেমনি কিছু শঙ্কাও আছে। বিশেষ করে, তার মাঠের বাইরের জীবন নিয়ে। গত মাসে তার জন্মদিনকে ঘিরে নানা আয়োজন নিয়ে তুমুল সমালোচনার শিকারও হয়েছেন তিনি। লেভানদোস্কি অবশ্য এসবকে বড় করে দেখতে চান না। বয়সের ব্যাপারটি তিনি মনে করিয়ে দিলেন। তবে অভিজ্ঞ তারকা এটিও বললেন যে, মাঠের ভেতরে-বাইরের জীবনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য করতে হবে ইয়ামালকে।
‘লামিনের বয়স অনেক কম, এই বয়সে সে জীবন উপভোগ করতেই পারে। সে উপভোগ করতে পারে, কারণ শুধু ফুটবল নয়, এর বাইরেও সবকিছু তার সামনে পড়ে আছে। অবশ্য যত কিছুর হাতছানি তার চারপাশে থাকবে, তার জন্য এসব সামলানো কঠিন হবে। মোটেও সহজ হবে না তার জন্য।
তবে সবকিছুই উপভোগ করতে হবে তাকে। অনেক কিছুই সে এই বয়সে করতে পারবে, কিন্তু ভবিষ্যতে পারবে না। সঠিক ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে।’
‘সে খুবই ভালো ছেলে। লোকে অনেক সময় বুঝতে চায় না যে, আমরা কখনও কখনও কিছুটা দেখাতে চাই যে আমরা আসলে কেমন। সে (ইয়ামাল) যেমন নিজেকে তুলে ধরতে পছন্দ করে। এসব নিয়ে অবশ্য নানা আলোচনা, অনেক জল্পনা হবেই। সবকিছুই নির্ভর করছে, দীর্ঘমেয়াদে সে নিজেকে কীভাবে সামলাচ্ছে।’
সামাজিক মাধ্যমের প্রবল প্রভাবের এই যুগে নানা জায়গায় নিজেকে সামলানো ভীষণ কঠিন, এটি মানছেন লেভানদোস্কি।
‘আমার মনে হয়, তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তার নিজেকে নিজেই বোঝাতে হবে এটি সামনে দুই, তিন, চার বছরে তার প্রতি সংবাদমাধ্যম ও লোকের আগ্রহ থাকবে প্রবল।’
‘সে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু ফুটবলের বাইরের যেসব ব্যাপার, সামাজিক মাধ্যমের আবেগ সামলানো, পরদিনই আবার মাঠে নেমে খেলা এই যুগে অনেক কিছুই ভিন্ন রকম। নিজের শরীর, মানসিকতা, ভাবনা, সবকিছুর ভারসাম্য রাখা এখন প্রবল চাপের। সামনের পথচলায় ভবিষ্যতে তাকিয়ে তাকে এই ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে।’
ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
বার্সেলোনার আছে লামিনে ইয়ামাল, রেয়াল মাদ্রিদে ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো! এই দুটি নাম পাশাপাশি রাখা কিংবা দুজনের তুলনা অবশ্যই বাড়াবাড়ি। বয়স ছাড়া আপাতত দুজনের কোনো মিলও নেই। তবে রবার্তো লেভানদোস্কির ধারণা, ইয়ামালের মতো কাউকে খুঁজে বের করার চাপ থেকেই মাস্তানতুয়োনোকে দলে নিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। তবে বার্সেলোনার অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড নিশ্চিত, ইয়ামালের মতো কাউকে পাবে না রেয়াল।
বয়সে ইয়ামালের চেয়ে এক মাসের ছোট মাস্তানতুয়োনো। আর্জেন্টিনার এই তরুণ প্রতিভাকে সাড়ে চার কোটি ইউরোতে রিভারপ্লেট থেকে দলে নিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। গত বৃহস্পতিবার তার বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবে তার পথচলা।
লেভানদোস্কির মতে, ইয়ামালের মতো কাউকে বের করার চাপ থেকেই মাস্তানতুয়োনোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে রেয়াল। তবে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর উদাহরণ তুলে ধরে বার্সার পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্তো লেভানদোস্কি ইএসপিএনকে বলেন, এ ধরনের প্রতিভা আসলে খুঁজে বের করা যায় না।
‘ফুটবলারদের মধ্যে তুলনা করা যায় না, বিশেষ করে এই বয়সে। অবশ্যই লামিনের মতো কাউকে খুঁজে বের করা চাপে আছে তারা (রেয়াল মাদ্রিদ)। তবে আমার মতে, সেটা অসম্ভব এবং ভালো হয় নিজের মতো পথ বেছে নিলে। অবশ্যই সমর্থকদের দিক থেকে প্রত্যাশা থাকবেই যেন লামিনের মতো কাউকে তারা বের করতে পারে।’
‘তবে এসব আসলে খুঁজে বের করা যায় না। কারণ প্রতি শহরে প্রতি বছর এ ধরনের ছেলেরা জন্মায় না। ১০ বছরে একবার হয়তো এমন কাউকে পাওয়া যায়। এটা আসলে অতীতের মতো।
লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো, তারা পুরো ভিন্ন ধরনের ফুটবলার। পরবর্তী মেসি বা রোনালদো খুঁজে বের করা যাবে না, কারণ তারা অনন্য।’
ইয়ামালের প্রতিভা ও সম্ভাবনা নিয়ে যেমন কোনো সংশয় নেই, তেমনি কিছু শঙ্কাও আছে। বিশেষ করে, তার মাঠের বাইরের জীবন নিয়ে। গত মাসে তার জন্মদিনকে ঘিরে নানা আয়োজন নিয়ে তুমুল সমালোচনার শিকারও হয়েছেন তিনি। লেভানদোস্কি অবশ্য এসবকে বড় করে দেখতে চান না। বয়সের ব্যাপারটি তিনি মনে করিয়ে দিলেন। তবে অভিজ্ঞ তারকা এটিও বললেন যে, মাঠের ভেতরে-বাইরের জীবনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য করতে হবে ইয়ামালকে।
‘লামিনের বয়স অনেক কম, এই বয়সে সে জীবন উপভোগ করতেই পারে। সে উপভোগ করতে পারে, কারণ শুধু ফুটবল নয়, এর বাইরেও সবকিছু তার সামনে পড়ে আছে। অবশ্য যত কিছুর হাতছানি তার চারপাশে থাকবে, তার জন্য এসব সামলানো কঠিন হবে। মোটেও সহজ হবে না তার জন্য।
তবে সবকিছুই উপভোগ করতে হবে তাকে। অনেক কিছুই সে এই বয়সে করতে পারবে, কিন্তু ভবিষ্যতে পারবে না। সঠিক ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে।’
‘সে খুবই ভালো ছেলে। লোকে অনেক সময় বুঝতে চায় না যে, আমরা কখনও কখনও কিছুটা দেখাতে চাই যে আমরা আসলে কেমন। সে (ইয়ামাল) যেমন নিজেকে তুলে ধরতে পছন্দ করে। এসব নিয়ে অবশ্য নানা আলোচনা, অনেক জল্পনা হবেই। সবকিছুই নির্ভর করছে, দীর্ঘমেয়াদে সে নিজেকে কীভাবে সামলাচ্ছে।’
সামাজিক মাধ্যমের প্রবল প্রভাবের এই যুগে নানা জায়গায় নিজেকে সামলানো ভীষণ কঠিন, এটি মানছেন লেভানদোস্কি।
‘আমার মনে হয়, তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তার নিজেকে নিজেই বোঝাতে হবে এটি সামনে দুই, তিন, চার বছরে তার প্রতি সংবাদমাধ্যম ও লোকের আগ্রহ থাকবে প্রবল।’
‘সে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু ফুটবলের বাইরের যেসব ব্যাপার, সামাজিক মাধ্যমের আবেগ সামলানো, পরদিনই আবার মাঠে নেমে খেলা এই যুগে অনেক কিছুই ভিন্ন রকম। নিজের শরীর, মানসিকতা, ভাবনা, সবকিছুর ভারসাম্য রাখা এখন প্রবল চাপের। সামনের পথচলায় ভবিষ্যতে তাকিয়ে তাকে এই ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে।’