অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজ
হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হন জিসান আলম
অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া বাংলাদশ ‘এ’ দল জয়ের দেখা পেল দ্বিতীয় ম্যাচে। নুরুল হাসান সোহানের দল নেপালকে হারাল ৩০ রানে।
শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২০ ওভারে তোলে ১৮৬ রান। ২৫ ও ৩৬ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়ে জিসান করেন ৫ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৪৮ রান করেন।
রান তাড়ায় ম্যাচ জমাতেই পারেনি নেপাল। তাদের ইনিংস থামে ১৫৪ রানে। ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন নাঈম শেখ ও জিসান। প্রথম ওভারেই ছক্কা ও চার দিয়ে শুরু করেন জিসান। পরে আক্রমণে যোগ দেন নাঈম। ৬.৩ ওভারে ৬২ রান তুলে থামে উদ্বোধনী জুটি। বড় শটের চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম (১৮ বলে ২৫)। জিসান ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। ২০ বছর বয়সী ব্যাটারের ইনিংস থামে এলবিডব্লিউতে।
আফিফ গিয়েই দারুণ সব শট খেলতে শুরু করেন।
তবে অন্যপ্রান্তে রানের গতি অনেকটাই থমকে যায়। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সাইফ হাসান এবার করেন ১১ বলে ১১। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ১১ বল খেলে করতে পারেন কেবল ৫ রান। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৭ বলে ৭) ও তোফায়েল আহমেদও (৪ বলে ৫) পারেননি তেমন কিছু করতে। ১৫-১৯ ওভার পর্যন্ত ৫ ওভারে রান আসে কেবল ৩১।
শেষ ওভারে আফিফের দুটি বাউন্ডারিসহ আসে ১৮ রান। অভিজ্ঞ ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৯ চারে ৪৮ রান করে। জিসান ২৬ রানে আইরির বলে ক্যাচ, ৩৬ রানে কুশল ভুর্তেলের বল ক্যাচের মতো, ৩৯ রানে হতে পারতেন রান আউট।
নেপালের রান তাড়া শুরু হয় রিপন মন্ডলের প্রথম ওভারে কুশাল ভুর্তেলের তিন বাউন্ডারিতে। তবে পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের বল কাভারে জিসানের হাতে তুলে দেন নেপালের এ অভিজ্ঞ ব্যাটার।
ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে আসিফ শেখ ও লোকেশ বাম। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দুজন। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের প্রথম ওভারে কাভারে ক্যাচ দেন লোকেশ (১০ বলে ১৫)।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নেপাল। দলকে উদ্ধার করতে পারেননি অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল (১৩ বলে ১০)। আসিফ শেখের (২৪ বলে ২৮) লড়াই থামাতে তোফায়েলের বলে।
দিপেন্দ্রা সিং ঐরি (১) ও গুলশান ঝা (০) ফেরেন রকিবুলের পরপর দুই বলে। নেপাল ততক্ষণে লড়াই থেকে ছিটতে পড়েছে।
স্রোতের বিপরীতে লড়াই চালিয়ে যান কুশাল মাল্লা। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৪০ বলে। ম্যাচের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে অপরাজিত থাকেন তিনি ৪৭ বলে ৫৯ রান করে। তাতে পরাজয়ের ব্যবধান ভদ্রস্থ হয় একটু।
রোববার বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পরের ম্যাচ পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ ২০ ওভারে ১৮৬/৬ (নাঈম ২৫, জিসান ৭৩, সাইফ ১১, আফিফ ৪৮*, সোহান ৫, অঙ্কন ৭, তোফায়েল ৫, মৃত্যুঞ্জয় ০*; রিজান ২/৩৪, কারান ১/৪৬, নান্দান ১/৩৮, লামিছানে ১/১)।
নেপাল ১৫৪/৭ (ভুর্তেল ১২, আসিফ ২৮, লোকেশ ১৫, রোহিত ১০, মাল্লা ৫৯*, নান্দান ১৪*; রিপন ১/১৯, হাসান ২/৩৬, রকিবুল ৩/১৮, তোফায়েল ১/২২)।
ম্যাচসেরা: জিসান আলম।
অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজ
হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হন জিসান আলম
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া বাংলাদশ ‘এ’ দল জয়ের দেখা পেল দ্বিতীয় ম্যাচে। নুরুল হাসান সোহানের দল নেপালকে হারাল ৩০ রানে।
শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২০ ওভারে তোলে ১৮৬ রান। ২৫ ও ৩৬ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়ে জিসান করেন ৫ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৪৮ রান করেন।
রান তাড়ায় ম্যাচ জমাতেই পারেনি নেপাল। তাদের ইনিংস থামে ১৫৪ রানে। ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন নাঈম শেখ ও জিসান। প্রথম ওভারেই ছক্কা ও চার দিয়ে শুরু করেন জিসান। পরে আক্রমণে যোগ দেন নাঈম। ৬.৩ ওভারে ৬২ রান তুলে থামে উদ্বোধনী জুটি। বড় শটের চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম (১৮ বলে ২৫)। জিসান ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। ২০ বছর বয়সী ব্যাটারের ইনিংস থামে এলবিডব্লিউতে।
আফিফ গিয়েই দারুণ সব শট খেলতে শুরু করেন।
তবে অন্যপ্রান্তে রানের গতি অনেকটাই থমকে যায়। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সাইফ হাসান এবার করেন ১১ বলে ১১। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ১১ বল খেলে করতে পারেন কেবল ৫ রান। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৭ বলে ৭) ও তোফায়েল আহমেদও (৪ বলে ৫) পারেননি তেমন কিছু করতে। ১৫-১৯ ওভার পর্যন্ত ৫ ওভারে রান আসে কেবল ৩১।
শেষ ওভারে আফিফের দুটি বাউন্ডারিসহ আসে ১৮ রান। অভিজ্ঞ ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৯ চারে ৪৮ রান করে। জিসান ২৬ রানে আইরির বলে ক্যাচ, ৩৬ রানে কুশল ভুর্তেলের বল ক্যাচের মতো, ৩৯ রানে হতে পারতেন রান আউট।
নেপালের রান তাড়া শুরু হয় রিপন মন্ডলের প্রথম ওভারে কুশাল ভুর্তেলের তিন বাউন্ডারিতে। তবে পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের বল কাভারে জিসানের হাতে তুলে দেন নেপালের এ অভিজ্ঞ ব্যাটার।
ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে আসিফ শেখ ও লোকেশ বাম। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দুজন। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের প্রথম ওভারে কাভারে ক্যাচ দেন লোকেশ (১০ বলে ১৫)।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নেপাল। দলকে উদ্ধার করতে পারেননি অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল (১৩ বলে ১০)। আসিফ শেখের (২৪ বলে ২৮) লড়াই থামাতে তোফায়েলের বলে।
দিপেন্দ্রা সিং ঐরি (১) ও গুলশান ঝা (০) ফেরেন রকিবুলের পরপর দুই বলে। নেপাল ততক্ষণে লড়াই থেকে ছিটতে পড়েছে।
স্রোতের বিপরীতে লড়াই চালিয়ে যান কুশাল মাল্লা। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৪০ বলে। ম্যাচের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে অপরাজিত থাকেন তিনি ৪৭ বলে ৫৯ রান করে। তাতে পরাজয়ের ব্যবধান ভদ্রস্থ হয় একটু।
রোববার বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পরের ম্যাচ পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ ২০ ওভারে ১৮৬/৬ (নাঈম ২৫, জিসান ৭৩, সাইফ ১১, আফিফ ৪৮*, সোহান ৫, অঙ্কন ৭, তোফায়েল ৫, মৃত্যুঞ্জয় ০*; রিজান ২/৩৪, কারান ১/৪৬, নান্দান ১/৩৮, লামিছানে ১/১)।
নেপাল ১৫৪/৭ (ভুর্তেল ১২, আসিফ ২৮, লোকেশ ১৫, রোহিত ১০, মাল্লা ৫৯*, নান্দান ১৪*; রিপন ১/১৯, হাসান ২/৩৬, রকিবুল ৩/১৮, তোফায়েল ১/২২)।
ম্যাচসেরা: জিসান আলম।