টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ
‘এ’ দলের হয়ে সেরা ব্যাটিং করেন আফিফ হোসেন
অভিজ্ঞতায় দুই দলের তুলনাই চলে না। এক দলের একাদশে ৯ জনেরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞ। আরেক দলের কেউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারেকাছেও যেতে পারেননি। কিন্তু দুই দলের মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেল উল্টো চিত্র। উঠতি ক্রিকেটারদের দল পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমি বেশ সহজেই হারিয়ে দিলো নামের ভারে শক্তিশালী বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে।
অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৫ উইকেটে হারায় পার্থ অ্যাকাডেমি। তিন ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানের দলের এটি দ্বিতীয় পরাজয়।
রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘এ’ দল ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১২৩ রান। তৃতীয় ওভারে ক্রিজে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ৪৯ বল খেলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ১০ নম্বরে নামা রকিবুল হাসান। পরে রকিবুল বল হাতেও উজ্জ্বল। অন্য বোলারাও লড়াইয়ের চেষ্টা করেন কিছুটা। কিন্তু ওই পুঁজি নিয়ে পারা যায়নি। অ্যাকাডেমি ম্যাচ জিতে যায় দুই ওভার বাকি রেখে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। বাইরের বল স্লগ করার চেষ্টায় থার্ডম্যানে ধরা পড়েন নাঈম শেখ (৬ বলে ৫)। পরের ওভারে পয়েন্টে ক্যাচ দেন সাইফ হাসান (২ বলে ১)।
আগের দিনের নায়ক জিসান আলম এলবিডব্লিউ হন (১৩ বলে ৯) নতুন বোলারের প্রথম ওভারে।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান করে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন পাঁচে নেমে কিপারের হাতে ধরা পড়েন (১১ বলে ৬)। দলকে উদ্ধার করতে পারেননি অধিনায়ক সোহানও (১৬ বলে ১৪)। বড় শটের চেষ্টায় উইকেট হারান তোফায়েল (৮ বলে ১)। আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের বিদায় দেখেন আফিফ। তার শুরুটা ছিল বেশ আত্মবিশ্বাসী। ক্রিজে যাওয়ার পরপর কাভার ড্রাইভে চার মারেন, একটু পর চার মারেন রিভার্স সুইপে। এরপর আর ইনিংসকে সেভাবে গতি দিতে পারেননি তিনিও। পরপর দুই বলে যখন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও নাঈম হাসানের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের একশ’ ছোঁয়া নিয়েই শঙ্কা। কোনোরকমে তিন অঙ্ক পৌঁছায় একদশ ওভারে। এ ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা মারেন রকিবুল। তিনি রান আউট হওয়ার পর প্রথম বলেই কাভার ড্রাইভে চার মারেন হাসান মাহমুদ। একাদশ ওভার থেকে রান আসে ২০।
রান তাড়ায় নেমে স্কর্চার্স অ্যাকাডেমির শুরু প্রথম ওভারে ১১ রান তুলে। দ্বিতীয় ওভারে হল্টকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় উইকেটে গুডউইন ও ওয়াইলি দলকে এগিয়ে নেন। রকিবুলের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায় গুডউইন ফেরেন ১৭ রানে।
ওয়াইলির লড়াই শেষ হয় ৩১ রানে নাঈম হাসানের বল স্টাম্পে টেনে এনে। ৮১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সম্ভাবনা কিছুটা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের জুটিতেই স্কর্চার্স অ্যাকাডেমিকে জিতিয়ে দেন জোয়েল কার্টিস ও ম্যাথু স্পুর্স। এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি না খেলা কার্টিস অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪৪ রান করে, স্পুর্স ১৬ বলে অপরাজিত ২৪।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ ১২৩/৯ (নাঈম ৯, জিসান ৫, সাইফ ১, আফিফ ৪২*, অঙ্কন ৬, সোহান ১৪, তোফায়েল ১, মৃত্যুঞ্জয় ১৪, নাঈম ০, রকিবুল ১৬, হাসান ৪*; কাউচ ১/২০, জ্যাকসন ৩/৪৫, এস্তারহুইসেন ২/২১, রকিচিওলি ১/১৫, স্পুর্স ১/১৭)।
পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমি ১৮ ওভারে ১২৬/৫ (গুডউইন ১৭, ওয়াইলি ৩১, কার্টিস ৪৪*, স্পুর্স ২৪*; নাঈম ৪-০-৩১-২, হাসান ৩-০-১৬-১, রকিবুল ৪-০-১৮-২)।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পরের ম্যাচ নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে।
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ
‘এ’ দলের হয়ে সেরা ব্যাটিং করেন আফিফ হোসেন
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
অভিজ্ঞতায় দুই দলের তুলনাই চলে না। এক দলের একাদশে ৯ জনেরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞ। আরেক দলের কেউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারেকাছেও যেতে পারেননি। কিন্তু দুই দলের মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেল উল্টো চিত্র। উঠতি ক্রিকেটারদের দল পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমি বেশ সহজেই হারিয়ে দিলো নামের ভারে শক্তিশালী বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে।
অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৫ উইকেটে হারায় পার্থ অ্যাকাডেমি। তিন ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানের দলের এটি দ্বিতীয় পরাজয়।
রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫) ডারউইনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘এ’ দল ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১২৩ রান। তৃতীয় ওভারে ক্রিজে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ৪৯ বল খেলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ১০ নম্বরে নামা রকিবুল হাসান। পরে রকিবুল বল হাতেও উজ্জ্বল। অন্য বোলারাও লড়াইয়ের চেষ্টা করেন কিছুটা। কিন্তু ওই পুঁজি নিয়ে পারা যায়নি। অ্যাকাডেমি ম্যাচ জিতে যায় দুই ওভার বাকি রেখে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। বাইরের বল স্লগ করার চেষ্টায় থার্ডম্যানে ধরা পড়েন নাঈম শেখ (৬ বলে ৫)। পরের ওভারে পয়েন্টে ক্যাচ দেন সাইফ হাসান (২ বলে ১)।
আগের দিনের নায়ক জিসান আলম এলবিডব্লিউ হন (১৩ বলে ৯) নতুন বোলারের প্রথম ওভারে।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান করে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন পাঁচে নেমে কিপারের হাতে ধরা পড়েন (১১ বলে ৬)। দলকে উদ্ধার করতে পারেননি অধিনায়ক সোহানও (১৬ বলে ১৪)। বড় শটের চেষ্টায় উইকেট হারান তোফায়েল (৮ বলে ১)। আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের বিদায় দেখেন আফিফ। তার শুরুটা ছিল বেশ আত্মবিশ্বাসী। ক্রিজে যাওয়ার পরপর কাভার ড্রাইভে চার মারেন, একটু পর চার মারেন রিভার্স সুইপে। এরপর আর ইনিংসকে সেভাবে গতি দিতে পারেননি তিনিও। পরপর দুই বলে যখন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও নাঈম হাসানের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের একশ’ ছোঁয়া নিয়েই শঙ্কা। কোনোরকমে তিন অঙ্ক পৌঁছায় একদশ ওভারে। এ ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা মারেন রকিবুল। তিনি রান আউট হওয়ার পর প্রথম বলেই কাভার ড্রাইভে চার মারেন হাসান মাহমুদ। একাদশ ওভার থেকে রান আসে ২০।
রান তাড়ায় নেমে স্কর্চার্স অ্যাকাডেমির শুরু প্রথম ওভারে ১১ রান তুলে। দ্বিতীয় ওভারে হল্টকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় উইকেটে গুডউইন ও ওয়াইলি দলকে এগিয়ে নেন। রকিবুলের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায় গুডউইন ফেরেন ১৭ রানে।
ওয়াইলির লড়াই শেষ হয় ৩১ রানে নাঈম হাসানের বল স্টাম্পে টেনে এনে। ৮১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সম্ভাবনা কিছুটা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের জুটিতেই স্কর্চার্স অ্যাকাডেমিকে জিতিয়ে দেন জোয়েল কার্টিস ও ম্যাথু স্পুর্স। এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি না খেলা কার্টিস অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪৪ রান করে, স্পুর্স ১৬ বলে অপরাজিত ২৪।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ ১২৩/৯ (নাঈম ৯, জিসান ৫, সাইফ ১, আফিফ ৪২*, অঙ্কন ৬, সোহান ১৪, তোফায়েল ১, মৃত্যুঞ্জয় ১৪, নাঈম ০, রকিবুল ১৬, হাসান ৪*; কাউচ ১/২০, জ্যাকসন ৩/৪৫, এস্তারহুইসেন ২/২১, রকিচিওলি ১/১৫, স্পুর্স ১/১৭)।
পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমি ১৮ ওভারে ১২৬/৫ (গুডউইন ১৭, ওয়াইলি ৩১, কার্টিস ৪৪*, স্পুর্স ২৪*; নাঈম ৪-০-৩১-২, হাসান ৩-০-১৬-১, রকিবুল ৪-০-১৮-২)।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পরের ম্যাচ নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে।