ওয়ানডে সিরিজ
লুঙ্গি এনগিডির উইকেট উদযাপন
শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে পথে ফেরানোর লড়াই চালিয়ে গেলেন জশ ইংলিস। তার চমৎকার ইনিংসে একটা পর্যায়ে ঘুরেও দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু লুঙ্গি এনগিডির ছোবলে ভেস্তে গেল তাদের সব আশা। ১৮ রানে প্রতিপক্ষের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বড় জয়ের আনন্দে মাতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) ম্যাকাইয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৪ রানে জিতেছে প্রোটিয়ারা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭৭ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে ১৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা।
টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেয়ার্নসে প্রথম ওয়ানডেতে ৯৮ রানে জিতেছিল দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ নিয়ে সর্বশেষ ১০টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার অষ্টম জয়। টানা জিতলো তারা পাঁচ সিরিজ।
ওয়ানডেতে সময়টা খুব বাজে কাটছে অস্ট্রেলিয়ার। ফলাফল আসা সর্বশেষ আট ম্যাচে কেবল একটিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে সিরিজ হারলো তারা টানা তিনটি। ব্যাটিং বিভাগটা বেশ ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। ঘরের মাঠে এ নিয়ে টানা চারটি ওয়ানডে ইনিংসে দুইশ’ করতে পারেনি তারা (১৬৩, ১৪০, ১৯৮, ১৯৩)। এমন তেতো অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি দলটির।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস নামান এনগিডি। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের রান একপর্যায়ে ছিল ৫ উইকেটে ১৭৫। সেখান থেকে তাদেরকে দুইশ’র আগে গুটিয়ে দেয়ার কারিগর এনগিডিই। প্রতিপক্ষের শেষ ৫ উইকেটের চারটিই এ পেসারের শিকার। শেষ পর্যন্ত ৪২ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন এনগিডি। ৬৯ ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন তিনি পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। নান্দ্রে বার্গারের বলে মিড-অনে ধরা পড়েন ট্রাভিস হেড। লাবুশেনকে কট বিহাইন্ড করে প্রথম শিকার ধরেন এনগিডি।
পরের বলেই গ্রিনের উইকেটও পেতে পারতেন এ বোলার। কিন্তু স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি স্টাবস। দুই ওভার পর মিচেল মার্শ জীবন পান, এবারও ফিল্ডার স্টাবস। ১৩ রানে বেঁচে যাওয়া মার্শকে অবশ্য টিকতে দেননি মুল্ডার।
টপ অর্ডার তিনজনকে হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন গ্রিন ও ইংলিস। প্রথম ১৩ বলে ৫ রান করে ইংলিস মুল্ডারকে চার ও ছক্কা মেরে মেলে দেন ডানা। এরপর দ্রুত রান আসতে থাকে তার ব্যাটে।
অন্য প্রান্তে গ্রিনও গড়তে থাকেন ইনিংস। জমে ওঠা এই জুটি ভাঙার সুযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২২তম ওভারে। কিন্তু মুল্ডারের বলে কাভারে ইংলিসের ক্যাচ নিতে পারেননি ডি জোর্জি।
পরের ওভারে গ্রিনের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে দলের সেই আক্ষেপ ঘুচান মুথুসামি। ভাঙে ৬৭ রানের জুটি।
৪২ রান জীবন পাওয়া ইংলিস ৪৬ বলে পা রাখেন পঞ্চাশে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেন তিনি। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গে দেন অ্যালেক্স কেয়ারি ও অ্যারন হার্ডি। তাতে জাগতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার আশা।
যখনই পৌনে দুইশ’ রানে পৌঁছায় দলটির রান, তাদের জন্য ঝড় হয়ে আসেন এনগিডি। হার্ডিকে ফেরানোর পরের ওভারে জোড়া শিকার ধরেন তিনি। ২ ছক্কা ও ১০ চারে ৭৪ বলে ৮৭ রান করে কট বিহাইন্ড হন ইংলিস। তিন বল পর বার্টলেট ধরা পড়েন মিড-অনে।
মুথুসামির বলে এলিস স্টাম্পড হওয়ার পরের ওভারে জ্যাম্পাকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন এনগিডি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.১ ওভারে ২৭৭ (জোর্জি ৩৮, ব্রিটস্কি ৮৮, স্টাবস ৭৪, মুল্ডার ২৬, মহারাজ ২২; হেইজেলউড১/৫৭, বার্টলেট ২/৪৫, এলিস ২/৪৬, জ্যাম্পা ৩/৬৩, লাবুশেন ২/১৯)।
অস্ট্রেলিয়া ৩৭.৪ ওভারে ১৯৩ (মার্শ ১৮, গ্রিন ৩৫, ইংলিস ৮৭, কেয়ারি ১৩, হার্ডি ১০; বার্গার ২/২৩, এনগিডি ৮.৪-১-৪২-৫, মুল্ডার ১/৩১, মুথুসামি ২/৩০)।
ম্যাচসেরা: লুঙ্গি এনগিডি। একই মাঠে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রোববার।
ওয়ানডে সিরিজ
লুঙ্গি এনগিডির উইকেট উদযাপন
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে পথে ফেরানোর লড়াই চালিয়ে গেলেন জশ ইংলিস। তার চমৎকার ইনিংসে একটা পর্যায়ে ঘুরেও দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু লুঙ্গি এনগিডির ছোবলে ভেস্তে গেল তাদের সব আশা। ১৮ রানে প্রতিপক্ষের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বড় জয়ের আনন্দে মাতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) ম্যাকাইয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৪ রানে জিতেছে প্রোটিয়ারা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭৭ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে ১৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা।
টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেয়ার্নসে প্রথম ওয়ানডেতে ৯৮ রানে জিতেছিল দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ নিয়ে সর্বশেষ ১০টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার অষ্টম জয়। টানা জিতলো তারা পাঁচ সিরিজ।
ওয়ানডেতে সময়টা খুব বাজে কাটছে অস্ট্রেলিয়ার। ফলাফল আসা সর্বশেষ আট ম্যাচে কেবল একটিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে সিরিজ হারলো তারা টানা তিনটি। ব্যাটিং বিভাগটা বেশ ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। ঘরের মাঠে এ নিয়ে টানা চারটি ওয়ানডে ইনিংসে দুইশ’ করতে পারেনি তারা (১৬৩, ১৪০, ১৯৮, ১৯৩)। এমন তেতো অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি দলটির।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস নামান এনগিডি। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের রান একপর্যায়ে ছিল ৫ উইকেটে ১৭৫। সেখান থেকে তাদেরকে দুইশ’র আগে গুটিয়ে দেয়ার কারিগর এনগিডিই। প্রতিপক্ষের শেষ ৫ উইকেটের চারটিই এ পেসারের শিকার। শেষ পর্যন্ত ৪২ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন এনগিডি। ৬৯ ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন তিনি পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। নান্দ্রে বার্গারের বলে মিড-অনে ধরা পড়েন ট্রাভিস হেড। লাবুশেনকে কট বিহাইন্ড করে প্রথম শিকার ধরেন এনগিডি।
পরের বলেই গ্রিনের উইকেটও পেতে পারতেন এ বোলার। কিন্তু স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি স্টাবস। দুই ওভার পর মিচেল মার্শ জীবন পান, এবারও ফিল্ডার স্টাবস। ১৩ রানে বেঁচে যাওয়া মার্শকে অবশ্য টিকতে দেননি মুল্ডার।
টপ অর্ডার তিনজনকে হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন গ্রিন ও ইংলিস। প্রথম ১৩ বলে ৫ রান করে ইংলিস মুল্ডারকে চার ও ছক্কা মেরে মেলে দেন ডানা। এরপর দ্রুত রান আসতে থাকে তার ব্যাটে।
অন্য প্রান্তে গ্রিনও গড়তে থাকেন ইনিংস। জমে ওঠা এই জুটি ভাঙার সুযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২২তম ওভারে। কিন্তু মুল্ডারের বলে কাভারে ইংলিসের ক্যাচ নিতে পারেননি ডি জোর্জি।
পরের ওভারে গ্রিনের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে দলের সেই আক্ষেপ ঘুচান মুথুসামি। ভাঙে ৬৭ রানের জুটি।
৪২ রান জীবন পাওয়া ইংলিস ৪৬ বলে পা রাখেন পঞ্চাশে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেন তিনি। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গে দেন অ্যালেক্স কেয়ারি ও অ্যারন হার্ডি। তাতে জাগতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার আশা।
যখনই পৌনে দুইশ’ রানে পৌঁছায় দলটির রান, তাদের জন্য ঝড় হয়ে আসেন এনগিডি। হার্ডিকে ফেরানোর পরের ওভারে জোড়া শিকার ধরেন তিনি। ২ ছক্কা ও ১০ চারে ৭৪ বলে ৮৭ রান করে কট বিহাইন্ড হন ইংলিস। তিন বল পর বার্টলেট ধরা পড়েন মিড-অনে।
মুথুসামির বলে এলিস স্টাম্পড হওয়ার পরের ওভারে জ্যাম্পাকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন এনগিডি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.১ ওভারে ২৭৭ (জোর্জি ৩৮, ব্রিটস্কি ৮৮, স্টাবস ৭৪, মুল্ডার ২৬, মহারাজ ২২; হেইজেলউড১/৫৭, বার্টলেট ২/৪৫, এলিস ২/৪৬, জ্যাম্পা ৩/৬৩, লাবুশেন ২/১৯)।
অস্ট্রেলিয়া ৩৭.৪ ওভারে ১৯৩ (মার্শ ১৮, গ্রিন ৩৫, ইংলিস ৮৭, কেয়ারি ১৩, হার্ডি ১০; বার্গার ২/২৩, এনগিডি ৮.৪-১-৪২-৫, মুল্ডার ১/৩১, মুথুসামি ২/৩০)।
ম্যাচসেরা: লুঙ্গি এনগিডি। একই মাঠে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রোববার।