সামার অ্যাথলেটিক্সে প্রথম দিন ১০০ মিটার দৌড়ে সবার আগে ইমরানুর (২২৭)
প্যারিস অলিম্পিকে চোটের কারণে ইমরানুর ভালো করতে পারেননি। অস্ত্রোপচার হওয়ায় ট্র্যাকের বাইরে থাকতে হয়েছে অনেক দিন। তবে চোট কাটিয়ে দেশে ফিরে জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে অংশ নিয়েই ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেয়েছেন লন্ডন প্রবাসী অ্যাথলেট। ইমরানুরের মতো মেয়েদের ১০০ মিটারে শিরিন আক্তারকে হারিয়ে সেরার মুকুট ফিরে পেয়েছেন সুমাইয়া দেওয়ান।
শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) ঢাকা স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ১০ দশমিক ৬৪ সেকেন্ড টাইমিং করে সেরা হন বাংলাদেশ নৌবাহনীর হয়ে দৌড়ানো ইমরানুর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আব্দুল মোতালেব ১০ দশমিক ৮৬ সেকেন্ড নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।
ইমরানুরের অনুপস্থিতিতে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে দ্রুততম মানবের পদক জেতা ইসমাইল হোসেন সামার অ্যাথলেটিকসে এসে হলেন তৃতীয়। তিনি সময় নিয়েছেন ১০ দশমিক ৮৮ সেকেন্ড।
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে ১০০ মিটারে পঞ্চমবার সেরা হলেন ইমরানুর।
পুনরায় দ্রুততম মানব হয়ে ইমরান বলেন, ‘নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ৬-৭ মাস ইনজুরিতে ছিলাম। অপারেশনও হয়েছে, কঠিন সময় পার করে আবার প্রথম হয়েছি এজন্য ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশে দ্রুততম মানব হলেও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ১০০ মিটারে ১০.৬৪ টাইমিং মানসম্মত নয়। এ নিয়ে ইমরান বলেন, ‘এটা এখন ঠিক আছে, কারণ আমি মাঝে ২-৩ মাস অনুশীলনের বাইরে ছিলাম। সামনে এসএ গেমসে ভালো কিছু করতে চাই।’
এবারের টাইমিং নিয়েও তেমন মাথাব্যাথা ছিল না ইমরানুরের। তিনি কেবল চেয়েছিলেন ট্র্যাকে ফিরতে। ৩২ বছর বয়সী বয়সী এই অ্যাথলেটের ভাবনা জুড়ে এখন সামনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো।
‘এটা ছিল আমার ফিরে আসার দৌড়। আমি শুধু চেয়েছি ঠিকঠাকভাবে দৌড়টা শেষ করতে। টাইমিং, জয়-এগুলো আমার ভাবনায় খুব একটা ছিল না। শুধু চেয়েছিলাম ভালোভাবে দৌড় শেষ করতে। অবশ্যই, সামনে বেশ কিছু ইভেন্ট আছে। ইসলামিক গেমস আছে, সাউথ এশিয়ান গেমস আছে। তবে আমি ধাপে ধাপে এগুতে চাই।’
‘আবার অনুশীলন শুরু করব, যে ট্রেনিংগুলো করতে পারিনি (চোটের সময়ে) সেগুলোর দিকে মনোনিবেশ করব। কেননা, আমি অনুভব করছি, আমি এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নই। অবশ্যই আমাদের মূল লক্ষ্য সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা। ইনশাল্লাহ। দেশের সবার সমর্থন, নৌবাহিনীর এবং ফেডারেশনের সমর্থন, যেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো পেরে আমি নিশ্চিত, সাউথ এশিয়ান গেমসে আমরা ইতিহাস গড়তে পারি।’
মেয়েদের ইভেন্টে ১২ দশমিক ১৯ সেকেন্ড টাইমিং করে ২০২২ সালের পর দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতেছেন সুমাইয়া। টানা সেরা হওয়া শিরিন আক্তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১২ দশমিক ২১ সেকেন্ড সময় নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।
নৌবাহিনীর সুমাইয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, এবার প্রথম হবো। ইনশাআল্লাহ হয়েছি। সামনে এসএ গেমস অবশ্যই ভালো কিছু করবো। আরও পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করার। আমি চেষ্টা করবো ওভারকাম করার।’
শিরিনসহ অন্যদের সঙ্গে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সুমাইয়ার। নৌবাহিনীর অ্যাথলেট নিজেই বললেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো চোখে দেখছি। আমাকে দেখে নতুন যারা আসছে তারা শিখবে, তারা আমি যে জায়গায় আছি সেখানে আসার চেষ্টা করবে। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। অনুশীলন সেভাবেই করেছি। কোচ আমাকে সেভাবেই দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আমার ফিনিশিংয়ে গ্যাপ ছিল আগে, সেটা নিয়ে কাজ করেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলাতে অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছেন সুমাইয়া। চার বছর আগের আনন্দ আর আজকের সাফল্য নিয়ে বললেন, ‘২০২১ সালে একটা আনন্দ এখন আরেকটা আনন্দ।
এখন আমি বর্তমান দ্রুততম মানবী। আপনারা সবাই দোয়া করবেন। এসএ গেমসে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার অনেক ভালো টাইমিং হয়েছে। পড়ে যাওয়ার পর আমি ধরে নিয়েছিলাম আমি প্রথম। যদি ফল অন্যরকম হতো আমি চ্যালেঞ্জ করতাম।’
সামার অ্যাথলেটিক্সে প্রথম দিন ১০০ মিটার দৌড়ে সবার আগে ইমরানুর (২২৭)
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
প্যারিস অলিম্পিকে চোটের কারণে ইমরানুর ভালো করতে পারেননি। অস্ত্রোপচার হওয়ায় ট্র্যাকের বাইরে থাকতে হয়েছে অনেক দিন। তবে চোট কাটিয়ে দেশে ফিরে জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে অংশ নিয়েই ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেয়েছেন লন্ডন প্রবাসী অ্যাথলেট। ইমরানুরের মতো মেয়েদের ১০০ মিটারে শিরিন আক্তারকে হারিয়ে সেরার মুকুট ফিরে পেয়েছেন সুমাইয়া দেওয়ান।
শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) ঢাকা স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ১০ দশমিক ৬৪ সেকেন্ড টাইমিং করে সেরা হন বাংলাদেশ নৌবাহনীর হয়ে দৌড়ানো ইমরানুর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আব্দুল মোতালেব ১০ দশমিক ৮৬ সেকেন্ড নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।
ইমরানুরের অনুপস্থিতিতে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে দ্রুততম মানবের পদক জেতা ইসমাইল হোসেন সামার অ্যাথলেটিকসে এসে হলেন তৃতীয়। তিনি সময় নিয়েছেন ১০ দশমিক ৮৮ সেকেন্ড।
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে ১০০ মিটারে পঞ্চমবার সেরা হলেন ইমরানুর।
পুনরায় দ্রুততম মানব হয়ে ইমরান বলেন, ‘নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ৬-৭ মাস ইনজুরিতে ছিলাম। অপারেশনও হয়েছে, কঠিন সময় পার করে আবার প্রথম হয়েছি এজন্য ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশে দ্রুততম মানব হলেও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ১০০ মিটারে ১০.৬৪ টাইমিং মানসম্মত নয়। এ নিয়ে ইমরান বলেন, ‘এটা এখন ঠিক আছে, কারণ আমি মাঝে ২-৩ মাস অনুশীলনের বাইরে ছিলাম। সামনে এসএ গেমসে ভালো কিছু করতে চাই।’
এবারের টাইমিং নিয়েও তেমন মাথাব্যাথা ছিল না ইমরানুরের। তিনি কেবল চেয়েছিলেন ট্র্যাকে ফিরতে। ৩২ বছর বয়সী বয়সী এই অ্যাথলেটের ভাবনা জুড়ে এখন সামনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো।
‘এটা ছিল আমার ফিরে আসার দৌড়। আমি শুধু চেয়েছি ঠিকঠাকভাবে দৌড়টা শেষ করতে। টাইমিং, জয়-এগুলো আমার ভাবনায় খুব একটা ছিল না। শুধু চেয়েছিলাম ভালোভাবে দৌড় শেষ করতে। অবশ্যই, সামনে বেশ কিছু ইভেন্ট আছে। ইসলামিক গেমস আছে, সাউথ এশিয়ান গেমস আছে। তবে আমি ধাপে ধাপে এগুতে চাই।’
‘আবার অনুশীলন শুরু করব, যে ট্রেনিংগুলো করতে পারিনি (চোটের সময়ে) সেগুলোর দিকে মনোনিবেশ করব। কেননা, আমি অনুভব করছি, আমি এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নই। অবশ্যই আমাদের মূল লক্ষ্য সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা। ইনশাল্লাহ। দেশের সবার সমর্থন, নৌবাহিনীর এবং ফেডারেশনের সমর্থন, যেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো পেরে আমি নিশ্চিত, সাউথ এশিয়ান গেমসে আমরা ইতিহাস গড়তে পারি।’
মেয়েদের ইভেন্টে ১২ দশমিক ১৯ সেকেন্ড টাইমিং করে ২০২২ সালের পর দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতেছেন সুমাইয়া। টানা সেরা হওয়া শিরিন আক্তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১২ দশমিক ২১ সেকেন্ড সময় নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।
নৌবাহিনীর সুমাইয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, এবার প্রথম হবো। ইনশাআল্লাহ হয়েছি। সামনে এসএ গেমস অবশ্যই ভালো কিছু করবো। আরও পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করার। আমি চেষ্টা করবো ওভারকাম করার।’
শিরিনসহ অন্যদের সঙ্গে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সুমাইয়ার। নৌবাহিনীর অ্যাথলেট নিজেই বললেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো চোখে দেখছি। আমাকে দেখে নতুন যারা আসছে তারা শিখবে, তারা আমি যে জায়গায় আছি সেখানে আসার চেষ্টা করবে। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। অনুশীলন সেভাবেই করেছি। কোচ আমাকে সেভাবেই দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আমার ফিনিশিংয়ে গ্যাপ ছিল আগে, সেটা নিয়ে কাজ করেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলাতে অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছেন সুমাইয়া। চার বছর আগের আনন্দ আর আজকের সাফল্য নিয়ে বললেন, ‘২০২১ সালে একটা আনন্দ এখন আরেকটা আনন্দ।
এখন আমি বর্তমান দ্রুততম মানবী। আপনারা সবাই দোয়া করবেন। এসএ গেমসে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার অনেক ভালো টাইমিং হয়েছে। পড়ে যাওয়ার পর আমি ধরে নিয়েছিলাম আমি প্রথম। যদি ফল অন্যরকম হতো আমি চ্যালেঞ্জ করতাম।’