চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
অন্তিম সময়ে ফিল ফোডেনের করা গোলের সাহায্যে ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে পরাজিত করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার পথে খানিকটা এগিয়ে গেছে। ৮৪ মিনিটে মার্কো রিউসের গোলে ডর্টমুন্ড সমতা ফেরালে প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়ে যায় ম্যানসিটি। অবশ্য নিজেদের মাঠে সে চাপ কাটিয়ে একেবারে শেষ সময়ে ফোডেন গোল করলে জয়ী হয় পেপ গার্দিওয়ালার দলা। গার্দিওয়ালা সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার দল ভাল করতে পারছে না।
শেষ দশ বছরে পেপ গার্দিওলার দলগুলো লিগে আধিপত্য ধরে রেখেছে ভালোভাবেই। তবে এ সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এলেই যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে তার সাবেক দল বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা বর্তমান দল সিটি।
এবার সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর দলটি। তার ছাপ ছিল মাঠের খেলাতেও, শুরু থেকেই বলের দখলে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি। কিন্তু প্রথম সুযোগটা পায় ডর্টমুন্ডই। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে করা জুড বেলিংহামের দারুণ শটটা ফিরিয়ে সিটিকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক এডারসন। ম্যাচের প্রথম গোলটি করে ম্যানসিটি। ১৯ মিনিটে আক্রমণের শুরুটা করেন কেভিন ডি ব্রুইন। তিনি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বক্সে বল বাড়ান ফোডেনকে, সেখান থেকে বল যায় রিয়াদ মাহরেজের কাছে। তার কাটব্যাক থেকে গোলটা করেন সেই ডি ব্রুইন। ৩০ মিনিটে একটা পেনাল্টি পেতে পেতেও পায়নি সিটি, এমরে কানের চ্যালেঞ্জে রদ্রি পড়ে যান বক্সে, প্রথমে পেনাল্টি দিলেও ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি।
এরপর একটা সিদ্ধান্ত এসেছে সিটির পক্ষেও। জুড বেলিংহামের চেষ্টা জালে জড়ালেও ভিএআরে বাতিল হয় তা, গোলের আগে সিটি গোলরক্ষককে ফাউলের অপরাধে। কিন্তু বাস্তবে তিনি কোন ফাউল করেননি। বল জালে যাওয়ার আগে রেফারি বাশি বাজানোর কারণেই ভিএআর গোলটি বজায় রাখতে পারেনি।
বিরতির পর যেন ক্রমেই লড়াই করার ক্ষমতা কমছিল ডর্টমুন্ডের। তবে ৮৪ মিনিটে এক ঝলকে প্রাণ ফেরে দলটিতে। আর্লিং হাল্যান্ডের পাস থেকে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান মার্কো রিউস। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ!
এরপর সিটি সমতায় ফিরতে সময় নিয়েছে পাঁচ মিনিট। এ গোলেও আছে অধিনায়ক ডি ব্রুইনের ছোঁয়া। তার ক্রস বক্সে খুঁজে পায় ইকে গুন্ডোগানকে। তার পাস যায় ফিল ফোডেনের কাছে। সহজ এক গোলে সিটিকে লড়াইয়ে আবারও এগিয়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। ম্যাচটা সিটি শেষ করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।
তবে জয় পেলেও কাজটা যে শেষ হয়ে যায়নি তা দলটা জানে ভালোভাবেই। মাত্র এক গোলের ব্যবধান, তার ওপর হজম করে আছে মহামূল্য অ্যাওয়ে গোলও। ১৪ এপ্রিল ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কের ফিরতি লেগটা কঠিনই হওয়ার কথা সিটির জন্য। সে ম্যাচে ডর্টমুন্ড যদি 1-0 গোলে জিতে যায় তাহলে অ্যাওয়ে গোলের তারাই উঠে যাবে সেমিফাইনালে। তাই ম্যানসিটিকে আরও একটি অগ্নী পরীক্ষা দিতে হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
অন্তিম সময়ে ফিল ফোডেনের করা গোলের সাহায্যে ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে পরাজিত করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার পথে খানিকটা এগিয়ে গেছে। ৮৪ মিনিটে মার্কো রিউসের গোলে ডর্টমুন্ড সমতা ফেরালে প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়ে যায় ম্যানসিটি। অবশ্য নিজেদের মাঠে সে চাপ কাটিয়ে একেবারে শেষ সময়ে ফোডেন গোল করলে জয়ী হয় পেপ গার্দিওয়ালার দলা। গার্দিওয়ালা সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার দল ভাল করতে পারছে না।
শেষ দশ বছরে পেপ গার্দিওলার দলগুলো লিগে আধিপত্য ধরে রেখেছে ভালোভাবেই। তবে এ সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এলেই যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে তার সাবেক দল বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা বর্তমান দল সিটি।
এবার সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর দলটি। তার ছাপ ছিল মাঠের খেলাতেও, শুরু থেকেই বলের দখলে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি। কিন্তু প্রথম সুযোগটা পায় ডর্টমুন্ডই। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে করা জুড বেলিংহামের দারুণ শটটা ফিরিয়ে সিটিকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক এডারসন। ম্যাচের প্রথম গোলটি করে ম্যানসিটি। ১৯ মিনিটে আক্রমণের শুরুটা করেন কেভিন ডি ব্রুইন। তিনি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বক্সে বল বাড়ান ফোডেনকে, সেখান থেকে বল যায় রিয়াদ মাহরেজের কাছে। তার কাটব্যাক থেকে গোলটা করেন সেই ডি ব্রুইন। ৩০ মিনিটে একটা পেনাল্টি পেতে পেতেও পায়নি সিটি, এমরে কানের চ্যালেঞ্জে রদ্রি পড়ে যান বক্সে, প্রথমে পেনাল্টি দিলেও ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি।
এরপর একটা সিদ্ধান্ত এসেছে সিটির পক্ষেও। জুড বেলিংহামের চেষ্টা জালে জড়ালেও ভিএআরে বাতিল হয় তা, গোলের আগে সিটি গোলরক্ষককে ফাউলের অপরাধে। কিন্তু বাস্তবে তিনি কোন ফাউল করেননি। বল জালে যাওয়ার আগে রেফারি বাশি বাজানোর কারণেই ভিএআর গোলটি বজায় রাখতে পারেনি।
বিরতির পর যেন ক্রমেই লড়াই করার ক্ষমতা কমছিল ডর্টমুন্ডের। তবে ৮৪ মিনিটে এক ঝলকে প্রাণ ফেরে দলটিতে। আর্লিং হাল্যান্ডের পাস থেকে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান মার্কো রিউস। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ!
এরপর সিটি সমতায় ফিরতে সময় নিয়েছে পাঁচ মিনিট। এ গোলেও আছে অধিনায়ক ডি ব্রুইনের ছোঁয়া। তার ক্রস বক্সে খুঁজে পায় ইকে গুন্ডোগানকে। তার পাস যায় ফিল ফোডেনের কাছে। সহজ এক গোলে সিটিকে লড়াইয়ে আবারও এগিয়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। ম্যাচটা সিটি শেষ করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।
তবে জয় পেলেও কাজটা যে শেষ হয়ে যায়নি তা দলটা জানে ভালোভাবেই। মাত্র এক গোলের ব্যবধান, তার ওপর হজম করে আছে মহামূল্য অ্যাওয়ে গোলও। ১৪ এপ্রিল ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কের ফিরতি লেগটা কঠিনই হওয়ার কথা সিটির জন্য। সে ম্যাচে ডর্টমুন্ড যদি 1-0 গোলে জিতে যায় তাহলে অ্যাওয়ে গোলের তারাই উঠে যাবে সেমিফাইনালে। তাই ম্যানসিটিকে আরও একটি অগ্নী পরীক্ষা দিতে হবে।