মধ্য বিরতির আগেই অল-আউট
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ফিরলেন লিটন দাস। প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন বাবর আজম। এরপর আর এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের রক্ষা হয়নি। মাত্র ১ রান যোগ করেন দ্বিতীয় দিন। ২৩৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ে ১১৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
লিটনের বিদায়ে নতুন ব্যাটার হিসেবে উইকেটে এসেছেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু অভিষেকটা সুখের হলনা রাব্বির। ৯১তম ওভারের শেষ বলে পায়ে লাগে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ইয়াসিরের। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন বাবর আজম। তবে বল স্ট্যাম্প মিস করায় বেঁচে যান ইয়াসির। পরের ওভারেই চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের রানের খাতা খোলেন। শাহিন আফ্রিদিকে দারুণ কাভার ড্রাইভে সাদাপোশাকে নব যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটারের।
কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলেন না, হাসানের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৪ রান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান। অভিষেক ম্যাচে তাদের বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। রানে খাতা খোলার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন। চার মেরে রানে খাতা খুলে যখন ভয়কে দূর করলেন তখনি বোল্ট হয়ে গেলেন। শাহীন আফ্রিদিকে দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ মেরে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু। এরপর হাসান আলীর দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে বোল্ড।
ইয়াসিরের বিদায়ে বিপাকে পড়তে হলো দলকে। তবে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত রয়েছেন ৯১ রানে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন টেস্ট মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর মুশফিক শতক থেকে ১৮ রান দূরে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিলেন। ৯ রান যোগ করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। আম্পায়ার আউট দিলে মুশফিক রিভিউ নেন, কিন্তু লাভ হয়নি। ২২৫ বলে ১১টি চারে ৯১ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন তাইজুল ইসলাম। দলের এমন বিপদেও কোন ভুমিকা রাখতে পারলেন না তিনি। ২৮ বল খেলে ১১ রান করে আফ্রিদির বলে ফিরে গেলেন তিনিও। তাইজুল ফিরলে রাহীকে নিয়ে ভালোই খেলছিলেন মিরাজ। দলের রানকে নিয়ে গেছেন ৩৩০ এ। কিন্তু আবার সেই হাসান আলী। হাসান আলীর বলে রেজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ বলে ৮ রান করে রাহী। শেষ উইকেট এবাদত ক্রিজে এসে প্রথম বলে ফিরে যান হাসান আলী বলে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৩৩০ রানে।
পাকিস্তানের হাসান আলী একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
প্রথম দিন আলোক স্বল্পতার কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের ৫ ওভার খেলা কম হয়। এ জন্য শনিবার (২৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হয় ১১ মিনিট আগে। অর্থ্যাৎ ৯টা ৪৯ মিনিটে। ৮৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৮২ ও লিটন কুমাস দাস ১১৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করছেন।
এর আগে প্রথম দিন স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান না যোগ হতেই নেই চার উইকেট। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস। শুধু হালই ধরেননি, দুজনে জুটিতে প্রথম দিনে আর কোনো বিপদই ঘটেনি বাংলাদেশ শিবিরে। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন ৪১৩ বল মোকাবিলা করে ২০৪ রান তোলেন। লিটন তুলনে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আর মুশফিক আছেন অষ্টম সেঞ্চুরির অপেক্ষায়।
মধ্য বিরতির আগেই অল-আউট
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ফিরলেন লিটন দাস। প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন বাবর আজম। এরপর আর এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের রক্ষা হয়নি। মাত্র ১ রান যোগ করেন দ্বিতীয় দিন। ২৩৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ে ১১৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
লিটনের বিদায়ে নতুন ব্যাটার হিসেবে উইকেটে এসেছেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু অভিষেকটা সুখের হলনা রাব্বির। ৯১তম ওভারের শেষ বলে পায়ে লাগে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ইয়াসিরের। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন বাবর আজম। তবে বল স্ট্যাম্প মিস করায় বেঁচে যান ইয়াসির। পরের ওভারেই চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের রানের খাতা খোলেন। শাহিন আফ্রিদিকে দারুণ কাভার ড্রাইভে সাদাপোশাকে নব যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটারের।
কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলেন না, হাসানের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৪ রান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান। অভিষেক ম্যাচে তাদের বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। রানে খাতা খোলার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন। চার মেরে রানে খাতা খুলে যখন ভয়কে দূর করলেন তখনি বোল্ট হয়ে গেলেন। শাহীন আফ্রিদিকে দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ মেরে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু। এরপর হাসান আলীর দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে বোল্ড।
ইয়াসিরের বিদায়ে বিপাকে পড়তে হলো দলকে। তবে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত রয়েছেন ৯১ রানে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন টেস্ট মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর মুশফিক শতক থেকে ১৮ রান দূরে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিলেন। ৯ রান যোগ করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। আম্পায়ার আউট দিলে মুশফিক রিভিউ নেন, কিন্তু লাভ হয়নি। ২২৫ বলে ১১টি চারে ৯১ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন তাইজুল ইসলাম। দলের এমন বিপদেও কোন ভুমিকা রাখতে পারলেন না তিনি। ২৮ বল খেলে ১১ রান করে আফ্রিদির বলে ফিরে গেলেন তিনিও। তাইজুল ফিরলে রাহীকে নিয়ে ভালোই খেলছিলেন মিরাজ। দলের রানকে নিয়ে গেছেন ৩৩০ এ। কিন্তু আবার সেই হাসান আলী। হাসান আলীর বলে রেজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ বলে ৮ রান করে রাহী। শেষ উইকেট এবাদত ক্রিজে এসে প্রথম বলে ফিরে যান হাসান আলী বলে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৩৩০ রানে।
পাকিস্তানের হাসান আলী একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
প্রথম দিন আলোক স্বল্পতার কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের ৫ ওভার খেলা কম হয়। এ জন্য শনিবার (২৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হয় ১১ মিনিট আগে। অর্থ্যাৎ ৯টা ৪৯ মিনিটে। ৮৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৮২ ও লিটন কুমাস দাস ১১৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করছেন।
এর আগে প্রথম দিন স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান না যোগ হতেই নেই চার উইকেট। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস। শুধু হালই ধরেননি, দুজনে জুটিতে প্রথম দিনে আর কোনো বিপদই ঘটেনি বাংলাদেশ শিবিরে। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন ৪১৩ বল মোকাবিলা করে ২০৪ রান তোলেন। লিটন তুলনে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আর মুশফিক আছেন অষ্টম সেঞ্চুরির অপেক্ষায়।