বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট
চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পর ঢাকা টেস্টে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোভাগ ও প্রথম দিনের একটি সেশন ভেসে যাওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বললেই চলে। দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল জানান, চট্টগ্রামে দল হেরে গেলেও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল। তিনি বলেন, ‘ড্র নয়, জয়ের জন্যই চট্টগ্রামে খেলতে এসেছিলাম। হয়ত কিছু ভালো পারফরম্যান্সও ছিল। ছোট ছোট কিছু জিনিস আমাদের হয়নি। মুমিনুল দুই ইনিংসে ভালো করতে পারেনি। হয়ত একটা ইনিংসে সে ভালো করলেই ম্যাচটা ড্র হত।’
ঢাকা টেস্টে জয়ের ইচ্ছা পূরণের পাশাপাশি ছিল আগের হারের শোধ নেওয়ার সুযোগ। তবে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে মোটেও জেতার মত অবস্থায় নেই। আহামরি কিছু না ঘটলে ড্র-ই হবে এই টেস্টের ভাগ্য। বাবুল বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা এখনও ইতিবাচক। চট্টগ্রামে হারার পরও মিরপুরে অনুশীলন, মিটিং, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সবই ইতিবাচক। চট্টগ্রামের প্রতিশোধ এখানে থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে, শুরুও ভালো করতে পারিনি। তবে ছেলেরা ভালো অবস্থায় আছে। তাদের চলাফেরা পজিটিভ।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দল এখনও কোনো জয় দেখেনি। টাইগাররা পরাজয়ের বৃত্তে বন্দী অনেক ম্যাচ ধরেই। তবে বাবুল মনে করছেন, এই টানা ব্যর্থতাও দলের মনোবল টলাতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘টি-২০ সিরিজ হারার পরও টেস্ট সিরিজে খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে আমরা ইতিবাচকতাই বেশি দেখেছি। বিশ্বকাপে সমালোচনার পর মানসিক যে অবস্থায় ছিল সেটা কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাঠে খেলোয়াড়দের তা কাটিয়ে উঠতে দেখেছি, উন্নতি দেখেছি। টেস্টেও অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। ভালো করার মানসিকতা ছিল।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন নিউজিল্যান্ড সফরের দল ঘোষণা করা হয়। দুই টেস্টের সেই স্কোয়াডে ছিল সাকিবের নাম। তবে পরবর্তীতে সাকিব ছুটি চান বোর্ডের কাছে। তাকে ছাড়াই তাই দলকে যেতে হবে কঠিন কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়। এ ব্যাপারে বাবুল জানান, সাকিব না থাকলেও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। তারকা এই অলরাউন্ডারের অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপস্থিতি নিয়ে দলের মাথাব্যথা নেই বলেও জানান তিনি। বাবুল বলেন, ‘এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা বোর্ডের ব্যাপার। এই বিষয়গুলো দলে কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যরা তাদের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করে। কেউ যদি না যায় তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ এখানে নেই। সাকিব বা অন্য যারা ভালো ওরা গেলে দলের শক্তি বাড়ে। তারা না গেলে যারা আছে তাদের নিয়েই জেতার জন্য যাব। শুরু থেকেই যদি অন্য মানসিকতা নিয়ে যাই তাহলে তো ভালো কিছু করার প্রশ্ন আসে না।’
বাবুল জানান, জৈব সুরক্ষা বলয়ে টানা খেলার মধ্যে থাকলেও কোচিং স্টাফরা দলকে চাঙ্গা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আর এর প্রভাব পড়ছে ক্রিকেটারদের ইতিবাচক ভাবভঙ্গিতেও। তার ভাষায়, ‘সবাই ছেলেদের মোটিভেটেড করার চেষ্টা করছি। হয়ত লক্ষ্য করবেন, তাদের মাঠের চলাফেরা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, মুখভঙ্গি- হাসিখুশি, তারা চেষ্টা করছে- এটা ফুটে উঠছে। আমার চোখে ধরা পড়েছে তারা ভালো করছে। ছেলেরা জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে কিছুটা মানসিক অবসাদে আছে। এটা কষ্টের ব্যাপার। এটা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাদের হাসিখুশি রাখাও কোচিং স্টাফের বড় দায়িত্ব। এটা পালন করার চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট
রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পর ঢাকা টেস্টে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোভাগ ও প্রথম দিনের একটি সেশন ভেসে যাওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বললেই চলে। দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল জানান, চট্টগ্রামে দল হেরে গেলেও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল। তিনি বলেন, ‘ড্র নয়, জয়ের জন্যই চট্টগ্রামে খেলতে এসেছিলাম। হয়ত কিছু ভালো পারফরম্যান্সও ছিল। ছোট ছোট কিছু জিনিস আমাদের হয়নি। মুমিনুল দুই ইনিংসে ভালো করতে পারেনি। হয়ত একটা ইনিংসে সে ভালো করলেই ম্যাচটা ড্র হত।’
ঢাকা টেস্টে জয়ের ইচ্ছা পূরণের পাশাপাশি ছিল আগের হারের শোধ নেওয়ার সুযোগ। তবে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে মোটেও জেতার মত অবস্থায় নেই। আহামরি কিছু না ঘটলে ড্র-ই হবে এই টেস্টের ভাগ্য। বাবুল বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা এখনও ইতিবাচক। চট্টগ্রামে হারার পরও মিরপুরে অনুশীলন, মিটিং, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সবই ইতিবাচক। চট্টগ্রামের প্রতিশোধ এখানে থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে, শুরুও ভালো করতে পারিনি। তবে ছেলেরা ভালো অবস্থায় আছে। তাদের চলাফেরা পজিটিভ।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দল এখনও কোনো জয় দেখেনি। টাইগাররা পরাজয়ের বৃত্তে বন্দী অনেক ম্যাচ ধরেই। তবে বাবুল মনে করছেন, এই টানা ব্যর্থতাও দলের মনোবল টলাতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘টি-২০ সিরিজ হারার পরও টেস্ট সিরিজে খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে আমরা ইতিবাচকতাই বেশি দেখেছি। বিশ্বকাপে সমালোচনার পর মানসিক যে অবস্থায় ছিল সেটা কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাঠে খেলোয়াড়দের তা কাটিয়ে উঠতে দেখেছি, উন্নতি দেখেছি। টেস্টেও অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। ভালো করার মানসিকতা ছিল।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন নিউজিল্যান্ড সফরের দল ঘোষণা করা হয়। দুই টেস্টের সেই স্কোয়াডে ছিল সাকিবের নাম। তবে পরবর্তীতে সাকিব ছুটি চান বোর্ডের কাছে। তাকে ছাড়াই তাই দলকে যেতে হবে কঠিন কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়। এ ব্যাপারে বাবুল জানান, সাকিব না থাকলেও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। তারকা এই অলরাউন্ডারের অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপস্থিতি নিয়ে দলের মাথাব্যথা নেই বলেও জানান তিনি। বাবুল বলেন, ‘এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা বোর্ডের ব্যাপার। এই বিষয়গুলো দলে কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যরা তাদের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করে। কেউ যদি না যায় তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ এখানে নেই। সাকিব বা অন্য যারা ভালো ওরা গেলে দলের শক্তি বাড়ে। তারা না গেলে যারা আছে তাদের নিয়েই জেতার জন্য যাব। শুরু থেকেই যদি অন্য মানসিকতা নিয়ে যাই তাহলে তো ভালো কিছু করার প্রশ্ন আসে না।’
বাবুল জানান, জৈব সুরক্ষা বলয়ে টানা খেলার মধ্যে থাকলেও কোচিং স্টাফরা দলকে চাঙ্গা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আর এর প্রভাব পড়ছে ক্রিকেটারদের ইতিবাচক ভাবভঙ্গিতেও। তার ভাষায়, ‘সবাই ছেলেদের মোটিভেটেড করার চেষ্টা করছি। হয়ত লক্ষ্য করবেন, তাদের মাঠের চলাফেরা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, মুখভঙ্গি- হাসিখুশি, তারা চেষ্টা করছে- এটা ফুটে উঠছে। আমার চোখে ধরা পড়েছে তারা ভালো করছে। ছেলেরা জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে কিছুটা মানসিক অবসাদে আছে। এটা কষ্টের ব্যাপার। এটা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাদের হাসিখুশি রাখাও কোচিং স্টাফের বড় দায়িত্ব। এটা পালন করার চেষ্টা করছি।’