৯৬ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও কুমিল্লার বিপক্ষে ভালোই লড়াই উপহার দিল সিলেট সানরাইজার্স। তবে শেষ পর্যন্ত স্বল্প পুঁজির কারণেই হারতে হলো তাদের। ৮ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় দিয়ে বিপিএলের অষ্টম আসর শুরু করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
৯৭ রানের টার্গেটে কুমিল্লার দুই বিদেশি রিক্রুট ফাফ ডু প্লেসি এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ওপেন করতে নামেন। তবে উইলোবাজি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা দুজন। দলীয় ১৩ রানে মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান করে সোহাগ গাজীর হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফাফ। ডেলপোর্ট গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন ১৬ রান করে। ১৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১টি করে চার-ছয়ের মারে।
৩৪ রানে ২ উইকেট হারানো কুমিল্লা এরপর আরও ১১ রান যোগ হতেই হারায় মুমিনুল হক (১৫) ও অধিনায়ক ইমরুলের (১০) উইকেট। দুজনকেই বিদায় করেন সিলেটের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দ্রুত বিদায় নেন আরিফুল হকও (৪)। আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত (১৮) ও নাহিদুল ইসলাম (১৬)।
৮৮ রানে কুমিল্লা হারায় শহিদুল ইসলামকে। ব্যাটারদের ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার প্রবণতায় সিলেট ছোট পুঁজি নিয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। তবে কুমিল্লা তখন জয় থেকে বেশি দূরে ছিল না। তাই জয়বঞ্চিত থাকতে হয়নি। ১৮.৪ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলে ইমরুল কায়েসের দল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট। শুরু থেকেই উইকেট হারানোর সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা খেলতে থাকেন একের পর এক ডট বল। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে ব্যাটসম্যানরা সিঙ্গেলস-ডাবলসের সঙ্গে বাউন্ডারি মারার জন্য মুখিয়ে থাকেন, সেখানে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা ডটবল খেলে উল্টো চাপে ফেলেছেন নিজেদের দলকেই।
প্রথম ১০ ওভারে ৬০ বলের মধ্যে ৪১টিই ছিল ডট! মেডেন ছিল ১ ওভার। ১০ ওভারে রান ছিল ৪ উইকেটে ৪৪! ওভার প্রতি ৪.৪০ রান করে নিয়েছে দলটি। পরের ৯ ওভার ১ বলে ডট ছিল ২৭টি, রান আসে ৫২টি।
সিলেটের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ২০ রান করেন কলিন ইনগ্রাম। দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ১৯ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। সিলেটের সাপোর্টাদের হতাশ করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন (৫), অধিনায়ক সৈকত (৩), অলক কাপালি (৬), মুক্তার আলিরা (০)। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তিন বোলার নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম।
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
৯৬ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও কুমিল্লার বিপক্ষে ভালোই লড়াই উপহার দিল সিলেট সানরাইজার্স। তবে শেষ পর্যন্ত স্বল্প পুঁজির কারণেই হারতে হলো তাদের। ৮ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় দিয়ে বিপিএলের অষ্টম আসর শুরু করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
৯৭ রানের টার্গেটে কুমিল্লার দুই বিদেশি রিক্রুট ফাফ ডু প্লেসি এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ওপেন করতে নামেন। তবে উইলোবাজি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা দুজন। দলীয় ১৩ রানে মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান করে সোহাগ গাজীর হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফাফ। ডেলপোর্ট গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন ১৬ রান করে। ১৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১টি করে চার-ছয়ের মারে।
৩৪ রানে ২ উইকেট হারানো কুমিল্লা এরপর আরও ১১ রান যোগ হতেই হারায় মুমিনুল হক (১৫) ও অধিনায়ক ইমরুলের (১০) উইকেট। দুজনকেই বিদায় করেন সিলেটের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দ্রুত বিদায় নেন আরিফুল হকও (৪)। আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত (১৮) ও নাহিদুল ইসলাম (১৬)।
৮৮ রানে কুমিল্লা হারায় শহিদুল ইসলামকে। ব্যাটারদের ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার প্রবণতায় সিলেট ছোট পুঁজি নিয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। তবে কুমিল্লা তখন জয় থেকে বেশি দূরে ছিল না। তাই জয়বঞ্চিত থাকতে হয়নি। ১৮.৪ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলে ইমরুল কায়েসের দল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট। শুরু থেকেই উইকেট হারানোর সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা খেলতে থাকেন একের পর এক ডট বল। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে ব্যাটসম্যানরা সিঙ্গেলস-ডাবলসের সঙ্গে বাউন্ডারি মারার জন্য মুখিয়ে থাকেন, সেখানে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা ডটবল খেলে উল্টো চাপে ফেলেছেন নিজেদের দলকেই।
প্রথম ১০ ওভারে ৬০ বলের মধ্যে ৪১টিই ছিল ডট! মেডেন ছিল ১ ওভার। ১০ ওভারে রান ছিল ৪ উইকেটে ৪৪! ওভার প্রতি ৪.৪০ রান করে নিয়েছে দলটি। পরের ৯ ওভার ১ বলে ডট ছিল ২৭টি, রান আসে ৫২টি।
সিলেটের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ২০ রান করেন কলিন ইনগ্রাম। দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ১৯ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। সিলেটের সাপোর্টাদের হতাশ করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন (৫), অধিনায়ক সৈকত (৩), অলক কাপালি (৬), মুক্তার আলিরা (০)। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তিন বোলার নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম।