পরাজয় দিয়ে বিপিএলের অষ্টম আসর শুরু করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম ম্যাচে হারার পর খুব ভালভাবেই ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো তারুণ্য নির্ভর চট্টগ্রাম।
জয়ের জন্য ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চার ওভার না যেতেই তানজীদ হাসান তামিম (৯) ও রনি তালুকদারের (৭) উইকেট হারায় খুলনা। ফ্লেচার ও মেহেদি হাসানের ব্যাটে সেই ধাক্কা সামলেও ওঠার চেষ্টা করছিল দলটি। কিন্তু সপ্তম ওভারে রেজাউর রহমানের বাউন্সে কাঁধে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্লেচার। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি। ফ্লেচারকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি স্বাভাবিক আছেন বলে জানা গেছে।
মাথায় বলের আঘাত পাওয়ায় কনকাশন প্রদ্ধতিতে ফ্লেচারের পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে নামেন সিকান্দার রাজা। তার আগে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পোড়েন শেখ মেহেদী হাসান। মেহেদী ২৪ বলে ৩০ এবং মুশফিক ১৫ বলে ১১ রানে আউট হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় খুলনার জয়ের আশা। তবে শেষদিকে ইয়াসির আলি রাব্বি ও সাব হয়ে নামা রাজা চেষ্টা চালান কিছুটা, লাভ হয়নি তাতে, এতে হারের ব্যবধান কমে শুধু।
নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। চট্টগ্রামের হয়ে শরীফুল, মিরাজ ও রাজা ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ২৫ রানের জয় নিশ্চিত করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল বন্দর নগরীর দলটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রানের দুই ওপেনার শুভাগতর করা প্রথম ওভার থেকেই সংগ্রহ করেন ২৩ রান। মাত্র ৭ বলের ঝড়েই থেমে যান জ্যাকস। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৭ বলে ১৭ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হন তিনি। আফিফ হোসেনের সাথে জুটিতে ২৩ রান যোগ করে বিদায় নেন লুইস। লুইস দুইটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৪ বলে ২৫ রান। রান-আউট হয়ে ১৩ বলে ১৫ রান করে আফিফ বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়েন সাব্বির ও মেহেদী হাসান মিরাজ। নাভিন উল হককে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মিরাজ। ২৩ বলে ৩০ রান করেন তিনি। মিরাজ আউট হোওয়ার পর বেশিক্ষন টিকতে পারেননি সাব্বিরও। ফিরে যাবার আগে ৩৩ বলে করেছেন ৩২ রান। শেষের দিকে ঝিমিয়ে আসা রানে গতি দেন হাওয়েল।
আগের দুই ম্যাচের মতো এ দিনও ব্যাট হাতে স্লগ ওভারে ছড়ি ঘোরান ইংলিশম্যান। ৪ চার আর ১ ছক্কায় ২০ বলে খেলেন ৩৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম।
রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে ৫ বলের দুটিকে ছক্কা বানিয়ে খেলেন ১৫ রানের ক্যামিও। তাতেই চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রানের। খুলনার পক্ষে ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কামরুল রাব্বি। নবীন উল হক ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। ফরহাদ রেজা ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
পরাজয় দিয়ে বিপিএলের অষ্টম আসর শুরু করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম ম্যাচে হারার পর খুব ভালভাবেই ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো তারুণ্য নির্ভর চট্টগ্রাম।
জয়ের জন্য ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চার ওভার না যেতেই তানজীদ হাসান তামিম (৯) ও রনি তালুকদারের (৭) উইকেট হারায় খুলনা। ফ্লেচার ও মেহেদি হাসানের ব্যাটে সেই ধাক্কা সামলেও ওঠার চেষ্টা করছিল দলটি। কিন্তু সপ্তম ওভারে রেজাউর রহমানের বাউন্সে কাঁধে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্লেচার। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি। ফ্লেচারকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি স্বাভাবিক আছেন বলে জানা গেছে।
মাথায় বলের আঘাত পাওয়ায় কনকাশন প্রদ্ধতিতে ফ্লেচারের পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে নামেন সিকান্দার রাজা। তার আগে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পোড়েন শেখ মেহেদী হাসান। মেহেদী ২৪ বলে ৩০ এবং মুশফিক ১৫ বলে ১১ রানে আউট হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় খুলনার জয়ের আশা। তবে শেষদিকে ইয়াসির আলি রাব্বি ও সাব হয়ে নামা রাজা চেষ্টা চালান কিছুটা, লাভ হয়নি তাতে, এতে হারের ব্যবধান কমে শুধু।
নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। চট্টগ্রামের হয়ে শরীফুল, মিরাজ ও রাজা ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ২৫ রানের জয় নিশ্চিত করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল বন্দর নগরীর দলটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রানের দুই ওপেনার শুভাগতর করা প্রথম ওভার থেকেই সংগ্রহ করেন ২৩ রান। মাত্র ৭ বলের ঝড়েই থেমে যান জ্যাকস। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৭ বলে ১৭ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হন তিনি। আফিফ হোসেনের সাথে জুটিতে ২৩ রান যোগ করে বিদায় নেন লুইস। লুইস দুইটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৪ বলে ২৫ রান। রান-আউট হয়ে ১৩ বলে ১৫ রান করে আফিফ বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়েন সাব্বির ও মেহেদী হাসান মিরাজ। নাভিন উল হককে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মিরাজ। ২৩ বলে ৩০ রান করেন তিনি। মিরাজ আউট হোওয়ার পর বেশিক্ষন টিকতে পারেননি সাব্বিরও। ফিরে যাবার আগে ৩৩ বলে করেছেন ৩২ রান। শেষের দিকে ঝিমিয়ে আসা রানে গতি দেন হাওয়েল।
আগের দুই ম্যাচের মতো এ দিনও ব্যাট হাতে স্লগ ওভারে ছড়ি ঘোরান ইংলিশম্যান। ৪ চার আর ১ ছক্কায় ২০ বলে খেলেন ৩৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম।
রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে ৫ বলের দুটিকে ছক্কা বানিয়ে খেলেন ১৫ রানের ক্যামিও। তাতেই চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রানের। খুলনার পক্ষে ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কামরুল রাব্বি। নবীন উল হক ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। ফরহাদ রেজা ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট।