মুশফিকের সেঞ্চুরি উদযাপন -বিসিবি
ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের পর শতরানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ নামে খ্যাত মুশফিকুর রহিম। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল আরেক ওপেনার জয় ও মিডল অর্ডার ব্যাটার লিটন কুমার দাসের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি। তাতে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রানে অল আউট হওয়ার সময়ে লিড পায় ৬৮ রানের। দ্বিতীয় ইনিংনে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানরা ১৭ দশমিক ১ ওভারে ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছে। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময়ে আট উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কানরা পিছিয়ে ২৯ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে তোলা ৩১৮ রান নিয়ে টাইগাররা চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামার সময়ে ক্রিজে ছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস।
চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় খেলা। ব্যাট হাতে মুশফিক ও লিটনের সাবধানী পথচলায় প্রথম ঘণ্টায় কোন বিপদ হয়নি। ১৪ ওভারে ৩৮ রান তোলেন তারা। দিনের ১৬তম ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্দোর করা দ্বিতীয় বলটা ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে ৬৮তে পৌঁছেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন মুশফিক (বিস্তারিত খেলার পাতায়)।
মুশফিকের দুর্দান্ত অর্জনের সেশন শেষে ৩৮৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় টাইগাররা। এসময় মুশফিক ৮৫ ও লিটন ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। দু’জনই সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন। আর শ্রীলঙ্কার রানকে টপকে লিড নেয়া থেকে ১৩ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ।
তবে, দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এই সেশনের প্রথম বলেই শ্রীলঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথার অফ-স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ধরা পড়লে ৮৮ রানেই থেমে যান লিটন। তার ১৮৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার। মুশফিকের সঙ্গে তার ৩৭৪ বলের জুটিতে আসে ১৬৪ রান।
লিটনের বিদায়ে উইকেটে আসেন ১৩৩ রানে আগের দিন অবসরে যাওয়া তামিম। তার সামনেও তখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা টার্গেট। এজন্য ১৯ রান দরকার ছিল তামিমের। কিন্তু মোকাবেলা করা প্রথম বলেই বোল্ড হন তামিম। রাজিথার সামান্য সুইং করা বল উপড়ে ফেলে তামিমের স্টাম্প।
পরপর দুই বলে লিটন ও তামিমকে শিকার করে শ্রীলংকার খেলায় ফেরার পথ তৈরি করেন কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা রাজিথা।
মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে ১৪০তম ওভারে লিড নেয় বাংলাদেশ। ঐ ওভারে শ্রীলঙ্কার রানকে টপকে দলীয় স্কোর ৪শ’ স্পর্শ করে টাইগারদের। তবে আসিথার করা ১৪৭তম ওভারে প্রথম বলে বিদায় ঘটে সাকিবের (২৬)।
সাকিব ফেরার ৩৭ বল পর টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। আসিথাকে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অংকের কোটায় পা রাখেন মুশফিক। সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ২৭০ বল খেলেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক।
সেঞ্চুরির পর শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি স্পিনার লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার সময়ে মুশফিকের নামের পাশে ২৮২ বলে ১০৫ রান।
শেষ দিকের ব্যাটারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ৩টি চারের মারে ৪৫ বল খেলে ২০ রান করেছেন তাইজুল। এতে দলের স্কোর সাড়ে চারশ পার হয় বাংলাদেশের।
শরিফুল আহত অবসর নিলে শেষ পর্যন্ত ৪৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। যা টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। তবে এই ভেন্যুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার পক্ষে কাসুন রাজিথা ৪টি, আসিথা ফার্নান্দো ৩টি উইকেট নেন।
৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভালোই এগোচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ১১ ওভার পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। তবে ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩৬ রানে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে। সাকিবের করা ওভারের পঞ্চম বলটি মিড উইকেটে ঠেলেছিলেন করুনারত্নে। রানের জন্য ছোটেন ওশাদা। তাতে সাড়া দেননি করুনারত্নে। ততক্ষণে মিড উইকেট থেকে সরাসরি থ্রোতে তাইজুল উইকেট ভেঙে দিলে রান আউট হন ওশাদা।
ওশাদার বিদায়ের পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা এম্বুলদেনিয়াকে (২) কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে দারুন এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাইজুল। ১৮ রানে অপরাজিত আছেন করুনারত্নে।
মুশফিকের সেঞ্চুরি উদযাপন -বিসিবি
বুধবার, ১৮ মে ২০২২
ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের পর শতরানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ নামে খ্যাত মুশফিকুর রহিম। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল আরেক ওপেনার জয় ও মিডল অর্ডার ব্যাটার লিটন কুমার দাসের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি। তাতে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রানে অল আউট হওয়ার সময়ে লিড পায় ৬৮ রানের। দ্বিতীয় ইনিংনে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানরা ১৭ দশমিক ১ ওভারে ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছে। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময়ে আট উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কানরা পিছিয়ে ২৯ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে তোলা ৩১৮ রান নিয়ে টাইগাররা চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামার সময়ে ক্রিজে ছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস।
চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় খেলা। ব্যাট হাতে মুশফিক ও লিটনের সাবধানী পথচলায় প্রথম ঘণ্টায় কোন বিপদ হয়নি। ১৪ ওভারে ৩৮ রান তোলেন তারা। দিনের ১৬তম ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্দোর করা দ্বিতীয় বলটা ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে ৬৮তে পৌঁছেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন মুশফিক (বিস্তারিত খেলার পাতায়)।
মুশফিকের দুর্দান্ত অর্জনের সেশন শেষে ৩৮৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় টাইগাররা। এসময় মুশফিক ৮৫ ও লিটন ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। দু’জনই সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন। আর শ্রীলঙ্কার রানকে টপকে লিড নেয়া থেকে ১৩ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ।
তবে, দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এই সেশনের প্রথম বলেই শ্রীলঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথার অফ-স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ধরা পড়লে ৮৮ রানেই থেমে যান লিটন। তার ১৮৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার। মুশফিকের সঙ্গে তার ৩৭৪ বলের জুটিতে আসে ১৬৪ রান।
লিটনের বিদায়ে উইকেটে আসেন ১৩৩ রানে আগের দিন অবসরে যাওয়া তামিম। তার সামনেও তখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা টার্গেট। এজন্য ১৯ রান দরকার ছিল তামিমের। কিন্তু মোকাবেলা করা প্রথম বলেই বোল্ড হন তামিম। রাজিথার সামান্য সুইং করা বল উপড়ে ফেলে তামিমের স্টাম্প।
পরপর দুই বলে লিটন ও তামিমকে শিকার করে শ্রীলংকার খেলায় ফেরার পথ তৈরি করেন কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা রাজিথা।
মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে ১৪০তম ওভারে লিড নেয় বাংলাদেশ। ঐ ওভারে শ্রীলঙ্কার রানকে টপকে দলীয় স্কোর ৪শ’ স্পর্শ করে টাইগারদের। তবে আসিথার করা ১৪৭তম ওভারে প্রথম বলে বিদায় ঘটে সাকিবের (২৬)।
সাকিব ফেরার ৩৭ বল পর টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। আসিথাকে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অংকের কোটায় পা রাখেন মুশফিক। সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ২৭০ বল খেলেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক।
সেঞ্চুরির পর শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি স্পিনার লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার সময়ে মুশফিকের নামের পাশে ২৮২ বলে ১০৫ রান।
শেষ দিকের ব্যাটারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ৩টি চারের মারে ৪৫ বল খেলে ২০ রান করেছেন তাইজুল। এতে দলের স্কোর সাড়ে চারশ পার হয় বাংলাদেশের।
শরিফুল আহত অবসর নিলে শেষ পর্যন্ত ৪৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। যা টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। তবে এই ভেন্যুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার পক্ষে কাসুন রাজিথা ৪টি, আসিথা ফার্নান্দো ৩টি উইকেট নেন।
৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভালোই এগোচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ১১ ওভার পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। তবে ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩৬ রানে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে। সাকিবের করা ওভারের পঞ্চম বলটি মিড উইকেটে ঠেলেছিলেন করুনারত্নে। রানের জন্য ছোটেন ওশাদা। তাতে সাড়া দেননি করুনারত্নে। ততক্ষণে মিড উইকেট থেকে সরাসরি থ্রোতে তাইজুল উইকেট ভেঙে দিলে রান আউট হন ওশাদা।
ওশাদার বিদায়ের পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা এম্বুলদেনিয়াকে (২) কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে দারুন এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাইজুল। ১৮ রানে অপরাজিত আছেন করুনারত্নে।