কিলিয়ান এমবাপ্পে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দুইবার তিনবার রিয়াল মাদ্রিদ চেষ্টা করেও এমবাপ্পেকে দলে নিতে ব্যর্থ হলো। প্রথমবার তারা চেষ্টা করেছিল ২০১৭ সালে। তখন এমবাপ্পে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন। এর পর ২০২১ সালে পিএসজিকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও দিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি পিএসজি। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে এমবাপ্পেকে দলে নেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় রিয়াল মাদ্রিদের।
জিনেদিন জিদান, লুইস ফিগো, রোনালদো নাজারিও, রবার্তো কার্লোস, ডেভিড বেকহ্যাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো তারকাদের দলে নিতে পারলেও আগে আরো কয়েকজন খেলোয়াড়কে দলে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
কিলিয়ান এমবাপ্পে বরাবরই বলে আসছিলেন যে, রিয়াল মাদ্রিদ তার স্বপ্নের ক্লাব। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে রাজী হলেন না তিনি। তার আগে স্টিভেন জেরার্ড দুইবার রিয়ালে যোগ দেয়ার প্রস্তাবে রাজী হননি। প্রথমবার ২০০৪ সালে এর্ব পরের বার ২০১০ সালে। এমনকি রয় কিন এবং পল পগবাও রিয়ালের প্রস্তাবে রাজী হননি।
রিয়ালের প্রস্তাবে রাজী না হওয়া প্রসঙ্গে জেরার্ড বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে দুইবার সুযোগ এসেছিল রিয়ালে যোগ দেয়ার। কিন্তু আমার নিজ শহরের ক্লাবের প্রতি ভালবাসার কারণেই স্পেনে যাওয়া হয়নি। সুযোগ পেয়ে তা কাজে না লাগানোয় হয়তো আমার মাঝে অনুশোচনা আসতে পারতো। কিন্তু আমি যদি নিজের শহরের ক্লাব লিভারপুল ছেড়ে সেখানে যেতাম তাহলে হয়তো অনুশোচনা আরো বেশী হতো। আমি রিয়াল মাদ্রিদের বড় একজন ভক্ত। কিন্তু আমার কাছে লিভারপুলই এক নম্বর দল।’
নেইমারও একবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ালে যোগ দেয়ার সুযোগ। তার বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর তখন তাকে দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তখন তিনি রিয়ালে যোগ দিতে সম্মত হননি। পরে অবশ্য তাদের চির শত্রু বার্সেলোনায় খেলেছেন নেইমার। সে প্রসঙ্গে নেইমার এলইকুইপ পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি প্রথম যখন ইউরোপে আসি তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তখন ইউরোপে আমার ভাল লাগেনি। ঐ বয়সে ব্রাজিলের বাইরে গিয়ে আমি ভাল থাকতে পারবো না বলেই মনে হয়েছিল।’
ইটালির সুপারস্টার ফ্রান্সিস্কো টোট্টিকে অন্তত তিনবার দলে নিতে চেষ্টা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু টোট্টি এএস রোমাতেই ছিলেন সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্য অনেক ভেবেছিলাম রিয়ালকে নিয়ে। তখন একবার রিয়ালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আবার তা পরিবর্তন করি এমন অবস্থা চলছিল মনের ভেতরে। সত্যি কথা বলতে কি তখন হৃদয়ের কথা শুনে আমি রোমাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এখনো মনে হয় রোমা ছেড়ে যদি অন্য কোন ক্লাবে আমার যোগ দেয়ার সম্ভাবনা থাকতো তাহলে সেটি হলো রিয়াল মাদ্রিদই। অন্য দেশে খেলতে পারার অভিজ্ঞতাটা আমার ও পরিবারের জন্য দারুন হতো।’
রয় কিনকে ১৮ মাসের জন্য দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। কিন বলেন, ‘তারা আমাকে দেড় বছরের চুক্তিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি আলোচনার জন্য মাদ্রিদে গিয়েছিলাম। আলোচনা অনেক এগিয়েওছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি তাদের প্রস্তাবে রাজী হইনি।’
ফরাসী তারকা পল পগবাকে ২০১৬ সালে দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু পগবা তখন যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ আমার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল এবং আমিও সেখানে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। আমার মনে ছিল ম্যানইউর ভাবনাও। শেষ পর্যন্ত আমি এখানেই চলে আসি।’
ইটালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফোনকেও দলে নিতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পাতানো খেলার কেলেংকারীর কারণে ইউভেন্টাসকে ২০০৬ সালে নিচের বিভাগে নামিয়ে দেয়ার পর তাকে দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল। ইউভেন্টাসও খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়েছিল অন্য কোন দলে যোগ দেয়ার। কিন্তু বুফনের সাথে ক্লাবের আরো দুই বছর চুক্তির মেয়াদ ছিল। বুফোন ইটালি ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাননি বলেই যোগ দেননি রিয়ালে।
সোমবার, ২৩ মে ২০২২
কিলিয়ান এমবাপ্পে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দুইবার তিনবার রিয়াল মাদ্রিদ চেষ্টা করেও এমবাপ্পেকে দলে নিতে ব্যর্থ হলো। প্রথমবার তারা চেষ্টা করেছিল ২০১৭ সালে। তখন এমবাপ্পে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন। এর পর ২০২১ সালে পিএসজিকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও দিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি পিএসজি। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে এমবাপ্পেকে দলে নেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় রিয়াল মাদ্রিদের।
জিনেদিন জিদান, লুইস ফিগো, রোনালদো নাজারিও, রবার্তো কার্লোস, ডেভিড বেকহ্যাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো তারকাদের দলে নিতে পারলেও আগে আরো কয়েকজন খেলোয়াড়কে দলে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
কিলিয়ান এমবাপ্পে বরাবরই বলে আসছিলেন যে, রিয়াল মাদ্রিদ তার স্বপ্নের ক্লাব। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে রাজী হলেন না তিনি। তার আগে স্টিভেন জেরার্ড দুইবার রিয়ালে যোগ দেয়ার প্রস্তাবে রাজী হননি। প্রথমবার ২০০৪ সালে এর্ব পরের বার ২০১০ সালে। এমনকি রয় কিন এবং পল পগবাও রিয়ালের প্রস্তাবে রাজী হননি।
রিয়ালের প্রস্তাবে রাজী না হওয়া প্রসঙ্গে জেরার্ড বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে দুইবার সুযোগ এসেছিল রিয়ালে যোগ দেয়ার। কিন্তু আমার নিজ শহরের ক্লাবের প্রতি ভালবাসার কারণেই স্পেনে যাওয়া হয়নি। সুযোগ পেয়ে তা কাজে না লাগানোয় হয়তো আমার মাঝে অনুশোচনা আসতে পারতো। কিন্তু আমি যদি নিজের শহরের ক্লাব লিভারপুল ছেড়ে সেখানে যেতাম তাহলে হয়তো অনুশোচনা আরো বেশী হতো। আমি রিয়াল মাদ্রিদের বড় একজন ভক্ত। কিন্তু আমার কাছে লিভারপুলই এক নম্বর দল।’
নেইমারও একবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ালে যোগ দেয়ার সুযোগ। তার বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর তখন তাকে দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তখন তিনি রিয়ালে যোগ দিতে সম্মত হননি। পরে অবশ্য তাদের চির শত্রু বার্সেলোনায় খেলেছেন নেইমার। সে প্রসঙ্গে নেইমার এলইকুইপ পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি প্রথম যখন ইউরোপে আসি তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তখন ইউরোপে আমার ভাল লাগেনি। ঐ বয়সে ব্রাজিলের বাইরে গিয়ে আমি ভাল থাকতে পারবো না বলেই মনে হয়েছিল।’
ইটালির সুপারস্টার ফ্রান্সিস্কো টোট্টিকে অন্তত তিনবার দলে নিতে চেষ্টা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু টোট্টি এএস রোমাতেই ছিলেন সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্য অনেক ভেবেছিলাম রিয়ালকে নিয়ে। তখন একবার রিয়ালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আবার তা পরিবর্তন করি এমন অবস্থা চলছিল মনের ভেতরে। সত্যি কথা বলতে কি তখন হৃদয়ের কথা শুনে আমি রোমাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এখনো মনে হয় রোমা ছেড়ে যদি অন্য কোন ক্লাবে আমার যোগ দেয়ার সম্ভাবনা থাকতো তাহলে সেটি হলো রিয়াল মাদ্রিদই। অন্য দেশে খেলতে পারার অভিজ্ঞতাটা আমার ও পরিবারের জন্য দারুন হতো।’
রয় কিনকে ১৮ মাসের জন্য দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। কিন বলেন, ‘তারা আমাকে দেড় বছরের চুক্তিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি আলোচনার জন্য মাদ্রিদে গিয়েছিলাম। আলোচনা অনেক এগিয়েওছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি তাদের প্রস্তাবে রাজী হইনি।’
ফরাসী তারকা পল পগবাকে ২০১৬ সালে দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু পগবা তখন যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ আমার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল এবং আমিও সেখানে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। আমার মনে ছিল ম্যানইউর ভাবনাও। শেষ পর্যন্ত আমি এখানেই চলে আসি।’
ইটালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফোনকেও দলে নিতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পাতানো খেলার কেলেংকারীর কারণে ইউভেন্টাসকে ২০০৬ সালে নিচের বিভাগে নামিয়ে দেয়ার পর তাকে দলে নিতে চেয়েছিল রিয়াল। ইউভেন্টাসও খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়েছিল অন্য কোন দলে যোগ দেয়ার। কিন্তু বুফনের সাথে ক্লাবের আরো দুই বছর চুক্তির মেয়াদ ছিল। বুফোন ইটালি ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাননি বলেই যোগ দেননি রিয়ালে।