ঢাকা টেস্ট
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের পুরো এক সেশন ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। দুই সেশনে খেলা হয়েছে ৫১ ওভার। এই ৫১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান যোগ করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসের স্কোর ৯৭ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮২ রান। দুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও একটি ইবাদত। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৮৩ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা। স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৬৫ রান।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ২ উইকেটে তোলা ১৪৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। সফরকারী দলের অধিনায়ক দ্বিমুথ করুনারত্নে ৭০ রানে ও নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা রানের খাতা খোলার জন্য মাঠে নামলেও তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট শিকারের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ। রাজিথাকে (০) বোল্ড করেন বাংলাদেশ পেসার এবাদত হোসেন।
এরপর ক্রিজে আসেন প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অধিনায়কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ম্যাথুস ব্যাট চালালে দলের স্কোর দেড়শ পেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয় দিনে তিনবার জীবন পাওয়া করুনারত্নে, দিনের শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন না। সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে পা নিয়ে খেলতে না পারার মাশুল দিয়েছেন লঙ্কা দলপতি। সাকিবের ডেলিভারি ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে আঘাত করলে ৯টি বাউন্ডারির মারে ১৫৫ বলে ৮০ রান তোলা করুনারত্নেকে ফিরতে হয় সাজঘরে।
এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়েই প্রথম সেশন শেষ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ম্যাথুস। টাইগার বোলারদের শক্ত হাতে সামলে এই জুটি পার করেন দুইশ রানের কোটা।
মধ্যাহ্ন-বিরতি ঠিক আগ মুর্হূতে বৃষ্টি নামলে, আগেভাগেই শেষ হয় প্রথম সেশন। লঙ্কানদের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ২১০ রান। এসময় ম্যাথুস ২৫ ও ডি সিলভা ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিরতির সময় শেষ হবার পরও বৃষ্টির দাপটে মাঠে গড়ায়নি খেলা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় সেশনের খেলা ভেস্তে যায়। পরে বিকেল ৪টায় ম্যাচ আবার মাঠে গড়ালে আলোর স্বল্পতা না হলে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাবার সিদ্বান্ত নেয়া হয়। আর শেষ দু’দিন সকাল ১০টার পরিবর্তে ৯টা ৩০ মিনিটে খেলার শুরু করা হবে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে প্রথম ছয় ওভারের পাঁচটিতেই কোন রান নিতে পারেননি ম্যাথুজ ও ডি সিলভা।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৮১তম ওভারের দ্বিতীয় বলের পর নতুন বল নেয় বাংলাদেশ। খালেদের করা ঐ ওভারের শেষ দুই ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকান ম্যাথুস। ৮৭তম ওভারে খালেদকে চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম হাফ-সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ডি সিলভা।
সাকিবের করা পরের ওভারে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৮তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন ম্যাথুজ। আর ঐ ওভারের পঞ্চম বলে রিভিউ নিয়ে ডি সিলভার বিদায় নিশ্চিত করেন সাকিব।
সাকিবের টার্ন করা বল ঠিক মত খেলতে পারেননি ডি সিলভা। বল গিয়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক লিটনের গ্লভসে। কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বাংলাদেশ। তাতে সাড়া দেননি নন-স্ট্রাইক প্রান্তের আম্পায়ার। পরে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, লিটনের গ্লাভসে বল জমা হওয়ার আগে ডি সিলভার ব্যাটে চুমু খেয়েছিল। ফেরার আগে ৯৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান ডি সিলভা। লঙ্কান ইনিংসে সাকিবের এটা তৃতীয় উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ১৯১ বলে ১০২ রান যোগ করেন ম্যাথুস ও ডি সিলভা।
ষষ্ঠ উইকেটে দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ম্যাথুস। ম্যাথুস ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কায় ১৫৩ বলে ৫৮ রানে ও চান্ডিমাল ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৫৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন, ৭৮ রানে দুটো উইকেট শিকার করেন এবাদত।
ঢাকা টেস্ট
বুধবার, ২৫ মে ২০২২
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের পুরো এক সেশন ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। দুই সেশনে খেলা হয়েছে ৫১ ওভার। এই ৫১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান যোগ করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসের স্কোর ৯৭ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮২ রান। দুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও একটি ইবাদত। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৮৩ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা। স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৬৫ রান।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ২ উইকেটে তোলা ১৪৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। সফরকারী দলের অধিনায়ক দ্বিমুথ করুনারত্নে ৭০ রানে ও নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা রানের খাতা খোলার জন্য মাঠে নামলেও তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট শিকারের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ। রাজিথাকে (০) বোল্ড করেন বাংলাদেশ পেসার এবাদত হোসেন।
এরপর ক্রিজে আসেন প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অধিনায়কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ম্যাথুস ব্যাট চালালে দলের স্কোর দেড়শ পেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয় দিনে তিনবার জীবন পাওয়া করুনারত্নে, দিনের শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন না। সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে পা নিয়ে খেলতে না পারার মাশুল দিয়েছেন লঙ্কা দলপতি। সাকিবের ডেলিভারি ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে আঘাত করলে ৯টি বাউন্ডারির মারে ১৫৫ বলে ৮০ রান তোলা করুনারত্নেকে ফিরতে হয় সাজঘরে।
এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়েই প্রথম সেশন শেষ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ম্যাথুস। টাইগার বোলারদের শক্ত হাতে সামলে এই জুটি পার করেন দুইশ রানের কোটা।
মধ্যাহ্ন-বিরতি ঠিক আগ মুর্হূতে বৃষ্টি নামলে, আগেভাগেই শেষ হয় প্রথম সেশন। লঙ্কানদের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ২১০ রান। এসময় ম্যাথুস ২৫ ও ডি সিলভা ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিরতির সময় শেষ হবার পরও বৃষ্টির দাপটে মাঠে গড়ায়নি খেলা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় সেশনের খেলা ভেস্তে যায়। পরে বিকেল ৪টায় ম্যাচ আবার মাঠে গড়ালে আলোর স্বল্পতা না হলে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাবার সিদ্বান্ত নেয়া হয়। আর শেষ দু’দিন সকাল ১০টার পরিবর্তে ৯টা ৩০ মিনিটে খেলার শুরু করা হবে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে প্রথম ছয় ওভারের পাঁচটিতেই কোন রান নিতে পারেননি ম্যাথুজ ও ডি সিলভা।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৮১তম ওভারের দ্বিতীয় বলের পর নতুন বল নেয় বাংলাদেশ। খালেদের করা ঐ ওভারের শেষ দুই ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকান ম্যাথুস। ৮৭তম ওভারে খালেদকে চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম হাফ-সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ডি সিলভা।
সাকিবের করা পরের ওভারে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৮তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন ম্যাথুজ। আর ঐ ওভারের পঞ্চম বলে রিভিউ নিয়ে ডি সিলভার বিদায় নিশ্চিত করেন সাকিব।
সাকিবের টার্ন করা বল ঠিক মত খেলতে পারেননি ডি সিলভা। বল গিয়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক লিটনের গ্লভসে। কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বাংলাদেশ। তাতে সাড়া দেননি নন-স্ট্রাইক প্রান্তের আম্পায়ার। পরে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, লিটনের গ্লাভসে বল জমা হওয়ার আগে ডি সিলভার ব্যাটে চুমু খেয়েছিল। ফেরার আগে ৯৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান ডি সিলভা। লঙ্কান ইনিংসে সাকিবের এটা তৃতীয় উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ১৯১ বলে ১০২ রান যোগ করেন ম্যাথুস ও ডি সিলভা।
ষষ্ঠ উইকেটে দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ম্যাথুস। ম্যাথুস ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কায় ১৫৩ বলে ৫৮ রানে ও চান্ডিমাল ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৫৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন, ৭৮ রানে দুটো উইকেট শিকার করেন এবাদত।