ক্লাব ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত কোচদের কেউই প্যারিস সেন্ট জার্মেইর দায়িত্ব নিতে রাজী না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ফরাসী ক্লাবটি সম্ভবত ক্রিস্টোফ গ্যাল্টিয়েরকেই তাদের প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে। নাইসের বর্তমান কোচ গ্যাল্টিয়েরের সাথে পিএসজির ডাইরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস ইতোমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের মধ্যেকার আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের দায়িত্ব তার হাতেই দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যাম্পোস। যদিও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
গ্যাল্টিয়ের বড় কোন দলের দায়িত্ব পালন না করলেও লিলে এবং নাইসের কোচ হিসেবে সফল ছিলেন। সে সাফল্যের উপর ভিত্তি করেই গ্যাল্টিয়েরকে দায়িত্ব দিতে চায় পিএসজি। তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেয়ার আগে অন্তত দুটি কাজ করতে হবে পিএসজিকে। প্রথমত নাইসের সাথে একটি চুক্তি করে ছাড় করাতে হবে গ্যাল্টিয়েরকে এবং মরিসিও পচেত্তিনোকে লিখিতভাবে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। পচেত্তিনোকে লিখিতভাবে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে না।
পিএসজি চেষ্টা করেছিল জিনেদিন জিদানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে। দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। জিদান কাতার পর্যন্ত গিয়েছিলেন আলোচনা করতে। কোচ হিসেবে আবার টাচ লাইনে ফেরার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন জিদান। তখন মনে হয়েছিল জিদানই হতে যাচ্ছেন পিএসজির কোচ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা না এলেও বোঝা যাচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা সফল হয়নি। জিদান চাইছেন ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হতে। সে জন্য অবশ্য তাকে আসন্ন বিশ^কাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাতীয় দলের বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বিশ^কাপেও দলের দায়িত্বে থাকবেন।
জিদান ছাড়াও ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি, মার্সেলো গায়ার্দো এবং অ্যান্টনিও কোন্টের নাম শোনা গিয়েছিল কোচ হিসেবে। কিন্তু কেউই পিএসজির দায়িত্ব নিতে রাজী হননি। জানা গেছেন কোচ হিসেবে তারা যে স্বাধীনতা চান ক্লাব কর্তৃপক্ষ তা দিতে রাজী নয়। তাছাড়া দলের তারকা খেলোয়াড়রা কোচের নির্দেশনা খুব একটা মানেন না। খেলোয়াড়দের মধ্যে সুসম্পর্কও তেমন নেই, আছে গ্রুপিং। তাছাড়া এমবাপ্পের সাথে চুক্তির সময়ে দল গঠনে তার ভুমিকা থাকবে বলেও মেনে নিয়েছে পিএসজির মালিক। ফলে কোচকে মানতে হবে এমবাপ্পের নির্দেশনাও। এমন পরিস্থিতিতে কোচকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে হয়তো দেখা যাবে অনেক তারকাই একাদশ থেকে ছিটকে যাবেন শৃঙ্খলা জনিত কারণে। কিন্তু পিএসজি কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজী নন। এ সব কারণেই ক্লাব ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত কোচরা দলের দায়িত্ব নিতে রাজী হচ্ছেন না। তাই গ্যাল্টিয়েরের মতো খুব স্বল্প পরিচিত কোচের উপরই নির্ভর করতে যাচ্ছে পিএসজি।
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
ক্লাব ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত কোচদের কেউই প্যারিস সেন্ট জার্মেইর দায়িত্ব নিতে রাজী না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ফরাসী ক্লাবটি সম্ভবত ক্রিস্টোফ গ্যাল্টিয়েরকেই তাদের প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে। নাইসের বর্তমান কোচ গ্যাল্টিয়েরের সাথে পিএসজির ডাইরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস ইতোমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের মধ্যেকার আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের দায়িত্ব তার হাতেই দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যাম্পোস। যদিও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
গ্যাল্টিয়ের বড় কোন দলের দায়িত্ব পালন না করলেও লিলে এবং নাইসের কোচ হিসেবে সফল ছিলেন। সে সাফল্যের উপর ভিত্তি করেই গ্যাল্টিয়েরকে দায়িত্ব দিতে চায় পিএসজি। তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেয়ার আগে অন্তত দুটি কাজ করতে হবে পিএসজিকে। প্রথমত নাইসের সাথে একটি চুক্তি করে ছাড় করাতে হবে গ্যাল্টিয়েরকে এবং মরিসিও পচেত্তিনোকে লিখিতভাবে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। পচেত্তিনোকে লিখিতভাবে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে না।
পিএসজি চেষ্টা করেছিল জিনেদিন জিদানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে। দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। জিদান কাতার পর্যন্ত গিয়েছিলেন আলোচনা করতে। কোচ হিসেবে আবার টাচ লাইনে ফেরার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন জিদান। তখন মনে হয়েছিল জিদানই হতে যাচ্ছেন পিএসজির কোচ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা না এলেও বোঝা যাচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা সফল হয়নি। জিদান চাইছেন ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হতে। সে জন্য অবশ্য তাকে আসন্ন বিশ^কাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাতীয় দলের বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বিশ^কাপেও দলের দায়িত্বে থাকবেন।
জিদান ছাড়াও ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি, মার্সেলো গায়ার্দো এবং অ্যান্টনিও কোন্টের নাম শোনা গিয়েছিল কোচ হিসেবে। কিন্তু কেউই পিএসজির দায়িত্ব নিতে রাজী হননি। জানা গেছেন কোচ হিসেবে তারা যে স্বাধীনতা চান ক্লাব কর্তৃপক্ষ তা দিতে রাজী নয়। তাছাড়া দলের তারকা খেলোয়াড়রা কোচের নির্দেশনা খুব একটা মানেন না। খেলোয়াড়দের মধ্যে সুসম্পর্কও তেমন নেই, আছে গ্রুপিং। তাছাড়া এমবাপ্পের সাথে চুক্তির সময়ে দল গঠনে তার ভুমিকা থাকবে বলেও মেনে নিয়েছে পিএসজির মালিক। ফলে কোচকে মানতে হবে এমবাপ্পের নির্দেশনাও। এমন পরিস্থিতিতে কোচকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে হয়তো দেখা যাবে অনেক তারকাই একাদশ থেকে ছিটকে যাবেন শৃঙ্খলা জনিত কারণে। কিন্তু পিএসজি কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজী নন। এ সব কারণেই ক্লাব ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত কোচরা দলের দায়িত্ব নিতে রাজী হচ্ছেন না। তাই গ্যাল্টিয়েরের মতো খুব স্বল্প পরিচিত কোচের উপরই নির্ভর করতে যাচ্ছে পিএসজি।