শেষটা ভালো হলো না বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। শেষ দিনে তাদেরকে হতাশ করে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন তেজনারাইন চন্দরপল। দারুণ ব্যটিংয়ে কার্যকর ইনিংস উপহার দিলেন আলিক আথানেজ। তাতে শেষটা স্বস্তিতে করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ।’
সেন্ট লুসিয়ায় অনুমিতভাবেই ড্র হলো বাংলাদেশ ‘এ’ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্ট। বৃষ্টির কারণে দুই দলের প্রথম ইনিংসও শেষ হতে পারেনি ম্যাচে।
প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টেও ছিল একই অবস্থা। প্রকৃতির বৈরিতায় সেই ম্যাচেও শেষ হতে পারেনি দুই দলের প্রথম ইনিংস।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ।’
৩৩৭ বলে ১০৯ রান করে আউট না হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারিবিয়ান গ্রেট শিবনারাইন চন্দরপলের ছেলে তেজনারাইন চন্দরপল। ৫০তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান দেখা পান পঞ্চম সেঞ্চুরির।
১২১ বল খেলে ৮২ রান করে আউট হন আথানেজ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এ দিন তিন উইকেট শিকার করেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। আর কোনো বোলার দেখা পাননি সাফল্যের।
২ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে ক্যারিবিয়ানরা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান চন্দরপল ও জশুয়া দা সিলভা দলকে এগিয়ে নেন বেশ কিছুটা। এই জুটিতে আসে ৫০ রান।
জশুয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ফেরেন ১০০ বলে ৩৭ রান করে। টেভিন ইমলাককে নিয়ে পরের জুটিতে চন্দরপল তোলেন ৫৬ রান। ২১ রানে ইমলাককে বিদায় করে এই জুটিও থামান নাঈম।
এরপরই চন্দরপল ও আথানেজের জুটি ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হতাশা। বাংলাদেশের কোনো প্রচেষ্টাই কাজে লাগেনি এই জুটি ভাঙায়।
আগের দিন দুই উইকেট শিকার করা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি এ দিন পারেননি আর কোনো উইকেট নিতে। বাংলাদেশ টেস্ট দলের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ছিলেন অধরাবাহিক ও খরুচে। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম আঁটসাঁট বোলিং করলেও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি।
এমনকি অনিয়মিত স্পিনার অধিনায়ক মিঠুনও হাত ঘোরান ১২ ওভার।
মিঠুনের বল লেগ সাইডে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে চন্দরপল তার সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৩০৫ বলে। একটু পর তিনি মাট ছেড়ে যান ৬ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট উইকেটে কাটিয়ে।
সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আথানেজও। তবে নাঈমের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলির গ্লাভসবন্দি হন তিনি ৮২ রান করে। ম্যাচের ইতিও টানা হয় সেখানেই।
দুই দল এখন মুখোমুখি হবে তিনটি একদিনের ম্যাচে। সেন্ট লুসিয়াতেই ম্যাচ তিনটি হবে আগামী মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ১ম ইনিংস: ১২৬.৪ ওভারে ৩০০/৯ (ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ ১ম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ২৭৭/৫ (আগের দিন ৪৩/২) (তেজনারাইন ১০৯ (অবসর), সলোজানো ১০, কার্টি ০, জশুয়া ৩৭, ইমলাক ২১, আথানেজ ৮২, কারাইয়াহ ১৩*; খালেদ ১৭-১-৭২-০, মৃত্যুঞ্জয় ১৪-২-৩৮-২, নাঈম ৪২.১-১৫-৬৯-৩, তানভির ২৯-৯-৫২-০, জয় ১-০-৬-০, মিঠুন ১২-১-৩৫-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ০-০ ড্র।
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাইফ হাসান।
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
শেষটা ভালো হলো না বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। শেষ দিনে তাদেরকে হতাশ করে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন তেজনারাইন চন্দরপল। দারুণ ব্যটিংয়ে কার্যকর ইনিংস উপহার দিলেন আলিক আথানেজ। তাতে শেষটা স্বস্তিতে করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ।’
সেন্ট লুসিয়ায় অনুমিতভাবেই ড্র হলো বাংলাদেশ ‘এ’ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্ট। বৃষ্টির কারণে দুই দলের প্রথম ইনিংসও শেষ হতে পারেনি ম্যাচে।
প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টেও ছিল একই অবস্থা। প্রকৃতির বৈরিতায় সেই ম্যাচেও শেষ হতে পারেনি দুই দলের প্রথম ইনিংস।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ।’
৩৩৭ বলে ১০৯ রান করে আউট না হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারিবিয়ান গ্রেট শিবনারাইন চন্দরপলের ছেলে তেজনারাইন চন্দরপল। ৫০তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান দেখা পান পঞ্চম সেঞ্চুরির।
১২১ বল খেলে ৮২ রান করে আউট হন আথানেজ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এ দিন তিন উইকেট শিকার করেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। আর কোনো বোলার দেখা পাননি সাফল্যের।
২ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে ক্যারিবিয়ানরা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান চন্দরপল ও জশুয়া দা সিলভা দলকে এগিয়ে নেন বেশ কিছুটা। এই জুটিতে আসে ৫০ রান।
জশুয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ফেরেন ১০০ বলে ৩৭ রান করে। টেভিন ইমলাককে নিয়ে পরের জুটিতে চন্দরপল তোলেন ৫৬ রান। ২১ রানে ইমলাককে বিদায় করে এই জুটিও থামান নাঈম।
এরপরই চন্দরপল ও আথানেজের জুটি ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হতাশা। বাংলাদেশের কোনো প্রচেষ্টাই কাজে লাগেনি এই জুটি ভাঙায়।
আগের দিন দুই উইকেট শিকার করা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি এ দিন পারেননি আর কোনো উইকেট নিতে। বাংলাদেশ টেস্ট দলের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ছিলেন অধরাবাহিক ও খরুচে। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম আঁটসাঁট বোলিং করলেও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি।
এমনকি অনিয়মিত স্পিনার অধিনায়ক মিঠুনও হাত ঘোরান ১২ ওভার।
মিঠুনের বল লেগ সাইডে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে চন্দরপল তার সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৩০৫ বলে। একটু পর তিনি মাট ছেড়ে যান ৬ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট উইকেটে কাটিয়ে।
সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আথানেজও। তবে নাঈমের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলির গ্লাভসবন্দি হন তিনি ৮২ রান করে। ম্যাচের ইতিও টানা হয় সেখানেই।
দুই দল এখন মুখোমুখি হবে তিনটি একদিনের ম্যাচে। সেন্ট লুসিয়াতেই ম্যাচ তিনটি হবে আগামী মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ১ম ইনিংস: ১২৬.৪ ওভারে ৩০০/৯ (ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ ১ম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ২৭৭/৫ (আগের দিন ৪৩/২) (তেজনারাইন ১০৯ (অবসর), সলোজানো ১০, কার্টি ০, জশুয়া ৩৭, ইমলাক ২১, আথানেজ ৮২, কারাইয়াহ ১৩*; খালেদ ১৭-১-৭২-০, মৃত্যুঞ্জয় ১৪-২-৩৮-২, নাঈম ৪২.১-১৫-৬৯-৩, তানভির ২৯-৯-৫২-০, জয় ১-০-৬-০, মিঠুন ১২-১-৩৫-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ০-০ ড্র।
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাইফ হাসান।