ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পরাজয়ের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হেরেছে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। প্রতিপক্ষের মাঠে এ নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে পরাজিত হলো ম্যানইউ। এ ম্যাচের প্রথমার্ধে ম্যানইউর রক্ষণভাগ এতটাই খারাপ খেলেছে যে ৩৯ মিনিটের মধ্যেই তারা চারটি গোল হজম করে। ম্যানইউ লিগের প্রথম ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে।
ম্যানইউ প্রথম গোলটি খায় ১০ মিনিটে গোলরক্ষক ডেভিড ডি হিয়ার শিশুসুলভ ভুলে। জস ডা সিলভার খুবই সাধারণ একটি শট ডি হিয়ার হাত ফসকে জালে যায়। এর আট মিনিট পর আবারো গোল খায় ম্যানইউ এবং এবারো সেই গোলরক্ষকের ভুলে। ডি গিয়া কিছুটা দূরে থাকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে বল দেন, কিন্তু সেটি ধরে নেন ম্যাথিয়াস জেনসেন এবং খুব সহজেই ব্যবধান করেন ২-০। কর্নার কিক থেকে গোলমুখে সৃষ্ঠ জটলার মধ্য থেকে বেন মি হেডে করেন তৃতীয় গোল। ব্রেন্টফোর্ট চতুর্থ গোলটি করে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। নিজেদের পেনাল্টি বক্স থেকে ইভান টনি লম্বা পাস দেন মাঝ মাঠে। সেটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ব্রায়ান এমবিউমো ম্যানইউর পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন।
বিরতির পরে কোচ মাঠে নামান রাফায়েল ভারানে, টাইরেল মালাসিয়া এবং স্কট ম্যাকটমিনিকে। এতে খেলায় কিছুটা উন্নতি ঘটলেও পরাজয় এড়ানোর মতো কোন পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করতে পারেনি।
ম্যানইউ ১৯৬৯ সালের পর এই প্রথম লিগের প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে ছয়টি গোল হজম করলো। এছাড়া ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই হারলো তারা। ম্যানইউর তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো প্রথম একাদশেই ছিলেন। কিন্তু তিনি তেমন কিছু করতে পারেননি। মুলত রক্ষণভাগের অমার্জনীয় ব্যর্থতায় চার গোল খাওয়ার পর আর ম্যানইউর খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াইয়ে মানসিকতা ছিল না।
দলের পরাজয়ের জন্য নিজের দায় স্বীকার করেছেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি হিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রথম গোলটি আমার প্রতিহত করা উচিত ছিল। সে গোলটি না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। অনেক দল একটি গোল খেয়ে ৫টি গোল করতে পারছে। কিন্তু আমরা তা পারছি না। আমরা খুবই খারাপ খেলেছি।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পরাজয়ের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হেরেছে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। প্রতিপক্ষের মাঠে এ নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে পরাজিত হলো ম্যানইউ। এ ম্যাচের প্রথমার্ধে ম্যানইউর রক্ষণভাগ এতটাই খারাপ খেলেছে যে ৩৯ মিনিটের মধ্যেই তারা চারটি গোল হজম করে। ম্যানইউ লিগের প্রথম ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে।
ম্যানইউ প্রথম গোলটি খায় ১০ মিনিটে গোলরক্ষক ডেভিড ডি হিয়ার শিশুসুলভ ভুলে। জস ডা সিলভার খুবই সাধারণ একটি শট ডি হিয়ার হাত ফসকে জালে যায়। এর আট মিনিট পর আবারো গোল খায় ম্যানইউ এবং এবারো সেই গোলরক্ষকের ভুলে। ডি গিয়া কিছুটা দূরে থাকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে বল দেন, কিন্তু সেটি ধরে নেন ম্যাথিয়াস জেনসেন এবং খুব সহজেই ব্যবধান করেন ২-০। কর্নার কিক থেকে গোলমুখে সৃষ্ঠ জটলার মধ্য থেকে বেন মি হেডে করেন তৃতীয় গোল। ব্রেন্টফোর্ট চতুর্থ গোলটি করে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। নিজেদের পেনাল্টি বক্স থেকে ইভান টনি লম্বা পাস দেন মাঝ মাঠে। সেটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ব্রায়ান এমবিউমো ম্যানইউর পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন।
বিরতির পরে কোচ মাঠে নামান রাফায়েল ভারানে, টাইরেল মালাসিয়া এবং স্কট ম্যাকটমিনিকে। এতে খেলায় কিছুটা উন্নতি ঘটলেও পরাজয় এড়ানোর মতো কোন পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করতে পারেনি।
ম্যানইউ ১৯৬৯ সালের পর এই প্রথম লিগের প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে ছয়টি গোল হজম করলো। এছাড়া ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই হারলো তারা। ম্যানইউর তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো প্রথম একাদশেই ছিলেন। কিন্তু তিনি তেমন কিছু করতে পারেননি। মুলত রক্ষণভাগের অমার্জনীয় ব্যর্থতায় চার গোল খাওয়ার পর আর ম্যানইউর খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াইয়ে মানসিকতা ছিল না।
দলের পরাজয়ের জন্য নিজের দায় স্বীকার করেছেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি হিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রথম গোলটি আমার প্রতিহত করা উচিত ছিল। সে গোলটি না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। অনেক দল একটি গোল খেয়ে ৫টি গোল করতে পারছে। কিন্তু আমরা তা পারছি না। আমরা খুবই খারাপ খেলেছি।’