বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী তিন আসরের জন্য চূড়ান্ত হয়ে গেছে ৭ ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার নির্ধারিত হলো দেশি- বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ মূল্যমান জানিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ তথ্য জানান।
গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, আগামী ২ সপ্তাহ সময় দেয়া হবে সুযোগ পাওয়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে, এর মধ্যে গ্যারান্টি মানি (প্রায় ১০ কোটি) জমা দিয়ে নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিশ্চিত করতে হবে। তবে পুরনো ও পরীক্ষিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ক্ষেত্রে সময়সীমা একটু ‘রিল্যাক্সড’ থাকবে বলেও জানান গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব।
আসন্ন আসরে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির দেশি ক্রিকেটার পারিশ্রমিক পাবেন ৮০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা।
আসন্ন বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের সাতটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ‘এ’ আর সর্বনিম্ন ক্যাটাগরি ‘জি’। নতুন নির্ধারিত মূল্যমান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির দেশি ক্রিকেটার পাবেন ৮০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ইউএস ডলার।
বাস্তবতা বুঝেই নিবন্ধনের নিয়মে পরিবর্তন আনছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ড্রাফটের বাইরে স্রেফ একজনের সঙ্গেই সরাসরি চুক্তি করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
তবে ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, বিদেশিদের ক্ষেত্রে কোনোরকম বাধ্যবাধকতা তারা রাখছেন না। ‘বিদেশিদের ব্যাপারে… আপনারা জানেন যে সাউথ আফ্রিকান লিগ, ইউএই লিগ এসবে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই দল নিয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ওইদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও বিপিএলটা আগপিছ করতে পারছি না জাতীয় দলের ব্যস্ততার জন্য। বিদেশি খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রশনে বাধ্যবাধকতা রাখব না। উন্মুক্ত রাখব। ধরুন কেউ তিনদিনের জন্য এসে খেলে গেল, তার বদলি আরেকজন আসতে পারে। এরকম চিন্তা-ভাবনা আছে আর কী।’
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিদেশি ক্রিকেটার সাইন করাতে পারবে। তবে একাদশে বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবেন সর্বোচ্চ চারজনই। একাদশে রাখতেই হবে সর্বনিম্ন দুইজন বিদেশি খেলোয়ার।
আগামী আসর ও পরের আরও দুই আসরে বিপিএলকে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে ধারণা গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের। এরপর থেকে চিত্র বদলের আশা তার।
তিনি বলেন, বিদেশি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা কোনো লিমিটেশন রাখতে চাচ্ছি না। আইপিএল ছাড়া অনেক টুর্নামেন্ট এখন ওভারল্যাপ করছে। কাজেই বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়াই এখন কঠিন।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, এই সময়টায় টুর্নামেন্ট কেন করছি অনেকে বলছেন। কিন্তু আসলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কমিটমেন্টগুলো যেরকমভাবে আছে, এটা পেছানো সম্ভব নয়। পরের বছর ও তার পরের বছরও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাদের হতে হবে। এরপর থেকে আর সমস্যা হবে না, আমরা হয়তো টুর্নামেন্ট একটু এগিয়ে এনে হয়তো আরেকটু ভালো সময়ে করতে পারব।
এবারের বিপিএলের ৭ দল হলো - বরিশালের মালিকানার জন্য মনোনীত হয়েছে ফরচুন বরিশাল স্পোর্টস লিমিটেড, খুলনা দলের জন্য মাইন্ডট্রি লিমিটেড, ঢাকা দলের জন্য প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড, সিলেটের ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, রংপুরের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের টগি স্পোর্টস লিমিটেড, চট্টগ্রামের ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড ও কুমিল্লার জন্য কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড।
বিপিএলে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ভিত্তিমূল্য:
‘এ’ ক্যাটাগরি: ৮০ লাখ (দেশি), ৮০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘বি’ ক্যাটাগরি: ৫০ লাখ (দেশি), ৬০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘সি’ ক্যাটাগরি: ৩০ লাখ (দেশি), ৪০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘ডি’ ক্যাটাগরি: ২০ লাখ (দেশি), ৩০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘ই’ ক্যাটাগরি: ১৫ লাখ (দেশি), ২০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘এফ’ ক্যাটাগরি: ১০ লাখ (দেশি)
‘জি’ ক্যাটাগরি: ০৫ লাখ (দেশি)
সরাসরি চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরাবাধা পারিশ্রমিক নেই। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দলগুলির আলোচনায় সেটা চূড়ান্ত হবে। বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরিই চুক্তি হবে ধরে নিয়ে ‘আইকন’ ক্রিকেটার রাখা হচ্ছে না চলতি বিপিএলে।
২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি পর্দা উঠবে বিপিএলের পরবর্তী আসরের। তিনটি ভেন্যুতে মাঠে গরেয়াবে বিপিএলের আসন্ন আসরের ম্যহাচগুলো। ভেন্যুগুলো হলো, মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সবমিলিয়ে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বিপিএলের দশম আসর শুরু হবে২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াবে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী তিন আসরের জন্য চূড়ান্ত হয়ে গেছে ৭ ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার নির্ধারিত হলো দেশি- বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ মূল্যমান জানিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ তথ্য জানান।
গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, আগামী ২ সপ্তাহ সময় দেয়া হবে সুযোগ পাওয়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে, এর মধ্যে গ্যারান্টি মানি (প্রায় ১০ কোটি) জমা দিয়ে নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিশ্চিত করতে হবে। তবে পুরনো ও পরীক্ষিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ক্ষেত্রে সময়সীমা একটু ‘রিল্যাক্সড’ থাকবে বলেও জানান গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব।
আসন্ন আসরে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির দেশি ক্রিকেটার পারিশ্রমিক পাবেন ৮০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা।
আসন্ন বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের সাতটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ‘এ’ আর সর্বনিম্ন ক্যাটাগরি ‘জি’। নতুন নির্ধারিত মূল্যমান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির দেশি ক্রিকেটার পাবেন ৮০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ইউএস ডলার।
বাস্তবতা বুঝেই নিবন্ধনের নিয়মে পরিবর্তন আনছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ড্রাফটের বাইরে স্রেফ একজনের সঙ্গেই সরাসরি চুক্তি করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
তবে ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, বিদেশিদের ক্ষেত্রে কোনোরকম বাধ্যবাধকতা তারা রাখছেন না। ‘বিদেশিদের ব্যাপারে… আপনারা জানেন যে সাউথ আফ্রিকান লিগ, ইউএই লিগ এসবে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই দল নিয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ওইদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও বিপিএলটা আগপিছ করতে পারছি না জাতীয় দলের ব্যস্ততার জন্য। বিদেশি খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রশনে বাধ্যবাধকতা রাখব না। উন্মুক্ত রাখব। ধরুন কেউ তিনদিনের জন্য এসে খেলে গেল, তার বদলি আরেকজন আসতে পারে। এরকম চিন্তা-ভাবনা আছে আর কী।’
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিদেশি ক্রিকেটার সাইন করাতে পারবে। তবে একাদশে বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবেন সর্বোচ্চ চারজনই। একাদশে রাখতেই হবে সর্বনিম্ন দুইজন বিদেশি খেলোয়ার।
আগামী আসর ও পরের আরও দুই আসরে বিপিএলকে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে ধারণা গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের। এরপর থেকে চিত্র বদলের আশা তার।
তিনি বলেন, বিদেশি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা কোনো লিমিটেশন রাখতে চাচ্ছি না। আইপিএল ছাড়া অনেক টুর্নামেন্ট এখন ওভারল্যাপ করছে। কাজেই বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়াই এখন কঠিন।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, এই সময়টায় টুর্নামেন্ট কেন করছি অনেকে বলছেন। কিন্তু আসলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কমিটমেন্টগুলো যেরকমভাবে আছে, এটা পেছানো সম্ভব নয়। পরের বছর ও তার পরের বছরও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাদের হতে হবে। এরপর থেকে আর সমস্যা হবে না, আমরা হয়তো টুর্নামেন্ট একটু এগিয়ে এনে হয়তো আরেকটু ভালো সময়ে করতে পারব।
এবারের বিপিএলের ৭ দল হলো - বরিশালের মালিকানার জন্য মনোনীত হয়েছে ফরচুন বরিশাল স্পোর্টস লিমিটেড, খুলনা দলের জন্য মাইন্ডট্রি লিমিটেড, ঢাকা দলের জন্য প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড, সিলেটের ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, রংপুরের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের টগি স্পোর্টস লিমিটেড, চট্টগ্রামের ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড ও কুমিল্লার জন্য কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড।
বিপিএলে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ভিত্তিমূল্য:
‘এ’ ক্যাটাগরি: ৮০ লাখ (দেশি), ৮০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘বি’ ক্যাটাগরি: ৫০ লাখ (দেশি), ৬০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘সি’ ক্যাটাগরি: ৩০ লাখ (দেশি), ৪০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘ডি’ ক্যাটাগরি: ২০ লাখ (দেশি), ৩০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘ই’ ক্যাটাগরি: ১৫ লাখ (দেশি), ২০ হাজার ডলার (বিদেশি)
‘এফ’ ক্যাটাগরি: ১০ লাখ (দেশি)
‘জি’ ক্যাটাগরি: ০৫ লাখ (দেশি)
সরাসরি চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরাবাধা পারিশ্রমিক নেই। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দলগুলির আলোচনায় সেটা চূড়ান্ত হবে। বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরিই চুক্তি হবে ধরে নিয়ে ‘আইকন’ ক্রিকেটার রাখা হচ্ছে না চলতি বিপিএলে।
২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি পর্দা উঠবে বিপিএলের পরবর্তী আসরের। তিনটি ভেন্যুতে মাঠে গরেয়াবে বিপিএলের আসন্ন আসরের ম্যহাচগুলো। ভেন্যুগুলো হলো, মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সবমিলিয়ে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বিপিএলের দশম আসর শুরু হবে২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াবে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি।