ছবি: সংগৃহীত
টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে ভালোভাবেই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দল। সিডনির সেই ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে আগামীকাল (৩০ অক্টোবর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কি পারবে জয় তুলে নিতে বাংলাদেশ দল?
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ব্রিসবেনের গ্যাব্বা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম বলেন, ‘আমার মনে হয় মনোবল খুব ভালো। গত ম্যাচে সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যিই ভালো খেলেছে। তারা খুব শক্তিশালী দল। তিন নম্বরে থাকা রুশো অসাধারণ খেলেছেন। ডি ককও ভালো খেলেছেন। তাদের এ রকম ইনিংস থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই ভালো মনোবল নিয়ে বাংলাদেশ দল আজ নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে।’
শ্রীরাম মনে করেন মনোবল ঠিক থাকাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিততে পারলে তা আসরের বাকি দুইটি ম্যাচেও ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ আছে দুইয়ে। কিন্তু শ্রীরাম পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকাচ্ছেন না। খুব বেশি সামনের কথা ভাবতে চান না। একটি একটি করে ম্যাচ ধরে এগুতে চান।
শ্রীরাম বলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়ে ভাবছি না। আমরা পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকাচ্ছি না। আমাদের স্থির থাকতে হবে। নিজেদের পরিকল্পনা সমন্ধে ধারণা থাকতে হবে পরিষ্কার। ম্যাচের দিন শুধু ম্যাচ নিয়েই ভাববো। আসরে খেলতে আবেগকে প্রশয় দিয়ে পারবেন না। একটি দিন বাজে যেতেই পারে। তারপরও কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে হয়। আমরা বড় ব্যবধানে জয়ী-পরাজিত হই, খেলা শেষে কিন্তু এর কোন মূল্য নেই। কারণ পরের আবার নতুন করে অনুশীলন করতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। তাই আমরা আগের ম্যাচের বড় হার নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। সব আগের মতোই আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরামকে ওপেনিং নিয়ে প্রশ্নের। জবাবে বলেন, ‘এখনও ওপেনিং নিয়ে পড়ে আছেন, হ্যাঁ? আমার মনে হয় এটা ভালোই। আমরা প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান পেয়েছিলাম, দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলতে পেরেছিলাম, ওপেনিং জুটিটাকে বেশ জমে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।’
তবে দুই জনেরই যে শেখার আছে অনেক কিছু, সেটা গোপন করেননি শ্রীরাম। বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের আরও সময় দিলে, আরও অভিজ্ঞতা হলে, তারা অনেক বেশি ম্যাচ একসঙ্গে খেললে, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে আলাদা আলাদা প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলে তারা আরও বেশি শিখবে।’
শ্রীরামের প্রথম সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই দেশের ক্রিকেটে আলোচিত শব্দ ‘ইমপ্যাক্ট’। সৌম্য-শান্তর ব্যাটে কি সেই ইমপ্যাক্টের দেখা মিলছে বা মিলবে? বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট বলছেন, ‘এদের যে-ই ছন্দে চলে আসুক, বড় ইনিংস খেলার, যে ইমপ্যাক্টের কথা বলেছি, সে ইমপ্যাক্টটা ফেলার সক্ষমতা তার আছে। আমি মনে করি সৌম্য ও শান্তর এখন শেখার প্রক্রিয়া চলছে, আমি মনে করি তারা এটা চালিয়ে যেতে পারবে।’
অবশ্য ২০ ওভারের ক্রিকেটে এতোসব হিসাব আর অতীত পরিসংখ্যান কাজে আসে না। তারপরও একটা তথ্য কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে সাকিবদের। এর আগে সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯টা টি-২০ খেলেছে বাংলাদেশ। যার ১২টিতেই জিতেছে দল। আজ ব্রিসবেনের গ্যাবায় ১৩ নম্বর জয়টা এলে বিশ্বকাপের শেষ চারের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখবে বাংলাদেশ।
গ্যাব্বায় এখন পর্যন্ত টি-২০ ম্যাচ হয়েছে ৬টি। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ২০০৬ সালে এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। জিতেছিল ৯৫ রানে। সেই ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩ উইকেটে ২০৩ রান। আবার একই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মাত্র ১১৪ রানও সর্বনিম্ন। এই মাঠে আজ বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলবে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছিল।
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে ভালোভাবেই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দল। সিডনির সেই ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে আগামীকাল (৩০ অক্টোবর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কি পারবে জয় তুলে নিতে বাংলাদেশ দল?
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ব্রিসবেনের গ্যাব্বা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম বলেন, ‘আমার মনে হয় মনোবল খুব ভালো। গত ম্যাচে সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যিই ভালো খেলেছে। তারা খুব শক্তিশালী দল। তিন নম্বরে থাকা রুশো অসাধারণ খেলেছেন। ডি ককও ভালো খেলেছেন। তাদের এ রকম ইনিংস থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই ভালো মনোবল নিয়ে বাংলাদেশ দল আজ নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে।’
শ্রীরাম মনে করেন মনোবল ঠিক থাকাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিততে পারলে তা আসরের বাকি দুইটি ম্যাচেও ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ আছে দুইয়ে। কিন্তু শ্রীরাম পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকাচ্ছেন না। খুব বেশি সামনের কথা ভাবতে চান না। একটি একটি করে ম্যাচ ধরে এগুতে চান।
শ্রীরাম বলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়ে ভাবছি না। আমরা পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকাচ্ছি না। আমাদের স্থির থাকতে হবে। নিজেদের পরিকল্পনা সমন্ধে ধারণা থাকতে হবে পরিষ্কার। ম্যাচের দিন শুধু ম্যাচ নিয়েই ভাববো। আসরে খেলতে আবেগকে প্রশয় দিয়ে পারবেন না। একটি দিন বাজে যেতেই পারে। তারপরও কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে হয়। আমরা বড় ব্যবধানে জয়ী-পরাজিত হই, খেলা শেষে কিন্তু এর কোন মূল্য নেই। কারণ পরের আবার নতুন করে অনুশীলন করতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। তাই আমরা আগের ম্যাচের বড় হার নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। সব আগের মতোই আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরামকে ওপেনিং নিয়ে প্রশ্নের। জবাবে বলেন, ‘এখনও ওপেনিং নিয়ে পড়ে আছেন, হ্যাঁ? আমার মনে হয় এটা ভালোই। আমরা প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান পেয়েছিলাম, দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলতে পেরেছিলাম, ওপেনিং জুটিটাকে বেশ জমে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।’
তবে দুই জনেরই যে শেখার আছে অনেক কিছু, সেটা গোপন করেননি শ্রীরাম। বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের আরও সময় দিলে, আরও অভিজ্ঞতা হলে, তারা অনেক বেশি ম্যাচ একসঙ্গে খেললে, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে আলাদা আলাদা প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলে তারা আরও বেশি শিখবে।’
শ্রীরামের প্রথম সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই দেশের ক্রিকেটে আলোচিত শব্দ ‘ইমপ্যাক্ট’। সৌম্য-শান্তর ব্যাটে কি সেই ইমপ্যাক্টের দেখা মিলছে বা মিলবে? বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট বলছেন, ‘এদের যে-ই ছন্দে চলে আসুক, বড় ইনিংস খেলার, যে ইমপ্যাক্টের কথা বলেছি, সে ইমপ্যাক্টটা ফেলার সক্ষমতা তার আছে। আমি মনে করি সৌম্য ও শান্তর এখন শেখার প্রক্রিয়া চলছে, আমি মনে করি তারা এটা চালিয়ে যেতে পারবে।’
অবশ্য ২০ ওভারের ক্রিকেটে এতোসব হিসাব আর অতীত পরিসংখ্যান কাজে আসে না। তারপরও একটা তথ্য কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে সাকিবদের। এর আগে সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯টা টি-২০ খেলেছে বাংলাদেশ। যার ১২টিতেই জিতেছে দল। আজ ব্রিসবেনের গ্যাবায় ১৩ নম্বর জয়টা এলে বিশ্বকাপের শেষ চারের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখবে বাংলাদেশ।
গ্যাব্বায় এখন পর্যন্ত টি-২০ ম্যাচ হয়েছে ৬টি। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ২০০৬ সালে এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। জিতেছিল ৯৫ রানে। সেই ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩ উইকেটে ২০৩ রান। আবার একই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মাত্র ১১৪ রানও সর্বনিম্ন। এই মাঠে আজ বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলবে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছিল।