alt

খেলা

নাঈমের সেঞ্চুরি, ফজলে রাব্বির ১০ রানের আক্ষেপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দশম আসরের ওয়ানডে সংস্করণে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন নাঈম ইসলাম। স্রেফ ১০ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তবে দুজনই নিজ নিজ দলের হয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছেন।

পরপর দুই জয়ে ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে নাঈমের দক্ষিণাঞ্চলের। দারুণ জয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে উত্তরাঞ্চল।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মধ্যাঞ্চলকে ২৬ রানে হারিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। আগে ব্যাট করে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৮২ রান। জবাবে ৯ উইকেটে ২৫৬ রানে থামে মধ্যাঞ্চলের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই এনামুল হক বিজয় ও জাকির হাসানের উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। ধাক্কা সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৯৯ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও নাঈম ইসলাম। ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৮১ বলে ৬৩ রান করে আউট হন নাঈম শেখ।

এরপর নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান নাঈম ইসলাম। দুজন মিলে ২২.৫ ওভারে গড়েন ১৪০ রানের জুটি। লিস্ট এ ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরিতে ১০২ রান করেন নাঈম ইসলাম। তার ১০৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ১টি ছয়।

শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৯ চারে ৭৫ রান করেন নাসির।

মধ্যাঞ্চলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন রবিউল হক।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান সৌম্য সরকার। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণির সামনে বেশি কিছু করতে পারেননি আব্দুল মজিদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুনরা। ৬০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মধ্যাঞ্চল।

পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নাসির ভাঙেন এই জুটি। স্টাম্পিং হওয়ার আগে ২৯ রান করেন মুমিনুল। ফিফটি করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি মোসাদ্দেক। ৫১ রান করে আউট হন তিনি।

নাহিদুল ইসলাম ৫ রান করে ফিরলে ১৬৭ রানে ৭ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল। এরপর শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে স্রেফ পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পেরেছেন জাকের আলি অনিক। ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৮ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তাইজুল ইসলাম অপরাজিত থাকেন ৩৩ রান করে।

মেহেদি হাসান মিরাজ ১০ ওভারে স্রেফ ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট। নাসির ও শরিফুল ইসলামের শিকার ২টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল: ৫০ ওভারে ২৮২/৫ (এনামুল ১, নাঈম শেখ ৬৩, জাকির ০, নাঈম ইসলাম ১০২, নাসির ৭৫, তৌহিদ ১৩*, জিয়াউর ৩*; রবিউল ১০-১-৪৩-৩, হাসান ১০-০-৪৪-০, সৌম্য ৭-০-৫৫-০, নাহিদুল ৩-০-১৯-০, তাইজুল ১০-০-৭১-০, মোসাদ্দেক ১০-০৩৬-১)

বিসিবি মধ্যাঞ্চল: ৫০ ওভারে ২৫৬/৯ (মজিদ ১৬, সৌম্য ০, শান্ত ২৩, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ৮, মোসাদ্দেক ৫১, জাকের ৫৩, নাহিদুল ৫, রবিউল ১৭, তাইজুল ৩৩*, হাসান ১*; শরিফুল ১০-০-৬০-২, তানজিম ৯-০-৭২-১, মিরাজ ১০-১-৩০-৩, নাসুম ১০-০-৩৯-১, জিয়াউর ৬-০-৩৫-০, নাসির ৫-০-১৯-২)

ফল: বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ২৬ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: নাঈম ইসলাম

ফজলে রাব্বির ৯০, শামীমের ৩ উইকেট

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তারকাখচিত ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে ৬১ রানে হারিয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২১৬ রান করে তারা। বিপরীতে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় পূর্বাঞ্চল।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের কাছে হেরেছিল উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে মধ্যাঞ্চলকে হারায় পূর্বাঞ্চল। এখন দুই দলেরই জয় ১টি করে। শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে পারলে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলেরই।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান উত্তরাঞ্চলের প্রথম ৩ ব্যাটসম্যান। দলীয় ৫০ হওয়ার আগে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।

শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে রয়েসয়ে খেলেন ফজলে রাব্বি ও আকবর আলি। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৭৫ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। যেখানে আকবরের অবদান ৩৭ বলে ১৩ রান। শামীম হোসেন পারেননি বড় কিছু করতে। একশ পেরোতেই ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় উত্তরাঞ্চল।

সপ্তম উইকেট জুটিতে দলকে লড়াই করার সংগ্রহ এনে দেন ফজলে রাব্বি ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন সাইফ। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি রাব্বির। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৯০ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের শেষ ৫ বলে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২১৬ রানে পৌঁছে দেন রকিবুল হাসান।

বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আশিকুর জামান, শেখ মেহেদি হাসান ও রেজাউর রহমান রাজা।

রান তাড়া করতে নেমে পূর্বাঞ্চলের ইনিংসের শুরুতেই দেখা দেয় আম্পায়ারিং বিতর্ক। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রিপন মণ্ডলের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি তামিম ইকবালের ব্যাটের খুব কাছ দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক আকবরের গ্লাভসে। ফিল্ডিং দলের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার আলি আরমান রাজন।

সঙ্গে সঙ্গে বিস্মিত অভিব্যক্তি দেন তামিম। খানিক রাগানিত্ব স্বরে আম্পায়ারকে এ বিষয়ে প্রশ্নও করেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। আরেক আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলের মধ্যস্থতায় মাঠ ছেড়ে যান তামিম। ড্রেসিংরুমে ফিরে ম্যাচ রেফারি শওকতুর রহমান চিনুর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

শুরুতেই তামিমকে হারানোর পর ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমও সাজঘরে ফেরেন অল্পে। মুখোমুখি ১৭তম বলে প্রথম রান নেওয়ার এক বল পরই বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে স্রেফ ১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় পূর্বাঞ্চল।

অভিজ্ঞদের ব্যর্থতার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রাখেন মাহমুদুল হাসান জয়। পাঁচ নম্বরে নেমে আফিফ হোসেন শুরুটা করেন আশা জাগানিয়া। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ২৬ রান করে ফেরেন তিনি।

এরপর ৫৬ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল জয় ও ইয়াসির আলি চৌধুরী। সংগ্রামী ইনিংসে ১০০ বলে ৪৭ রান করে আউট হন মাহমুদুল জয়। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৪১ রান। ১৫ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় মুশফিকের দল।

বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শামীম। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং। এছাড়া রিপন মন্ডল ও শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বিসিবি উত্তরাঞ্চল: ৫০ ওভারে ২১৬/৮ (তানজিদ ১৮, লিটন ৪, শাহাদাত ১, ফজলে রাব্বি ৯০, মাহমুদউল্লাহ ৯, আকবর ১৩, শামীম ৫, সাইফ ৪৪, রিপন ১, রকিবুল ১৮*; আশিকুর ১০-১-৪৯-২, শেখ মেহেদি ১০-১-২৭-২, রাজা ১০-১-৪০-২, ইবাদত ১০-০-৪৪-১, তানভির ৩-০-১২-০, আফিফ ৭-০-৩৯-১)

ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল: ৪৪.৩ ওভারে ১৫৫ (তামিম ৭, মাহমুদুল ৪৭, ইমরুল ০, মুশফিক ১, আফিফ ২৬, ইয়াসির ৪১, শেখ মেহেদি ১৭, আশিকুর ২, রাজা ৩, তানভির ৬, ইবাদত ০*; সাইফ ৯-১-২৬-১, রিপন ৮-৪-১৮-২, শফিকুল ৮-০-৩২-২, রকিবুল ১০-১-৩১-১, মাহমুদউল্লাহ ৪-০-২২-০, শামীম ৫.৩-০-২৫-৩)

ফল: বিসিবি উত্তরাঞ্চল ৬১ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফজলে মাহমুদ রাব্বি

ছবি

হ্যাটট্রিক শিরোপার আরও কাছে পিএসজি

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে দল

ছবি

পাক-কিউই চতুর্থ টি-২০ আজ সিরিজে এগিয়ে যাওয়া লক্ষ্য উভয় দলের

ছবি

বিশ্বকাপের টফিতে ক্রিকেট উত্তাপ

ছবি

মেজর লীগে যাচ্ছেন ফরাসি তারকা জিরুদ

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

নিজের বিশ্রাম নিয়ে যা বলছেন শরিফুল

ছবি

বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

রিজওয়ানের রেকর্ডের দিনে কিউইদের অনায়াসে হারাল পাকিস্তান

ছবি

মেসিময় ম্যাচে জয় পেল মায়ামি

ছবি

ইউক্রেন-ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিতে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

আগামীকাল ফিটনেস পরীক্ষা, থাকছেন কি সাকিব?

ছবি

আর্সেনালকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন

ছবি

ম্যান সিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

হারের পর আরও বড় দুঃসংবাদ বার্সেলোনার জন্য

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

বোর্ডের ভুলে বড় ইনজুরিতে পাকিস্তানের পেসার

ছবি

অবিশ্বাস্য ক্যাচে কত টাকার পুরস্কার পেলেন মুস্তাফিজ

ছবি

ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস, শুরুতেই বড় পতনে শেয়ারবাজার

ছবি

ঈদের ছুটি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন শান্ত-তামিমরা

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

লিভারপুলের বড় হার, এই দলকে ক্লপও চেনেন না

ছবি

লিভারপুলের বড় হারের পর ক্লপ বললেন, ‘ওহ মাই গড, সত্যিই বাজে খেলেছি’

ছবি

লেভারকুজেনের স্বপ্ন যাত্রা, ছুঁয়ে ফেললো ইউভেন্তুসকে

ছবি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

৫ গোলের থ্রিলারে ঘুরে দাঁড়িয়ে পিএসজিকে হারিয়ে দিল বার্সা

tab

খেলা

নাঈমের সেঞ্চুরি, ফজলে রাব্বির ১০ রানের আক্ষেপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দশম আসরের ওয়ানডে সংস্করণে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন নাঈম ইসলাম। স্রেফ ১০ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তবে দুজনই নিজ নিজ দলের হয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছেন।

পরপর দুই জয়ে ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে নাঈমের দক্ষিণাঞ্চলের। দারুণ জয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে উত্তরাঞ্চল।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মধ্যাঞ্চলকে ২৬ রানে হারিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। আগে ব্যাট করে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৮২ রান। জবাবে ৯ উইকেটে ২৫৬ রানে থামে মধ্যাঞ্চলের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই এনামুল হক বিজয় ও জাকির হাসানের উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। ধাক্কা সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৯৯ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও নাঈম ইসলাম। ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৮১ বলে ৬৩ রান করে আউট হন নাঈম শেখ।

এরপর নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান নাঈম ইসলাম। দুজন মিলে ২২.৫ ওভারে গড়েন ১৪০ রানের জুটি। লিস্ট এ ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরিতে ১০২ রান করেন নাঈম ইসলাম। তার ১০৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ১টি ছয়।

শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৯ চারে ৭৫ রান করেন নাসির।

মধ্যাঞ্চলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন রবিউল হক।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান সৌম্য সরকার। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণির সামনে বেশি কিছু করতে পারেননি আব্দুল মজিদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুনরা। ৬০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মধ্যাঞ্চল।

পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নাসির ভাঙেন এই জুটি। স্টাম্পিং হওয়ার আগে ২৯ রান করেন মুমিনুল। ফিফটি করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি মোসাদ্দেক। ৫১ রান করে আউট হন তিনি।

নাহিদুল ইসলাম ৫ রান করে ফিরলে ১৬৭ রানে ৭ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল। এরপর শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে স্রেফ পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পেরেছেন জাকের আলি অনিক। ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৮ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তাইজুল ইসলাম অপরাজিত থাকেন ৩৩ রান করে।

মেহেদি হাসান মিরাজ ১০ ওভারে স্রেফ ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট। নাসির ও শরিফুল ইসলামের শিকার ২টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল: ৫০ ওভারে ২৮২/৫ (এনামুল ১, নাঈম শেখ ৬৩, জাকির ০, নাঈম ইসলাম ১০২, নাসির ৭৫, তৌহিদ ১৩*, জিয়াউর ৩*; রবিউল ১০-১-৪৩-৩, হাসান ১০-০-৪৪-০, সৌম্য ৭-০-৫৫-০, নাহিদুল ৩-০-১৯-০, তাইজুল ১০-০-৭১-০, মোসাদ্দেক ১০-০৩৬-১)

বিসিবি মধ্যাঞ্চল: ৫০ ওভারে ২৫৬/৯ (মজিদ ১৬, সৌম্য ০, শান্ত ২৩, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ৮, মোসাদ্দেক ৫১, জাকের ৫৩, নাহিদুল ৫, রবিউল ১৭, তাইজুল ৩৩*, হাসান ১*; শরিফুল ১০-০-৬০-২, তানজিম ৯-০-৭২-১, মিরাজ ১০-১-৩০-৩, নাসুম ১০-০-৩৯-১, জিয়াউর ৬-০-৩৫-০, নাসির ৫-০-১৯-২)

ফল: বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ২৬ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: নাঈম ইসলাম

ফজলে রাব্বির ৯০, শামীমের ৩ উইকেট

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তারকাখচিত ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে ৬১ রানে হারিয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২১৬ রান করে তারা। বিপরীতে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় পূর্বাঞ্চল।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের কাছে হেরেছিল উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে মধ্যাঞ্চলকে হারায় পূর্বাঞ্চল। এখন দুই দলেরই জয় ১টি করে। শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে পারলে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলেরই।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান উত্তরাঞ্চলের প্রথম ৩ ব্যাটসম্যান। দলীয় ৫০ হওয়ার আগে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।

শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে রয়েসয়ে খেলেন ফজলে রাব্বি ও আকবর আলি। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৭৫ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। যেখানে আকবরের অবদান ৩৭ বলে ১৩ রান। শামীম হোসেন পারেননি বড় কিছু করতে। একশ পেরোতেই ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় উত্তরাঞ্চল।

সপ্তম উইকেট জুটিতে দলকে লড়াই করার সংগ্রহ এনে দেন ফজলে রাব্বি ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন সাইফ। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি রাব্বির। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৯০ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের শেষ ৫ বলে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২১৬ রানে পৌঁছে দেন রকিবুল হাসান।

বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আশিকুর জামান, শেখ মেহেদি হাসান ও রেজাউর রহমান রাজা।

রান তাড়া করতে নেমে পূর্বাঞ্চলের ইনিংসের শুরুতেই দেখা দেয় আম্পায়ারিং বিতর্ক। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রিপন মণ্ডলের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি তামিম ইকবালের ব্যাটের খুব কাছ দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক আকবরের গ্লাভসে। ফিল্ডিং দলের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার আলি আরমান রাজন।

সঙ্গে সঙ্গে বিস্মিত অভিব্যক্তি দেন তামিম। খানিক রাগানিত্ব স্বরে আম্পায়ারকে এ বিষয়ে প্রশ্নও করেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। আরেক আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলের মধ্যস্থতায় মাঠ ছেড়ে যান তামিম। ড্রেসিংরুমে ফিরে ম্যাচ রেফারি শওকতুর রহমান চিনুর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

শুরুতেই তামিমকে হারানোর পর ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমও সাজঘরে ফেরেন অল্পে। মুখোমুখি ১৭তম বলে প্রথম রান নেওয়ার এক বল পরই বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে স্রেফ ১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় পূর্বাঞ্চল।

অভিজ্ঞদের ব্যর্থতার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রাখেন মাহমুদুল হাসান জয়। পাঁচ নম্বরে নেমে আফিফ হোসেন শুরুটা করেন আশা জাগানিয়া। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ২৬ রান করে ফেরেন তিনি।

এরপর ৫৬ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল জয় ও ইয়াসির আলি চৌধুরী। সংগ্রামী ইনিংসে ১০০ বলে ৪৭ রান করে আউট হন মাহমুদুল জয়। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৪১ রান। ১৫ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় মুশফিকের দল।

বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শামীম। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং। এছাড়া রিপন মন্ডল ও শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বিসিবি উত্তরাঞ্চল: ৫০ ওভারে ২১৬/৮ (তানজিদ ১৮, লিটন ৪, শাহাদাত ১, ফজলে রাব্বি ৯০, মাহমুদউল্লাহ ৯, আকবর ১৩, শামীম ৫, সাইফ ৪৪, রিপন ১, রকিবুল ১৮*; আশিকুর ১০-১-৪৯-২, শেখ মেহেদি ১০-১-২৭-২, রাজা ১০-১-৪০-২, ইবাদত ১০-০-৪৪-১, তানভির ৩-০-১২-০, আফিফ ৭-০-৩৯-১)

ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল: ৪৪.৩ ওভারে ১৫৫ (তামিম ৭, মাহমুদুল ৪৭, ইমরুল ০, মুশফিক ১, আফিফ ২৬, ইয়াসির ৪১, শেখ মেহেদি ১৭, আশিকুর ২, রাজা ৩, তানভির ৬, ইবাদত ০*; সাইফ ৯-১-২৬-১, রিপন ৮-৪-১৮-২, শফিকুল ৮-০-৩২-২, রকিবুল ১০-১-৩১-১, মাহমুদউল্লাহ ৪-০-২২-০, শামীম ৫.৩-০-২৫-৩)

ফল: বিসিবি উত্তরাঞ্চল ৬১ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফজলে মাহমুদ রাব্বি

back to top