কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
ল্যাতিন আমেরিকান ফুটবল পরাশক্তি উরুগুয়েকে রুখে দিয়েছে এশিয়ান দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। বৃহস্পতিবার এইচ গ্রুপের প্রথম মাচে গোল শূন্য ড্র করেছে উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ কোরিয়া। এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার দুটি দেশ অঘটন ঘটিয়েছে। সে দুটি দেশের তুলনায় ফুটবল শক্তিতে এগিয়ে থাকা কোরিয়া প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে না পারলেও একটি পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। উরুগুয়ে দলে ছিলেন ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে খেলা বেশ কয়েকজন ফুটবলার। অপর দিকে কোরিয়ার মাত্র একজন খেলোয়াড় খেলেন ইউরোপে। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতার কারণে এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। কিন্তু কোরিয়ার খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতা তাদেরকে এনে দেয় এক পয়েন্ট। এ গ্রুপটি বেশ কঠিন। গ্রুপে আছে পর্তুগাল এবং ঘানার মতো দল। ফলে পয়েন্ট নষ্ট করায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা উরুগুয়ের জন্য কঠিন হয়ে যেতে পারে।
এশিয়ার দুই দেশ সৌদি আরব এবং জাপানের দারুন দুটি জয়ে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামে সাউথ কোরিয়া। তারা গতিময় ফুটবল দিয়ে উরুগুয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। বল দখলের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে এগিয়ে ছিল উরুগুয়েই। মূলত নুনেজ, ভালভার্দে ও গোডিনের মতো খেলোয়াড় থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়েই জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে উরুগুয়েকে গোল বঞ্চিত করে পোস্ট। কর্নার কিকে দারুন হেড নিয়েছিলেন দিয়েগো গোডিন, কিন্তু সেটি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তার আগে অবশ্য গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল কোরিয়াই। কিম মিন জায়ের দারুন একটি পাস পেনাল্টি বক্সের ভেতরে পেয়েছিলেন না স্যাং হো। কিন্তু তিনি ঠিকমতো বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হলে দারুন একটি সুযোগের অপচয় ঘটে।
প্রথমার্ধে কোরিয়ার খেলায় ছিল আত্মবিশ্বাস তবে তাদের ফিনিশিং মোটেও ভাল ছিল না। তারা উরুগুয়ের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়েছে। এমনকি বল দখলের হিসেবে এগিয়েছিল। তবে তাদের তারকা খেলোয়াড় সন কিম হিউং খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেও কোরিয়ান দল প্রাধান্য স্থাপন করে খেলে। কিন্তু উরুগুয়ের রক্ষণভাগের দৃঢ়তার কাছে গিয়ে তাদের চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হতে থাকে। এর মধ্যে উরুগুয়ের গোলমুখে জটলার মধ্যে একজন খেলোয়াড় পড়ে গেলে পেনাল্টি দাবী তোলে কোরিয়া। কিন্তু রেফারি প্রথমে সেটি নাকচ করে দেন। পরে ভিএআর রেফারির সাথে কথা বলে তার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে নিশ্চিত হন। দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে উরুগুয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে কোরিয়ার উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। ৬৩ মিনিটে বাম দিকে লম্বা পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নুনেজ দারুন গতিতে ঢুকে পড়েছিলেন। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গিয়ে তিনি কাট ব্যাক করলে কোরিয়ান গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রুখে দেন সে চেষ্টা। লুইজ সুয়ারেজ তেমন ভাল করতে না পারায় ৬৫ মিনিটে তাকে তুলে এডিসন কাভানিকে মাঠে নামান উরুগুয়ের কোচ। কাভানি মাঠে নামার পর উরুগুয়ে খেলায় সুষ্পষ্ট প্রাধান্য স্থাপন করে। নিজেদের মধ্যে বল দেয়া নেয়া করে কোরিয়াকে চাপে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত থাকে উরুগুয়ের। এমন পরিস্থিতি কোরিয়ার খেলোয়াড়রা সবাই মিলে রক্ষণ কাজে শামিল হন। খেলার ৭৩ মিনিটে কোরিয়া একত্রে তিনজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। এর ফলে নতুন করে এনার্জি আসে তাদের মধ্যে। তবে তাতে উরুগুয়ের প্রভাব ক্ষুণœ হয়নি। প্রথমার্ধে বল দখলের হিসেবে পিছিয়ে থাকা উরুগুয়ে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে থাকে বল দখলে এবং সুযোগ সৃষ্টিতে। তবে ৯০ মিনিটের মাথায় গোলরক্ষক ভুল পাস দিলে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পান সন, কিন্তু তিনি বাইরে মেরে সেটি নষ্ট করেন। ফলে ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
ল্যাতিন আমেরিকান ফুটবল পরাশক্তি উরুগুয়েকে রুখে দিয়েছে এশিয়ান দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। বৃহস্পতিবার এইচ গ্রুপের প্রথম মাচে গোল শূন্য ড্র করেছে উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ কোরিয়া। এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার দুটি দেশ অঘটন ঘটিয়েছে। সে দুটি দেশের তুলনায় ফুটবল শক্তিতে এগিয়ে থাকা কোরিয়া প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে না পারলেও একটি পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। উরুগুয়ে দলে ছিলেন ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে খেলা বেশ কয়েকজন ফুটবলার। অপর দিকে কোরিয়ার মাত্র একজন খেলোয়াড় খেলেন ইউরোপে। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতার কারণে এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। কিন্তু কোরিয়ার খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতা তাদেরকে এনে দেয় এক পয়েন্ট। এ গ্রুপটি বেশ কঠিন। গ্রুপে আছে পর্তুগাল এবং ঘানার মতো দল। ফলে পয়েন্ট নষ্ট করায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা উরুগুয়ের জন্য কঠিন হয়ে যেতে পারে।
এশিয়ার দুই দেশ সৌদি আরব এবং জাপানের দারুন দুটি জয়ে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামে সাউথ কোরিয়া। তারা গতিময় ফুটবল দিয়ে উরুগুয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। বল দখলের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে এগিয়ে ছিল উরুগুয়েই। মূলত নুনেজ, ভালভার্দে ও গোডিনের মতো খেলোয়াড় থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়েই জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে উরুগুয়েকে গোল বঞ্চিত করে পোস্ট। কর্নার কিকে দারুন হেড নিয়েছিলেন দিয়েগো গোডিন, কিন্তু সেটি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তার আগে অবশ্য গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল কোরিয়াই। কিম মিন জায়ের দারুন একটি পাস পেনাল্টি বক্সের ভেতরে পেয়েছিলেন না স্যাং হো। কিন্তু তিনি ঠিকমতো বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হলে দারুন একটি সুযোগের অপচয় ঘটে।
প্রথমার্ধে কোরিয়ার খেলায় ছিল আত্মবিশ্বাস তবে তাদের ফিনিশিং মোটেও ভাল ছিল না। তারা উরুগুয়ের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়েছে। এমনকি বল দখলের হিসেবে এগিয়েছিল। তবে তাদের তারকা খেলোয়াড় সন কিম হিউং খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেও কোরিয়ান দল প্রাধান্য স্থাপন করে খেলে। কিন্তু উরুগুয়ের রক্ষণভাগের দৃঢ়তার কাছে গিয়ে তাদের চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হতে থাকে। এর মধ্যে উরুগুয়ের গোলমুখে জটলার মধ্যে একজন খেলোয়াড় পড়ে গেলে পেনাল্টি দাবী তোলে কোরিয়া। কিন্তু রেফারি প্রথমে সেটি নাকচ করে দেন। পরে ভিএআর রেফারির সাথে কথা বলে তার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে নিশ্চিত হন। দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে উরুগুয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে কোরিয়ার উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। ৬৩ মিনিটে বাম দিকে লম্বা পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নুনেজ দারুন গতিতে ঢুকে পড়েছিলেন। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গিয়ে তিনি কাট ব্যাক করলে কোরিয়ান গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রুখে দেন সে চেষ্টা। লুইজ সুয়ারেজ তেমন ভাল করতে না পারায় ৬৫ মিনিটে তাকে তুলে এডিসন কাভানিকে মাঠে নামান উরুগুয়ের কোচ। কাভানি মাঠে নামার পর উরুগুয়ে খেলায় সুষ্পষ্ট প্রাধান্য স্থাপন করে। নিজেদের মধ্যে বল দেয়া নেয়া করে কোরিয়াকে চাপে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত থাকে উরুগুয়ের। এমন পরিস্থিতি কোরিয়ার খেলোয়াড়রা সবাই মিলে রক্ষণ কাজে শামিল হন। খেলার ৭৩ মিনিটে কোরিয়া একত্রে তিনজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। এর ফলে নতুন করে এনার্জি আসে তাদের মধ্যে। তবে তাতে উরুগুয়ের প্রভাব ক্ষুণœ হয়নি। প্রথমার্ধে বল দখলের হিসেবে পিছিয়ে থাকা উরুগুয়ে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে থাকে বল দখলে এবং সুযোগ সৃষ্টিতে। তবে ৯০ মিনিটের মাথায় গোলরক্ষক ভুল পাস দিলে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পান সন, কিন্তু তিনি বাইরে মেরে সেটি নষ্ট করেন। ফলে ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।