শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে পর্তুগাল। দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে রাত ৯টায়।
ইতোমধ্যেই পর্তুগাল আগের দুই ম্যাচে জয়ী হয়ে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে সুযোগ আছে জয় দিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ১৬তে যাওয়ার। এজন্য অবশ্য গ্রুপের আরেক ম্যাচে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঘানাকে উরুগুয়ের কাছে হারতে হবে কিংবা ড্র করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় ম্যাচে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিয়েও ঘানার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়।
এই জয়ে পর্তুগালের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘানার সামনে এখন পরের রাউন্ডে যাবার হাতছানি।
এক পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে। কিন্তু এখনও তাদের সামনে নক-আউট পর্বে খেলার সুযোগ রয়েছে। যেকোন মূল্যে পর্তুগালের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করতে হবে। তারা যদি সান্তোসের দলকে পরাজিত করে এবং উরুগুয়ে ঘানাকে হারায় তবে গোল ব্যবধানে যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই পর্তুগালের সঙ্গে পরের রাউন্ডে খেলবে। এশিয়ান জায়ান্টরা ২০১০ সালে সর্বশেষ নক-আউট পর্বে খেলেছিল। শেষ দুইটি আসরেই তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বাড়ি ফিরে আসে। এই মুহুর্তে প্রতিপক্ষের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলার দিকেই বেশ মনোযোগ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ঘানার বিপক্ষে যে ধরনের অল-আউট ফুটবল তারা খেলেছে তাতে পর্তুগালকে বাড়তি সতর্কতা নিতেই হচ্ছে। পর্তুগাল যেহেতু নক-আউট পর্বে চলে গেছে তাই নিয়মরক্ষায় ম্যাচটিতে তাদের মধ্যে কিছুটা নির্লিপ্ততা আসাটাই স্বাভাবিক। যদিও সান্তোস এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে, আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় বেনটোর শিষ্যরা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল তৃতীয় ও ২০০৬ সালে চতুর্থ হয়েছিল। কিন্তু ২০০৬ সালের পর থেকে শেষ ষোল পার করতে পারেনি। শেষ তিনটি বিশ্বকাপের দুটিতেই গ্রুপ পর্বে তাদের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবারের আসরের আগে পর্তুগাল ফেবারিট হিসেবে কাতারে খেলতে আসেনি। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে এখন তারা শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে।
অনুশীলনে অনুপস্থিত রোনালদো
এখনও পর্যন্ত যে কয়টা দল কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের ওজন অনুযায়ী পারফর্ম করতে পেরেছে, তাদের মধ্যে পর্তুগাল একটি। প্রথম দুই ম্যাচের দুইটিতেই সহজ জয় দিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের নক-আউটে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। পর্তুগাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নামবে। তার আগে গতকাল বুধবারের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অন্য সতীর্থরা অনুশীলন করলেও রোনালদো এদিন অনুশীলনে আসেননি। কিন্তু আলাদা করে নিজের মতো জিমে সময় কাটিয়েছেন তিনি। রোনালদো কেন এলেন না অনুশীলনে? তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। রোনালদো ছাড়াও আরও যারা অনুশীলনে ছিলেন না তারা হলেন ওটাভিও, ডানিলো পেরেরা এবং নুনো মেন্ডেস । ঘটনাচক্রে এদের সবার কোনও না কোনও চোট আছে। নেই শুধু রোনালদোর।
গত সোমবার হেডে রোনালদো পর্তুগালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন বলে ধরে নিয়েছিলেন সবাই। গোলের সেলিব্রেশনও শুরু করে দেন তিনি। কিন্তু স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে জানানো হয় গোলটি ব্রুনো ফার্নান্ডেজের। তারপর থেকেই শুরু যাবতীয় বিতর্ক। রোনালদোও দাবি করে চলেছেন গোলটি তার।
বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে পর্তুগাল। দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে রাত ৯টায়।
ইতোমধ্যেই পর্তুগাল আগের দুই ম্যাচে জয়ী হয়ে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে সুযোগ আছে জয় দিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ১৬তে যাওয়ার। এজন্য অবশ্য গ্রুপের আরেক ম্যাচে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঘানাকে উরুগুয়ের কাছে হারতে হবে কিংবা ড্র করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় ম্যাচে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিয়েও ঘানার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়।
এই জয়ে পর্তুগালের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘানার সামনে এখন পরের রাউন্ডে যাবার হাতছানি।
এক পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে। কিন্তু এখনও তাদের সামনে নক-আউট পর্বে খেলার সুযোগ রয়েছে। যেকোন মূল্যে পর্তুগালের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করতে হবে। তারা যদি সান্তোসের দলকে পরাজিত করে এবং উরুগুয়ে ঘানাকে হারায় তবে গোল ব্যবধানে যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই পর্তুগালের সঙ্গে পরের রাউন্ডে খেলবে। এশিয়ান জায়ান্টরা ২০১০ সালে সর্বশেষ নক-আউট পর্বে খেলেছিল। শেষ দুইটি আসরেই তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বাড়ি ফিরে আসে। এই মুহুর্তে প্রতিপক্ষের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলার দিকেই বেশ মনোযোগ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ঘানার বিপক্ষে যে ধরনের অল-আউট ফুটবল তারা খেলেছে তাতে পর্তুগালকে বাড়তি সতর্কতা নিতেই হচ্ছে। পর্তুগাল যেহেতু নক-আউট পর্বে চলে গেছে তাই নিয়মরক্ষায় ম্যাচটিতে তাদের মধ্যে কিছুটা নির্লিপ্ততা আসাটাই স্বাভাবিক। যদিও সান্তোস এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে, আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় বেনটোর শিষ্যরা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল তৃতীয় ও ২০০৬ সালে চতুর্থ হয়েছিল। কিন্তু ২০০৬ সালের পর থেকে শেষ ষোল পার করতে পারেনি। শেষ তিনটি বিশ্বকাপের দুটিতেই গ্রুপ পর্বে তাদের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবারের আসরের আগে পর্তুগাল ফেবারিট হিসেবে কাতারে খেলতে আসেনি। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে এখন তারা শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে।
অনুশীলনে অনুপস্থিত রোনালদো
এখনও পর্যন্ত যে কয়টা দল কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের ওজন অনুযায়ী পারফর্ম করতে পেরেছে, তাদের মধ্যে পর্তুগাল একটি। প্রথম দুই ম্যাচের দুইটিতেই সহজ জয় দিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের নক-আউটে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। পর্তুগাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নামবে। তার আগে গতকাল বুধবারের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অন্য সতীর্থরা অনুশীলন করলেও রোনালদো এদিন অনুশীলনে আসেননি। কিন্তু আলাদা করে নিজের মতো জিমে সময় কাটিয়েছেন তিনি। রোনালদো কেন এলেন না অনুশীলনে? তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। রোনালদো ছাড়াও আরও যারা অনুশীলনে ছিলেন না তারা হলেন ওটাভিও, ডানিলো পেরেরা এবং নুনো মেন্ডেস । ঘটনাচক্রে এদের সবার কোনও না কোনও চোট আছে। নেই শুধু রোনালদোর।
গত সোমবার হেডে রোনালদো পর্তুগালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন বলে ধরে নিয়েছিলেন সবাই। গোলের সেলিব্রেশনও শুরু করে দেন তিনি। কিন্তু স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে জানানো হয় গোলটি ব্রুনো ফার্নান্ডেজের। তারপর থেকেই শুরু যাবতীয় বিতর্ক। রোনালদোও দাবি করে চলেছেন গোলটি তার।