কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটনের জন্ম দিয়ে জাপান এখন বিপজ্জনক দল হয়ে উঠেছে। সোমাবর (৫ ডিসেম্বর) শেষ ষোলর ম্যাচে গত আসরের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার মোকাবিলা করবে এশিয়ান জায়ান্টরা।
দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে রাত ৯টায়।
এবারের আসরের অন্যতম ধারাবাহিক জাপানকে মোকাবিলা করার আগে ক্রোয়েটরা বাড়তি পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই মাঠে নামবে।
জাপান শীর্ষ সারির দল স্পেন ও জার্মানিকে টপকে গ্রুপ-ই’র শীর্ষস্থান দখল করে। অন্যদিকে মরক্কোর পরে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ-এফ থেকে পরের রাউন্ডে খেলতে এসেছে ২০১৮ রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়া।
স্পেনের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে জয়ী হয়ে গ্রুপের শীর্ষ স্থান নিশ্চিত করে জাপান। আয়ো টানাকার দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শেষ পর্যন্ত জাপানই হয়েছে গ্রুপ সেরা। আরও একবার কোচ মোরিইয়াসুর দ্বিতীয়ার্ধের খেলোয়াড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছিল জাপান। এক টুর্নামেন্টেই ২০১০ ও ২০১৪’র দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানো দলটি নক-আউট পর্বে খেলবে, এটাই স্বাভাবিক। এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরুতে সক্ষম হলো জাপান। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে তাদের নক-আউটের আগেই বিদায় নিতে হয়েছিল।
গ্রুপ পর্বে অবশ্য কোস্টারিকার কাছে হতাশাজনক (১-০) পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল এশিয়া জায়ান্টদের। সোমাবর জয়ী হতে পারলে আর পরের ম্যাচে যদি ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া শেষ আট নিশ্চিত করে তবে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অল এশিয়ান কোয়ার্টার ফাইনালে মোকাবিলা করকে এশিয়ান দুই পরাশক্তি।
এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা হয়নি জাপানের। বর্তমানে উজ্জীবিত জাপান শিবির সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে।
এদিকে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বর্ণালী প্রজন্মের বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভঙ্গ করে গোলশুন্য ড্রয়ের মাধ্যমে নক-আউট পর্বের টিকেট পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলতে খেলতে এসেছে ক্রোয়েশিয়া। আগের দুই আসরেই এই ধাপ পার করে শেষ আট নিশ্চিত করা ক্রোয়েটরা ইতিহাস থেকেও আত্মবিশ্বাস পেতে পারে। যদিও কাউন্টার এ্যাটাক থেকে দুর্দান্ত খেলা জাপানীজদের বিরুদ্ধে কোন কিছুই সহজ ভাবে নিতে চাচ্ছে না ডালিচের দল। ২৫ বছর আগে প্রথম মোকাবিলায় জাপানের কাছে ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়েছির ক্রোয়েশিয়া। এরপর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্লু সামুরাইদের পরাজিত করার পর ২০০৬ সালে গোলশূণ্য ড্র করে। কাতারে অবশ্য আগের সব আসরের থেকে একটু বেশি সতর্কতা নিতেই হচ্ছে ক্রোয়েটদের।
ক্রোয়েশিয়া ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে যে, সোমাবরের ম্যাচের জন্য পরিপূর্ণ ফিট একটি দলকেই তারা হাতে পাচ্ছে।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটনের জন্ম দিয়ে জাপান এখন বিপজ্জনক দল হয়ে উঠেছে। সোমাবর (৫ ডিসেম্বর) শেষ ষোলর ম্যাচে গত আসরের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার মোকাবিলা করবে এশিয়ান জায়ান্টরা।
দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে রাত ৯টায়।
এবারের আসরের অন্যতম ধারাবাহিক জাপানকে মোকাবিলা করার আগে ক্রোয়েটরা বাড়তি পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই মাঠে নামবে।
জাপান শীর্ষ সারির দল স্পেন ও জার্মানিকে টপকে গ্রুপ-ই’র শীর্ষস্থান দখল করে। অন্যদিকে মরক্কোর পরে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ-এফ থেকে পরের রাউন্ডে খেলতে এসেছে ২০১৮ রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়া।
স্পেনের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে জয়ী হয়ে গ্রুপের শীর্ষ স্থান নিশ্চিত করে জাপান। আয়ো টানাকার দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শেষ পর্যন্ত জাপানই হয়েছে গ্রুপ সেরা। আরও একবার কোচ মোরিইয়াসুর দ্বিতীয়ার্ধের খেলোয়াড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছিল জাপান। এক টুর্নামেন্টেই ২০১০ ও ২০১৪’র দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানো দলটি নক-আউট পর্বে খেলবে, এটাই স্বাভাবিক। এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরুতে সক্ষম হলো জাপান। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে তাদের নক-আউটের আগেই বিদায় নিতে হয়েছিল।
গ্রুপ পর্বে অবশ্য কোস্টারিকার কাছে হতাশাজনক (১-০) পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল এশিয়া জায়ান্টদের। সোমাবর জয়ী হতে পারলে আর পরের ম্যাচে যদি ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া শেষ আট নিশ্চিত করে তবে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অল এশিয়ান কোয়ার্টার ফাইনালে মোকাবিলা করকে এশিয়ান দুই পরাশক্তি।
এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা হয়নি জাপানের। বর্তমানে উজ্জীবিত জাপান শিবির সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে।
এদিকে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বর্ণালী প্রজন্মের বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভঙ্গ করে গোলশুন্য ড্রয়ের মাধ্যমে নক-আউট পর্বের টিকেট পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলতে খেলতে এসেছে ক্রোয়েশিয়া। আগের দুই আসরেই এই ধাপ পার করে শেষ আট নিশ্চিত করা ক্রোয়েটরা ইতিহাস থেকেও আত্মবিশ্বাস পেতে পারে। যদিও কাউন্টার এ্যাটাক থেকে দুর্দান্ত খেলা জাপানীজদের বিরুদ্ধে কোন কিছুই সহজ ভাবে নিতে চাচ্ছে না ডালিচের দল। ২৫ বছর আগে প্রথম মোকাবিলায় জাপানের কাছে ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়েছির ক্রোয়েশিয়া। এরপর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্লু সামুরাইদের পরাজিত করার পর ২০০৬ সালে গোলশূণ্য ড্র করে। কাতারে অবশ্য আগের সব আসরের থেকে একটু বেশি সতর্কতা নিতেই হচ্ছে ক্রোয়েটদের।
ক্রোয়েশিয়া ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে যে, সোমাবরের ম্যাচের জন্য পরিপূর্ণ ফিট একটি দলকেই তারা হাতে পাচ্ছে।