কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
সুপার স্টার লিওনেল মেসি এবং তার দেশ আর্জেন্টিনার বিশ^কাপ জেতার স্বপ্ন পূরণের পথে শুক্রবারের বাধা নেদারল্যান্ডস। আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনালে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১.০০ টায় মুখোমুখি হবে।
আধুনিক ফুটবল তথা টোটাল ফুটবলের জন্মদাতা নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত বিশ^কাপ জিততে না পারলেও শক্তির দিক থেকে তারা মোটেও পিছিয়ে নেই। নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের অভিজ্ঞ কোচ। যিনি প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কৌশল নির্ধারণে বিশ^সেরাদের একজন হিসেবেই পরিচিত। তাই মেসিদের নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হলে খেলতে হবে সেরা ফুটবল।
৩৫ বছর বয়সী মেসির কাঁধেই দেশের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব। ক্লাব পর্যায়ে অনেক সাফল্য পেলেও দেশের হয়ে তারর সাফল্য খুবই সীমিত। এ পর্যন্ত তিনি জিততে পেরেছেন মাত্র একটি কোপা আমেরিকা। বিশ^কাপ ছোয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। মনে করা হচ্ছে এবারই তার শেষ সুযোগ। শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে কেবল মেসিকে নয় পুরো দলকেই খেলতে হবে সেরা ফুটবল। সৌদি আরবের বিপক্ষে মেসির অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ানদের ভুলে তারা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায়। ফুটবলে খুবই সাধারণ মানের একটি দল অস্ট্রেলিয়া। তাদের বিরুদ্ধে অনেক কষ্টেই জিতেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সে মানের খেলায় ফল অনুকূলে আসবে না।
নেদারল্যান্ডস ১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ২০১০ সালে ফাইনালে খেললেও শিরোপা জিততে পারেনি। ৭১ বছর বয়সী ফন গাল চেষ্টা করছেন দেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিতে। ক্যান্সারের সাথে লড়াইরত ফন গালের জন্য খেলোয়াড়রাও চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখতে চান না। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনার কাছে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল ডাচরা। কোচ সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রকাশ্যেই বলেছেন সে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চান এবার। কোচ মনে করেন বিশেষ কৌশল দিয়ে তিনি এবার মেসিকে চমক দেখাবেন। মেসি সেভাবে খেলার সুযোগই হয়তো পাবেন না। ডাচচের আরেকটি বড় শক্তি রক্ষণভাগে আছেন ভার্জিল ফন ডাইকের মতো তারকা। তাকে মনে করা হয় বিশে^র সেরা ডিফেন্ডার। মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব থাকবে ডাইকের উপর। তাদের আক্রমনভাগে আছেন মেমফিস ডিপাইয়ের মতো সুযোগ সন্ধানী। ডাচরা টানা ১৯ ম্যাচে আছে অপরাজিত।
আর্জেন্টিনার মূল শক্তি মেসি। তবে দলে প্রতিভার অভাব নেই। দলের অন্যরা খেলছেন মেসিকে একটি ট্রফি উপহার দেয়ার জন্য। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লতারো মার্টিনেজ, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বিশ^মানের খেলোয়াড়। বাকিরা বয়সে তরুন হলেও অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে নেই। তারা এবার ফুটবল খেলছে হৃদয় দিয়ে। দলের খেলোয়াড়রা সবাই জানে মেসিকে বিশ^কাপ উপহার দিতে হলে এবারই দিতে হবে। সাম্প্রতিক অতীতে আর্জেন্টিনা এমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। সৌদি আরবের কাছে তাদের পরাজয়টা ছিল নিছক দুর্ঘটনা। সে রকম দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে চেষ্টার কোন ত্রুটি করবে কেউই। আর্জেন্টিনাকে মনে রাখতে হবে তারা এবারের বিশ^কাপে এবারই প্রথম কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামছে। এর আগে যাদের সাথে খেলেছে তাদেরকে বিশ^ফুটবলে শক্তিশালী দল হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। প্রকৃত অর্থে বিশ^কাপ জেতার মিশন নিয়ে যে কয়টি দল কাতার গেছে তাদের একটি নেদারল্যান্ডস। দলটির বিপক্ষে নিজেদের শতভাগ দিতে পারলেই মেসিরা স্বপ্ন পূরণের পথে আরেকটি ধাপ অগ্রসর হতে পারবে, আর সেটা না পারলে এ জীবনে মেসি হয়তো বিশ^কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবেন না।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
সুপার স্টার লিওনেল মেসি এবং তার দেশ আর্জেন্টিনার বিশ^কাপ জেতার স্বপ্ন পূরণের পথে শুক্রবারের বাধা নেদারল্যান্ডস। আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনালে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১.০০ টায় মুখোমুখি হবে।
আধুনিক ফুটবল তথা টোটাল ফুটবলের জন্মদাতা নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত বিশ^কাপ জিততে না পারলেও শক্তির দিক থেকে তারা মোটেও পিছিয়ে নেই। নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের অভিজ্ঞ কোচ। যিনি প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কৌশল নির্ধারণে বিশ^সেরাদের একজন হিসেবেই পরিচিত। তাই মেসিদের নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হলে খেলতে হবে সেরা ফুটবল।
৩৫ বছর বয়সী মেসির কাঁধেই দেশের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব। ক্লাব পর্যায়ে অনেক সাফল্য পেলেও দেশের হয়ে তারর সাফল্য খুবই সীমিত। এ পর্যন্ত তিনি জিততে পেরেছেন মাত্র একটি কোপা আমেরিকা। বিশ^কাপ ছোয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। মনে করা হচ্ছে এবারই তার শেষ সুযোগ। শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে কেবল মেসিকে নয় পুরো দলকেই খেলতে হবে সেরা ফুটবল। সৌদি আরবের বিপক্ষে মেসির অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ানদের ভুলে তারা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায়। ফুটবলে খুবই সাধারণ মানের একটি দল অস্ট্রেলিয়া। তাদের বিরুদ্ধে অনেক কষ্টেই জিতেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সে মানের খেলায় ফল অনুকূলে আসবে না।
নেদারল্যান্ডস ১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ২০১০ সালে ফাইনালে খেললেও শিরোপা জিততে পারেনি। ৭১ বছর বয়সী ফন গাল চেষ্টা করছেন দেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিতে। ক্যান্সারের সাথে লড়াইরত ফন গালের জন্য খেলোয়াড়রাও চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখতে চান না। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনার কাছে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল ডাচরা। কোচ সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রকাশ্যেই বলেছেন সে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চান এবার। কোচ মনে করেন বিশেষ কৌশল দিয়ে তিনি এবার মেসিকে চমক দেখাবেন। মেসি সেভাবে খেলার সুযোগই হয়তো পাবেন না। ডাচচের আরেকটি বড় শক্তি রক্ষণভাগে আছেন ভার্জিল ফন ডাইকের মতো তারকা। তাকে মনে করা হয় বিশে^র সেরা ডিফেন্ডার। মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব থাকবে ডাইকের উপর। তাদের আক্রমনভাগে আছেন মেমফিস ডিপাইয়ের মতো সুযোগ সন্ধানী। ডাচরা টানা ১৯ ম্যাচে আছে অপরাজিত।
আর্জেন্টিনার মূল শক্তি মেসি। তবে দলে প্রতিভার অভাব নেই। দলের অন্যরা খেলছেন মেসিকে একটি ট্রফি উপহার দেয়ার জন্য। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লতারো মার্টিনেজ, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বিশ^মানের খেলোয়াড়। বাকিরা বয়সে তরুন হলেও অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে নেই। তারা এবার ফুটবল খেলছে হৃদয় দিয়ে। দলের খেলোয়াড়রা সবাই জানে মেসিকে বিশ^কাপ উপহার দিতে হলে এবারই দিতে হবে। সাম্প্রতিক অতীতে আর্জেন্টিনা এমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। সৌদি আরবের কাছে তাদের পরাজয়টা ছিল নিছক দুর্ঘটনা। সে রকম দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে চেষ্টার কোন ত্রুটি করবে কেউই। আর্জেন্টিনাকে মনে রাখতে হবে তারা এবারের বিশ^কাপে এবারই প্রথম কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামছে। এর আগে যাদের সাথে খেলেছে তাদেরকে বিশ^ফুটবলে শক্তিশালী দল হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। প্রকৃত অর্থে বিশ^কাপ জেতার মিশন নিয়ে যে কয়টি দল কাতার গেছে তাদের একটি নেদারল্যান্ডস। দলটির বিপক্ষে নিজেদের শতভাগ দিতে পারলেই মেসিরা স্বপ্ন পূরণের পথে আরেকটি ধাপ অগ্রসর হতে পারবে, আর সেটা না পারলে এ জীবনে মেসি হয়তো বিশ^কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবেন না।