ইউরো ২০২৪ বাছাই পর্ব
বেঞ্জামিন পাভার্দের করা একমাত্র গোলে ফ্রান্স সোমবার ইউরো ২০২৪ এর বাছাই পর্বে বি গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করেছে। গত বছরের শেষ দিকে কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ^কাপের ফাইনালে একাদশে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়া পাভার্দ দলে ফেরা উৎযাপন করেন দূরন্ত গোল দিয়ে। তিনি ১৮ মিটার দূর থেকে দারুন এক শটে গোলটি করেন। এর ফলে দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ফ্রান্স আছে গ্রুপের শীর্ষে। ফ্রান্স প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে পরাজিত করেছিল নেদারল্যান্ডসকে।
সাবেক অধিনায়ক হুগো লরিস অবসর নেয়ার জন্য একাদশে জায়গা করে নেয়া গোলরক্ষক মাইক মাইগনান ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে অসাধারণ দৃঢ়তায় আয়ারল্যান্ডের একটি প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে দলকে পূর্ণ পয়েন্ট পেতে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। তিন দিন আগে তিনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি পেনাল্টিও বাচিয়েছিলেন।
এক ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রীস আছে দ্বিতীয় স্থানে। নেদারল্যান্ড সোমবার নিজেদের দেশের মাটিতে ৩-০ গোলে জিব্রাল্টারকে পরাজিত করে আছে তৃতীয় স্থানে। আয়ারল্যান্ড এক ম্যাচ খেলে কোন পয়েন্ট পায়নি এখনো।
ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের মতো আক্রমনাত্মক দলের বিপক্ষে খেলা কখনই সহজ নয়। আমরা গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর তারা সেট পিস থেকে আমাদের মাঝে ভীতি ছড়িয়েছে। শুক্রবারের মতো সহজ না হলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত আমাদের জন্য ভালই হয়েছে। মনে রাখতে হবে আজকের প্রতিপক্ষ ছিল ভিন্ন। ছয় পয়েণ্ট অর্জণ করায় খেলোয়াড়দের অভিনন্দন।’
কোচ দেশ্যম এ ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন আনেন। মিডফিল্ডে অরলিয়েন চুয়ামেনির বদলে মাঠে নামানো হয় এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গাকে। একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন অলিভার জিরুদ। রাইট উইঙ্গে খেলানো হয় র্যান্ডাল কোলো মুয়ানিকে। ফলে একাদশ থেকে বাদ পড়েন কিংসলে কোম্যান। রক্ষণভাগে সুযোগ পান পাভার্দ। বিশ^কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর এই প্রথম তিনি দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন।
ফ্রান্সের শুরুটা হয়েছিল দারুন। নয় মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন মুয়ানি। তিনি সরাসরি শট না মেরে ব্যাক হিল করে জিরুদকে দেয়ার চেষ্টা করেন। ফলে একটি সুন্দর সুযোগের অপচয় ঘটে। প্রথমার্ধে গোলের স্পষ্ট সুযোগ বললে এটাই ছিল ফ্রান্সের। আয়ারল্যান্ড রক্ষণাত্মক খেলার কৌশল নেয়ায় গোল মুখে তেমন ফাকা জায়গা পায়নি ফ্রান্স। মূলত কিলিয়ান এমবাপ্পের গতি ও ড্রিবলিংয়ের কথা মাথায় রেখেই এ কৌশল নেয় আয়ারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন পাভার্দ। জস কুলেনের পাস নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ১৮ মিটার দূর থেকে দারুন শটে গোলটি করেন তিনি।
ফ্রান্স কিছুটা প্রাধান্য বজায় রাখতে সক্ষম হলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। যদিও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাড্রিয়েন র্যাবিয়ট এবং মুসা ডিয়াবি। অপর দিকে শেষ সময়ে নাথান কলিন্সের হেড অবিশ^াস্যভাবে রুখে দেন মাইগনান। ফলে স্বাগতিকদের পরাজয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।
ইউরো ২০২৪ বাছাই পর্ব
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
বেঞ্জামিন পাভার্দের করা একমাত্র গোলে ফ্রান্স সোমবার ইউরো ২০২৪ এর বাছাই পর্বে বি গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করেছে। গত বছরের শেষ দিকে কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ^কাপের ফাইনালে একাদশে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়া পাভার্দ দলে ফেরা উৎযাপন করেন দূরন্ত গোল দিয়ে। তিনি ১৮ মিটার দূর থেকে দারুন এক শটে গোলটি করেন। এর ফলে দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ফ্রান্স আছে গ্রুপের শীর্ষে। ফ্রান্স প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে পরাজিত করেছিল নেদারল্যান্ডসকে।
সাবেক অধিনায়ক হুগো লরিস অবসর নেয়ার জন্য একাদশে জায়গা করে নেয়া গোলরক্ষক মাইক মাইগনান ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে অসাধারণ দৃঢ়তায় আয়ারল্যান্ডের একটি প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে দলকে পূর্ণ পয়েন্ট পেতে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। তিন দিন আগে তিনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি পেনাল্টিও বাচিয়েছিলেন।
এক ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রীস আছে দ্বিতীয় স্থানে। নেদারল্যান্ড সোমবার নিজেদের দেশের মাটিতে ৩-০ গোলে জিব্রাল্টারকে পরাজিত করে আছে তৃতীয় স্থানে। আয়ারল্যান্ড এক ম্যাচ খেলে কোন পয়েন্ট পায়নি এখনো।
ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের মতো আক্রমনাত্মক দলের বিপক্ষে খেলা কখনই সহজ নয়। আমরা গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর তারা সেট পিস থেকে আমাদের মাঝে ভীতি ছড়িয়েছে। শুক্রবারের মতো সহজ না হলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত আমাদের জন্য ভালই হয়েছে। মনে রাখতে হবে আজকের প্রতিপক্ষ ছিল ভিন্ন। ছয় পয়েণ্ট অর্জণ করায় খেলোয়াড়দের অভিনন্দন।’
কোচ দেশ্যম এ ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন আনেন। মিডফিল্ডে অরলিয়েন চুয়ামেনির বদলে মাঠে নামানো হয় এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গাকে। একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন অলিভার জিরুদ। রাইট উইঙ্গে খেলানো হয় র্যান্ডাল কোলো মুয়ানিকে। ফলে একাদশ থেকে বাদ পড়েন কিংসলে কোম্যান। রক্ষণভাগে সুযোগ পান পাভার্দ। বিশ^কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর এই প্রথম তিনি দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন।
ফ্রান্সের শুরুটা হয়েছিল দারুন। নয় মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন মুয়ানি। তিনি সরাসরি শট না মেরে ব্যাক হিল করে জিরুদকে দেয়ার চেষ্টা করেন। ফলে একটি সুন্দর সুযোগের অপচয় ঘটে। প্রথমার্ধে গোলের স্পষ্ট সুযোগ বললে এটাই ছিল ফ্রান্সের। আয়ারল্যান্ড রক্ষণাত্মক খেলার কৌশল নেয়ায় গোল মুখে তেমন ফাকা জায়গা পায়নি ফ্রান্স। মূলত কিলিয়ান এমবাপ্পের গতি ও ড্রিবলিংয়ের কথা মাথায় রেখেই এ কৌশল নেয় আয়ারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন পাভার্দ। জস কুলেনের পাস নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ১৮ মিটার দূর থেকে দারুন শটে গোলটি করেন তিনি।
ফ্রান্স কিছুটা প্রাধান্য বজায় রাখতে সক্ষম হলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। যদিও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাড্রিয়েন র্যাবিয়ট এবং মুসা ডিয়াবি। অপর দিকে শেষ সময়ে নাথান কলিন্সের হেড অবিশ^াস্যভাবে রুখে দেন মাইগনান। ফলে স্বাগতিকদের পরাজয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।