বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত রোববার ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। সেদিন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা; কিন্তু রাজশাহীতে নির্ধারিত দরে সিলিন্ডার মিলছে না। এতে ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে দেশেও এলপিজির দর বাড়ানো বা কমানো হয়। সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। সাধারণত গৃহস্থালির কাজে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার বেশি ব্যবহৃত হয়। কেবল রাজশাহীতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই ভোক্তাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে নৈরাজ্যের অবসান হচ্ছে না। দেশের একেক জায়গায় সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। এর আগে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে দাম নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই।
নির্ধারিত দরে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন। এ দুটোই আমদানি করতে হয়। সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেন উভয়েরই ঘোষিত দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই ব্যবসায়ীদের এলপিজি বিক্রি করে লোকসান দেবার কথা নয়। তারপরও কোনো কোনো ব্যবসায়ী এই দর নিয়ে সন্তষ্ট হচ্ছেন না বলে জানা যায়।
বেঁধে দেয়া দরে যদি এলপিজি সিলিন্ডার না বিক্রি হয় তাহলে নিয়মিত এর দাম নির্ধারণ করার মানে কী সেটা আমরা জানতে চাইব। আমরা বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার পর সেটা কার্যকর করতে হবে। কমিশনঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। কেবল একটা দাম নির্ধারণ করে দায়িত্ব সারলে চলে না। নির্ধারিত দরে ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারছে কিনাÑ সেটা মনিটর করা জরুরি।
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত রোববার ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। সেদিন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা; কিন্তু রাজশাহীতে নির্ধারিত দরে সিলিন্ডার মিলছে না। এতে ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে দেশেও এলপিজির দর বাড়ানো বা কমানো হয়। সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। সাধারণত গৃহস্থালির কাজে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার বেশি ব্যবহৃত হয়। কেবল রাজশাহীতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই ভোক্তাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে নৈরাজ্যের অবসান হচ্ছে না। দেশের একেক জায়গায় সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। এর আগে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে দাম নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই।
নির্ধারিত দরে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন। এ দুটোই আমদানি করতে হয়। সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেন উভয়েরই ঘোষিত দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই ব্যবসায়ীদের এলপিজি বিক্রি করে লোকসান দেবার কথা নয়। তারপরও কোনো কোনো ব্যবসায়ী এই দর নিয়ে সন্তষ্ট হচ্ছেন না বলে জানা যায়।
বেঁধে দেয়া দরে যদি এলপিজি সিলিন্ডার না বিক্রি হয় তাহলে নিয়মিত এর দাম নির্ধারণ করার মানে কী সেটা আমরা জানতে চাইব। আমরা বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার পর সেটা কার্যকর করতে হবে। কমিশনঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। কেবল একটা দাম নির্ধারণ করে দায়িত্ব সারলে চলে না। নির্ধারিত দরে ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারছে কিনাÑ সেটা মনিটর করা জরুরি।