দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার খরচ বাড়ছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীপিছু খরচ ৫১ শতাংশ বেড়েছে। আর প্রাথমিকে ২৫ শতাংশ খরচ বেড়েছে। ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০২৩’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে এ নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে লেখাপড়া বাবদ খরচ বাড়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কোচিং-প্রাইভেট এবং নোট গাইড। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে গ্রামের তুলনায় শহরের শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যয় বেশি। দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি বাণিজ্যিক গাইড, কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার প্রতি নির্ভরশীল। এ থেকে শিক্ষার্থীদের কীভাবে বের করে আনা যায় সেটা নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। শিক্ষাক্রম বদলানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে গাইড-কোচিংয়ের প্রয়োজন ফুরাবে। যদিও নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে আরও সময় লাগবে। তবে অনেকেই বলছেন, নতুন পদ্ধতিতে পড়ালেখার খরচ বেড়েছে।
দেশে শিক্ষা খাতে ব্যয়ের সিংহভাগই বহন করতে হয় পরিবারগুলোকে। এর আগে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিক্ষা খাতে ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করছে পরিবারগুলো। এটা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে নেপালে ৫০ শতাংশ আর পাকিস্তানে ৫৭ শতাংশ ব্যয় বহন করে পরিবারগুলো।
পড়ালেখার খরচ বাড়ার খবরটি উদ্বেগজনক। শিক্ষা ব্যয় বাড়লে ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এর প্রভাবে বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রমের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। শিক্ষা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ দেয়া হয় না। উন্নয়েনর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়া যায়নি। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হলে পরিবারগুলোর ওপর থেকে ব্যয়ের বোঝা কমবে।
উল্লিখিত গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। উপবৃত্তি ও পরিকল্পিত আর্থিক সহায়তা বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতির মাত্রার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ক্লাসসহ উপযুক্ত সহায়তা করা, শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া, বিবাহিত মেয়েদের উপবৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক নিয়ম বাদ দেয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন ইত্যাদি। এসব সুপারিশগুলো আমলে নেয়া যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে বলে আমরা আশা করি।
মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার খরচ বাড়ছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীপিছু খরচ ৫১ শতাংশ বেড়েছে। আর প্রাথমিকে ২৫ শতাংশ খরচ বেড়েছে। ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০২৩’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে এ নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে লেখাপড়া বাবদ খরচ বাড়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কোচিং-প্রাইভেট এবং নোট গাইড। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে গ্রামের তুলনায় শহরের শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যয় বেশি। দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি বাণিজ্যিক গাইড, কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার প্রতি নির্ভরশীল। এ থেকে শিক্ষার্থীদের কীভাবে বের করে আনা যায় সেটা নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। শিক্ষাক্রম বদলানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে গাইড-কোচিংয়ের প্রয়োজন ফুরাবে। যদিও নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে আরও সময় লাগবে। তবে অনেকেই বলছেন, নতুন পদ্ধতিতে পড়ালেখার খরচ বেড়েছে।
দেশে শিক্ষা খাতে ব্যয়ের সিংহভাগই বহন করতে হয় পরিবারগুলোকে। এর আগে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিক্ষা খাতে ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করছে পরিবারগুলো। এটা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে নেপালে ৫০ শতাংশ আর পাকিস্তানে ৫৭ শতাংশ ব্যয় বহন করে পরিবারগুলো।
পড়ালেখার খরচ বাড়ার খবরটি উদ্বেগজনক। শিক্ষা ব্যয় বাড়লে ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এর প্রভাবে বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রমের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। শিক্ষা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ দেয়া হয় না। উন্নয়েনর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়া যায়নি। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হলে পরিবারগুলোর ওপর থেকে ব্যয়ের বোঝা কমবে।
উল্লিখিত গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। উপবৃত্তি ও পরিকল্পিত আর্থিক সহায়তা বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতির মাত্রার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ক্লাসসহ উপযুক্ত সহায়তা করা, শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া, বিবাহিত মেয়েদের উপবৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক নিয়ম বাদ দেয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন ইত্যাদি। এসব সুপারিশগুলো আমলে নেয়া যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে বলে আমরা আশা করি।