যশোরের কেশবপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অঞ্চলে ১৩টি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই জনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ কৃষি জমি দখল করে নির্মিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ছাড়পত্র না দিলেও, এই ইটভাটাগুলো আগের মতোই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যেন কোনো বাধা নেই। এই অবস্থা আমাদের সামনে এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরছেÑঅবৈধ কার্যক্রমে অপরাধীরা কোনো ভয় পাচ্ছে না, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রকট।
কেশবপুর উপজেলায় যেসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কৃষি জমি দখল করে স্থাপন করা হয়েছে। এই ধরনের অনিয়ম আইন অমান্য করে করা হচ্ছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবে এসব ভাটা গড়ে উঠেছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, যা জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করছে। স্থানীয় জনগণ বারবার প্রতিবাদ জানালেও, প্রশাসনের অবহেলা এবং ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই অবৈধ ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, এসব ভাটার কারণে কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ার ফলে ফসলের উৎপাদনও মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন বেড়ে চলা এই পরিবেশ দূষণ শুধু কৃষি ক্ষেত্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানুষের স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, কেন প্রশাসন এত দীর্ঘ সময় ধরে এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি? আইন, প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে যদি সমন্বয়ের অভাব থাকে, তবে সাধারণ মানুষ ও পরিবেশ এর ফল ভোগ করবে। এসব অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
যশোরের কেশবপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অঞ্চলে ১৩টি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই জনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ কৃষি জমি দখল করে নির্মিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ছাড়পত্র না দিলেও, এই ইটভাটাগুলো আগের মতোই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যেন কোনো বাধা নেই। এই অবস্থা আমাদের সামনে এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরছেÑঅবৈধ কার্যক্রমে অপরাধীরা কোনো ভয় পাচ্ছে না, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রকট।
কেশবপুর উপজেলায় যেসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কৃষি জমি দখল করে স্থাপন করা হয়েছে। এই ধরনের অনিয়ম আইন অমান্য করে করা হচ্ছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবে এসব ভাটা গড়ে উঠেছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, যা জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করছে। স্থানীয় জনগণ বারবার প্রতিবাদ জানালেও, প্রশাসনের অবহেলা এবং ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই অবৈধ ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, এসব ভাটার কারণে কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ার ফলে ফসলের উৎপাদনও মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন বেড়ে চলা এই পরিবেশ দূষণ শুধু কৃষি ক্ষেত্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানুষের স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, কেন প্রশাসন এত দীর্ঘ সময় ধরে এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি? আইন, প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে যদি সমন্বয়ের অভাব থাকে, তবে সাধারণ মানুষ ও পরিবেশ এর ফল ভোগ করবে। এসব অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।