alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোরের কেশবপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অঞ্চলে ১৩টি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই জনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ কৃষি জমি দখল করে নির্মিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ছাড়পত্র না দিলেও, এই ইটভাটাগুলো আগের মতোই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যেন কোনো বাধা নেই। এই অবস্থা আমাদের সামনে এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরছেÑঅবৈধ কার্যক্রমে অপরাধীরা কোনো ভয় পাচ্ছে না, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রকট।

কেশবপুর উপজেলায় যেসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কৃষি জমি দখল করে স্থাপন করা হয়েছে। এই ধরনের অনিয়ম আইন অমান্য করে করা হচ্ছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবে এসব ভাটা গড়ে উঠেছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, যা জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করছে। স্থানীয় জনগণ বারবার প্রতিবাদ জানালেও, প্রশাসনের অবহেলা এবং ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই অবৈধ ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, এসব ভাটার কারণে কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ার ফলে ফসলের উৎপাদনও মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন বেড়ে চলা এই পরিবেশ দূষণ শুধু কৃষি ক্ষেত্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানুষের স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হচ্ছে।

প্রশ্ন হলো, কেন প্রশাসন এত দীর্ঘ সময় ধরে এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি? আইন, প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে যদি সমন্বয়ের অভাব থাকে, তবে সাধারণ মানুষ ও পরিবেশ এর ফল ভোগ করবে। এসব অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোরের কেশবপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অঞ্চলে ১৩টি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই জনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ কৃষি জমি দখল করে নির্মিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ছাড়পত্র না দিলেও, এই ইটভাটাগুলো আগের মতোই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যেন কোনো বাধা নেই। এই অবস্থা আমাদের সামনে এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরছেÑঅবৈধ কার্যক্রমে অপরাধীরা কোনো ভয় পাচ্ছে না, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রকট।

কেশবপুর উপজেলায় যেসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কৃষি জমি দখল করে স্থাপন করা হয়েছে। এই ধরনের অনিয়ম আইন অমান্য করে করা হচ্ছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবে এসব ভাটা গড়ে উঠেছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, যা জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করছে। স্থানীয় জনগণ বারবার প্রতিবাদ জানালেও, প্রশাসনের অবহেলা এবং ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই অবৈধ ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, এসব ভাটার কারণে কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ার ফলে ফসলের উৎপাদনও মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন বেড়ে চলা এই পরিবেশ দূষণ শুধু কৃষি ক্ষেত্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানুষের স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হচ্ছে।

প্রশ্ন হলো, কেন প্রশাসন এত দীর্ঘ সময় ধরে এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি? আইন, প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে যদি সমন্বয়ের অভাব থাকে, তবে সাধারণ মানুষ ও পরিবেশ এর ফল ভোগ করবে। এসব অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

back to top