বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যার উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে। মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ থেকে ফিরে আসা ১,০৯৬ জন কর্মীর মধ্যে ৪৮ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার। এই সমস্যার মধ্যে পুরুষ কর্মীদের সংখ্যাধিক্য চিন্তার আরও কারণ যোগ করে।
কর্মক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন সমস্যার প্রধান উৎস। অনেক প্রবাসী নারী শ্রমিক শারীরিক নির্যাতন ও খাদ্যের অভাবের শিকার হয়েছেন। প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক কর্মী বৈধ চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এসব পরিস্থিতি তাদের শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অভিবাসনের খরচ ও ঋণের চাপ আরেকটি গুরুতর সমস্যা। গবেষণা বলছে, অনেক কর্মী দেশে ফিরে আসার পর চিকিৎসার খরচ মেটাতে ঋণগ্রস্ত হন। নারীদের অভিবাসন খরচ না থাকার কথা থাকলেও, অনেকেই দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন। পুরুষ কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ব্যয় আরও বেশি। এসব আর্থিক চাপ মানসিক সংকটকে তীব্র করে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত বাজেট ও জনবল নিয়ে কাজ করছে। বিএমইটির সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে, মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশা অনেক বেশি।
আমরা বলতে চাই, প্রবাসী কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, পুরুষ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেয়া হয়নি। তাই সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।
নিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। দালালের প্রতারণা ঠেকাতে কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি। প্রবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা জরুরি। কোনো কর্মী যদি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে দেশে ফিরে আসেন, তা হলে এটি তাদের অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কল্যাণ বোর্ডের অর্থ প্রবাসী কর্মীদের সহায়তায় ব্যবহার করা উচিত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, অভিবাসী কর্মীদের সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রবাসী কর্মীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা বিশেষত মানসিক সমস্যাগুলো উপেক্ষা করা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রবাসীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, অর্থনৈতিকভাবে তা দেশের জন্যও লাভজনক। সময় এসেছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের।
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যার উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে। মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ থেকে ফিরে আসা ১,০৯৬ জন কর্মীর মধ্যে ৪৮ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার। এই সমস্যার মধ্যে পুরুষ কর্মীদের সংখ্যাধিক্য চিন্তার আরও কারণ যোগ করে।
কর্মক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন সমস্যার প্রধান উৎস। অনেক প্রবাসী নারী শ্রমিক শারীরিক নির্যাতন ও খাদ্যের অভাবের শিকার হয়েছেন। প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক কর্মী বৈধ চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এসব পরিস্থিতি তাদের শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অভিবাসনের খরচ ও ঋণের চাপ আরেকটি গুরুতর সমস্যা। গবেষণা বলছে, অনেক কর্মী দেশে ফিরে আসার পর চিকিৎসার খরচ মেটাতে ঋণগ্রস্ত হন। নারীদের অভিবাসন খরচ না থাকার কথা থাকলেও, অনেকেই দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন। পুরুষ কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ব্যয় আরও বেশি। এসব আর্থিক চাপ মানসিক সংকটকে তীব্র করে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত বাজেট ও জনবল নিয়ে কাজ করছে। বিএমইটির সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে, মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশা অনেক বেশি।
আমরা বলতে চাই, প্রবাসী কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, পুরুষ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেয়া হয়নি। তাই সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।
নিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। দালালের প্রতারণা ঠেকাতে কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি। প্রবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা জরুরি। কোনো কর্মী যদি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে দেশে ফিরে আসেন, তা হলে এটি তাদের অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কল্যাণ বোর্ডের অর্থ প্রবাসী কর্মীদের সহায়তায় ব্যবহার করা উচিত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, অভিবাসী কর্মীদের সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রবাসী কর্মীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা বিশেষত মানসিক সমস্যাগুলো উপেক্ষা করা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রবাসীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, অর্থনৈতিকভাবে তা দেশের জন্যও লাভজনক। সময় এসেছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের।