গত প্রায় দুই দশক ধরে দেশে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের উপস্থিতি বেশ কমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পাখির অনেক অভয়াশ্রম ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রতি বছরই শীত মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলার রামসার সাইট খ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ারসহ অন্যান্য হাওর-বিলে এ পাখির আগমন ঘটে। পাখি বিশেষজ্ঞরা টাঙ্গুয়ার হাওরে দুই শতাধিক প্রজাতির পাখির সন্ধান পেয়েছিলেন। কিন্তু দিনে দিনে তা কমছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোটের বিভিন্ন সময়ের জরিপে দেখা গেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখি আসা আগের তুলনায় কমে গেছে। ২০১৫ সালের এক জরিপে ৫২ হাজার ২৯৯টি পাখি গণনা করা হয়। ২০২২ সালে পাওয়া যায় ২৭ হাজার ১৭০টি। জানা যায়, পর্যটকদের ইঞ্জিনচালিত হাউস বোটসহ শত শত নৌকা, পর্যটকদের বিভিন্ন ধরনে উৎপাত যেমন ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের থালা পলিথিন প্যাকেট ও সংরক্ষিত এলাকায় উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোয় পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া একশ্রেণীর অসাধু লোক পাখি শিকার করে। নলখাগড়া, চাইল্যাবন, হিজল, কড়চ গাছের ডালপালাসহ বন-জঙ্গল অবাধে কেটে উজাড় করছে।
প্রতি বছরই পরিযায়ী পাখিনিধনের কথা শোনা যায়। কিন্তু প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। লোকদেখানো যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা পরিযায়ী পাখি রক্ষার জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে পরিযায়ী পাখিরা যেসব স্থানে এসে বসবাস করে সেসব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৩ ও ২২ অনুযায়ী অভয়ারণ্য ও বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে এবং ধারা ৩১ অনুযায়ী বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট করতে হবে এবং প্রত্যেক ইউনিটে ধারা ৫ অনুযায়ী ওয়ার্ডে নিয়োগ করতে হবে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর নজরদারি জারি রাখতে হবে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
গত প্রায় দুই দশক ধরে দেশে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের উপস্থিতি বেশ কমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পাখির অনেক অভয়াশ্রম ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রতি বছরই শীত মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলার রামসার সাইট খ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ারসহ অন্যান্য হাওর-বিলে এ পাখির আগমন ঘটে। পাখি বিশেষজ্ঞরা টাঙ্গুয়ার হাওরে দুই শতাধিক প্রজাতির পাখির সন্ধান পেয়েছিলেন। কিন্তু দিনে দিনে তা কমছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোটের বিভিন্ন সময়ের জরিপে দেখা গেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখি আসা আগের তুলনায় কমে গেছে। ২০১৫ সালের এক জরিপে ৫২ হাজার ২৯৯টি পাখি গণনা করা হয়। ২০২২ সালে পাওয়া যায় ২৭ হাজার ১৭০টি। জানা যায়, পর্যটকদের ইঞ্জিনচালিত হাউস বোটসহ শত শত নৌকা, পর্যটকদের বিভিন্ন ধরনে উৎপাত যেমন ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের থালা পলিথিন প্যাকেট ও সংরক্ষিত এলাকায় উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোয় পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া একশ্রেণীর অসাধু লোক পাখি শিকার করে। নলখাগড়া, চাইল্যাবন, হিজল, কড়চ গাছের ডালপালাসহ বন-জঙ্গল অবাধে কেটে উজাড় করছে।
প্রতি বছরই পরিযায়ী পাখিনিধনের কথা শোনা যায়। কিন্তু প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। লোকদেখানো যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা পরিযায়ী পাখি রক্ষার জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে পরিযায়ী পাখিরা যেসব স্থানে এসে বসবাস করে সেসব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৩ ও ২২ অনুযায়ী অভয়ারণ্য ও বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে এবং ধারা ৩১ অনুযায়ী বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট করতে হবে এবং প্রত্যেক ইউনিটে ধারা ৫ অনুযায়ী ওয়ার্ডে নিয়োগ করতে হবে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর নজরদারি জারি রাখতে হবে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।