alt

উপ-সম্পাদকীয়

ট্রাম্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন, তবে পথ মসৃণ নয়

শিতাংশু গুহ

: রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
image

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঝড়ের বেগে রিপাবলিকান দলীয় মনোনয়নের পেতে চলেছেন, কিন্তু তার যাত্রাপথ ততটা মসৃণ নয়। প্রতিটি পদক্ষেপে ডেমক্রেটরা তাকে ঠেকাতে উদ্যত। ব্যালটে আদৌ তার নাম থাকবে কিনা সেই সংশয় আছে। না থাকলে কী হবে? ট্রাম্প যদি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে কী হবে? ইলিনয়েস ও নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে ব্যালটে ট্রাম্পের নাম রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে নির্বাচনী বোর্ড। সুপ্রিমকোর্ট কি ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করবে? তাহলে কি ট্রাম্প সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে? দায়িত্ব এড়িয়ে সুপ্রিমকোর্ট কি বিষয়টি কংগ্রেসের ওপর ছেড়ে দেবে? এসব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই ঘটুক, ট্রাম্প বিপদে আছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন হটাৎ মারা গেলে কী হবে? সংবিধান অনুযায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন। হ্যারিস প্রাইমারি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন। সেক্ষেত্রে অন্য প্রার্থীরা মাঠে নামবেন। প্রাইমারি চলা অবস্থায় প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বিভিন্ন স্টেট প্রাইমারি বন্ধ রাখতে পারে, যেমনটা করেছিল কোভিড-১৯’র সময়। প্রাইমারির শেষে, অথচ ডেমক্রেটিক কনভেনশনের আগে প্রেসিডেন্ট মারা গেলে দলীয় নেতারা নমিনেশন চাইতে পারেন, সেক্ষেত্রে দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট যদি দলীয় মনোনয়ন লাভের পর, অথচ নির্বাচনের আগে মারা যান, সেক্ষত্রে ডেমক্রেট ও রিপাবলিকানদের স্পষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী দল নতুন প্রার্থী দেবে।

আপিল বিভাগে ট্রাম্প আবেদন করেছিলেন যে, ৬ জানুয়ারি ২০২০ তিনি যা করেছেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে করেছেন এবং সেটি বিচার করার এখতিয়ার আদালতের নেই, তাই তার বিচার হতে পারে না। তিনজন বিচারক নিয়ে গঠিত আপিল বিভাগ গত মঙ্গলবার সর্বসম্মতভাবে রায় দিয়েছেন যে, হোয়াইট হাউসের সাবেক বাসিন্দা বিচারের ঊর্ধ্বে নন, সুতরাং ট্রাম্পের বিচার চলতে পারে। আদালত আপিলের সুযোগ রেখেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সুপ্রিমকোর্টে আপিল করবেন। আপিল বিভাগ সুপ্রিমকোর্টের ঠিক একধাপ নিচের আদালত। ট্রাম্পের ভাগ্য এখন সুপ্রিমকোর্টের ওপর নির্ভরশীল।

ক্লাসিফাইড ডক্যুমেন্ট অযতœ ও অবহেলায় রাখা, ও হস্তান্তরে বিঘœ সৃষ্টির দায়ে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়। একই অপরাধে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না। ওয়াশিংটন টাইমস গত মঙ্গলবার জানায়, স্পেশাল কাউন্সিল রবার্ট হুড় নথিপত্র অবহেলায় বাইডেনের ওপর বিরক্ত, তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করছেন না। ট্রাম্প এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ডক্যুমেন্ট ছিল বাইডেনের কাছে এবং তা অযতœ ও অবহেলায় ছিল।

তিন দশকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ট্রাম্প হয়তো এবার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। মধ্য মার্চের আগেই সেটি সম্ভব। নেভাদা ককাস জয়ের পর সাউথ ক্যারোলিনা প্রাইমারি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি, মিশিগান ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং এরপর একসঙ্গে ১৬টি স্টেট, ৫ মার্চ সুপার টুইসডে। এই স্টেটগুলো হচ্ছে : আলাবামা, আরকানসাস, আলাস্কা, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, আইওয়া, মেইন, ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, নর্থ ক্যারোলিনা, টেক্সাস, উত্তাহ, ভারমন্ট ও ভার্জিনিয়া। এতে প্রায় সবগুলো স্টেটে ট্রাম্প জয় পেতে পারেন। নিকি হেলির হয়তো সুপার টুইসডে পর্যন্ত রেসে থাকছেন।

গুরুত্বহীন নেভাদা প্রাইমারিতে (৬ই ফেব্রুয়ারি) নিকি হেলি মান-ইজ্জ্বত খুইয়েছেন। ট্রাম্প সেখানে প্রার্থী ছিলেন না, তবু নিকি হেলি দ্বিতীয় হয়েছেন। প্রথম হয়েছে ‘নান’? ব্যালটে একটি ঘর ছিল, ‘নান, ওপরের কোনো প্রার্থী না’Ñ এই নান-এ ভোট পড়েছে ৬৩.২%, হেলি পেয়েছেন ৩০.৫%। রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেহান্দ্রো মায়োর্কাসকে অভিশংসন করতে ব্যর্থ হয়েছে। হাউসে ভোটে তা পাশ হয়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হোয়াইট হাউস এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে পলিসি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবে আলেহান্দ্রো কোনো অপরাধ করেননি।

[লেখক : আমেরিকা প্রবাসী]

জনসংখ্যা : সম্পদ না সংকট?

ব্রিকসে নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

আষাঢ়ী পূর্ণিমা : আত্মশুদ্ধির সাধনায় বুদ্ধের অনন্ত আলো

বদলে যাওয়া মাটিতে সাহসী বীজ : জলবায়ুর বিপরীতে বাংলাদেশের কৃষির অভিযোজনগাথা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থান-গাথা : ‘শিকলে নাহি দিব ধরা’

প্রাচীন যৌধেয় জাতি ও তাদের সাম্যবাদী শাসন

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

tab

উপ-সম্পাদকীয়

ট্রাম্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন, তবে পথ মসৃণ নয়

শিতাংশু গুহ

image

ডোনাল্ড ট্রাম্প

রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঝড়ের বেগে রিপাবলিকান দলীয় মনোনয়নের পেতে চলেছেন, কিন্তু তার যাত্রাপথ ততটা মসৃণ নয়। প্রতিটি পদক্ষেপে ডেমক্রেটরা তাকে ঠেকাতে উদ্যত। ব্যালটে আদৌ তার নাম থাকবে কিনা সেই সংশয় আছে। না থাকলে কী হবে? ট্রাম্প যদি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে কী হবে? ইলিনয়েস ও নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে ব্যালটে ট্রাম্পের নাম রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে নির্বাচনী বোর্ড। সুপ্রিমকোর্ট কি ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করবে? তাহলে কি ট্রাম্প সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে? দায়িত্ব এড়িয়ে সুপ্রিমকোর্ট কি বিষয়টি কংগ্রেসের ওপর ছেড়ে দেবে? এসব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই ঘটুক, ট্রাম্প বিপদে আছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন হটাৎ মারা গেলে কী হবে? সংবিধান অনুযায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন। হ্যারিস প্রাইমারি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন। সেক্ষেত্রে অন্য প্রার্থীরা মাঠে নামবেন। প্রাইমারি চলা অবস্থায় প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বিভিন্ন স্টেট প্রাইমারি বন্ধ রাখতে পারে, যেমনটা করেছিল কোভিড-১৯’র সময়। প্রাইমারির শেষে, অথচ ডেমক্রেটিক কনভেনশনের আগে প্রেসিডেন্ট মারা গেলে দলীয় নেতারা নমিনেশন চাইতে পারেন, সেক্ষেত্রে দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট যদি দলীয় মনোনয়ন লাভের পর, অথচ নির্বাচনের আগে মারা যান, সেক্ষত্রে ডেমক্রেট ও রিপাবলিকানদের স্পষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী দল নতুন প্রার্থী দেবে।

আপিল বিভাগে ট্রাম্প আবেদন করেছিলেন যে, ৬ জানুয়ারি ২০২০ তিনি যা করেছেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে করেছেন এবং সেটি বিচার করার এখতিয়ার আদালতের নেই, তাই তার বিচার হতে পারে না। তিনজন বিচারক নিয়ে গঠিত আপিল বিভাগ গত মঙ্গলবার সর্বসম্মতভাবে রায় দিয়েছেন যে, হোয়াইট হাউসের সাবেক বাসিন্দা বিচারের ঊর্ধ্বে নন, সুতরাং ট্রাম্পের বিচার চলতে পারে। আদালত আপিলের সুযোগ রেখেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সুপ্রিমকোর্টে আপিল করবেন। আপিল বিভাগ সুপ্রিমকোর্টের ঠিক একধাপ নিচের আদালত। ট্রাম্পের ভাগ্য এখন সুপ্রিমকোর্টের ওপর নির্ভরশীল।

ক্লাসিফাইড ডক্যুমেন্ট অযতœ ও অবহেলায় রাখা, ও হস্তান্তরে বিঘœ সৃষ্টির দায়ে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়। একই অপরাধে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না। ওয়াশিংটন টাইমস গত মঙ্গলবার জানায়, স্পেশাল কাউন্সিল রবার্ট হুড় নথিপত্র অবহেলায় বাইডেনের ওপর বিরক্ত, তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করছেন না। ট্রাম্প এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ডক্যুমেন্ট ছিল বাইডেনের কাছে এবং তা অযতœ ও অবহেলায় ছিল।

তিন দশকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ট্রাম্প হয়তো এবার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। মধ্য মার্চের আগেই সেটি সম্ভব। নেভাদা ককাস জয়ের পর সাউথ ক্যারোলিনা প্রাইমারি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি, মিশিগান ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং এরপর একসঙ্গে ১৬টি স্টেট, ৫ মার্চ সুপার টুইসডে। এই স্টেটগুলো হচ্ছে : আলাবামা, আরকানসাস, আলাস্কা, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, আইওয়া, মেইন, ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, নর্থ ক্যারোলিনা, টেক্সাস, উত্তাহ, ভারমন্ট ও ভার্জিনিয়া। এতে প্রায় সবগুলো স্টেটে ট্রাম্প জয় পেতে পারেন। নিকি হেলির হয়তো সুপার টুইসডে পর্যন্ত রেসে থাকছেন।

গুরুত্বহীন নেভাদা প্রাইমারিতে (৬ই ফেব্রুয়ারি) নিকি হেলি মান-ইজ্জ্বত খুইয়েছেন। ট্রাম্প সেখানে প্রার্থী ছিলেন না, তবু নিকি হেলি দ্বিতীয় হয়েছেন। প্রথম হয়েছে ‘নান’? ব্যালটে একটি ঘর ছিল, ‘নান, ওপরের কোনো প্রার্থী না’Ñ এই নান-এ ভোট পড়েছে ৬৩.২%, হেলি পেয়েছেন ৩০.৫%। রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেহান্দ্রো মায়োর্কাসকে অভিশংসন করতে ব্যর্থ হয়েছে। হাউসে ভোটে তা পাশ হয়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হোয়াইট হাউস এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে পলিসি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবে আলেহান্দ্রো কোনো অপরাধ করেননি।

[লেখক : আমেরিকা প্রবাসী]

back to top