alt

উপ-সম্পাদকীয়

ছয় বছরের অর্জন ও প্রত্যাশা

মোস্তাফা জব্বার

: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের অনেক অর্জন রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে বিগত ছয় বছরের উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছেÑ

১২ মে ২০১৮ তারিখ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ।

২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ফোর-জি বেতার তরঙ্গ নিলাম এবং ২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইল অপারেটরদের ফোর-জি লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ফোর-জি সেবা চালু।

গত ৬ জুন ২০২১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে একদেশ এক রেট চালু করা হয়।

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল, হাওর, বিল, চর, পাহাড়, উপকূলীয় ও দ্বীপ এলাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ।

মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে গত ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ৪টি কোম্পানিকে মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

মোবাইল নেটওয়ার্ক পোর্টেবিলিটি সুবিধা চালু।

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ-অবজারভেটরি স্যাটেলাইট চালুর প্রক্রিয়া গ্রহণ।

২০১৮ সালের নভেম্বরে টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয় সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা এসএমপি নীতিমালা।

ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় করণীয় নির্ধারণ।

সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্সের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন।

বাংলা এসএমএস দিতে মোবাইল অপারেটরদের বাধ্য করা।

বাংলা এসএমএস এর মূল্য অর্ধেক করা হয়।

সুবিধা বঞ্চিত, দুর্গম এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য এলাকার পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাবঞ্চিত বিভিন্ন অঞ্চলের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রসহ মোট ৬৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯৭৮টি শ্রেণিকক্ষে ট্যাব, ল্যাপটপ, স্মার্ট ডিসপ্লে ডিভাইস সহযোগে ডিজিটাল ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ছাত্র-াত্রীদের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

১৫০ টাকায় বিটিসিএল ল্যান্ড ফোনে যতখুশি তত কথা বলা চালু লাইনরেন্ট মওকুফ এবং ৫২ পয়সা মিনিটে অন্য অপারেটরে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট এ সেবাটি চালু করা হয়।

বিনামূল্যে দেশের ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি-ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কার্যক্রম আমরা বাস্তবায়ন করা হয়।

২০২১ সালে আইএসপি নীতিমালা প্রণয়ন। এর ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

মোবাইল ফোনের নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতিমালার পাশাপাশি সর্বশেষ ২০১৮ সালের পর ২০২১ সালের ৮ মার্চ নিলামে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়।

কোভিডকালে মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শতভাগ টাওয়ার ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।

যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে স্যামসাং ও শাওমিসহ দেশে ১৫টি মোবাইল কোম্পানি স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এর ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে মেড-ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের ফাইভজি মোবাইল রপ্তানি করছে।

বিটিসিএল আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিকম সেবা আধুনিকায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এমওটিএন প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে।

সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউদথ বহনের জন্য ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে বিটিসিএল ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেডের (প্রটেকশন) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যমান ৪০ জিবিপিএস ক্ষমতার বর্তমান অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন লিংককে ২৪০ জিবিপিএস ক্ষমতায় রূপান্তর করা হয়েছে।

৫০০টি উপজেলা ও সাব-পোস্টঅফিস এবং ৮,০০০টি গ্রামীণ অবিভাগীয় শাখা ডাকঘরকে পোস্ট ডিজিটাল-সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। দ্রুত ও নিরাপদে ডাক সেবা প্রদানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মেইল ও ক্যাশ পরিবহনের জন্য ১১৮টি মেইল গাড়ি ডাক পরিবহন বহরে যুক্ত করা এবং এবং ৩৩টি গ্যারেজ নির্মাণ করা হয়ছে। পোস্ট ডি-কমার্স সার্ভিস প্রদান কার্যক্রম ডাক অধিদপ্তরের নতুন সেবা কার্যক্রম হিসেবে চালু করা হয়েছে।

ডাক অধিদপ্তরের অবিভাগীয় ডাক কর্মচারীদের বেতন শতকরা ৭৭ ভাগ বেতন বৃদ্ধি। ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ থেকে ২৩ হাজার অবিভাগীয় ডাক কর্মচারী এ সুবিধা পাচ্ছেন।

ডাক বিভাগ কর্তৃক মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিস নগদ এবং ডিজিটাল ডাক টাকা চালু করা হয়েছে।

ডাক সেবাকে ডিজিটাল ডাক সেবায় রূপান্তরের মাধ্যমে ডাক বিভাগের অবকাঠামোকে কার্যকর ডিজিটাল কমার্সের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

টেলিফোন শিল্প সংস্থা ডিজিটাল ডিভাইস নির্মাণের উপযোগী করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

টেলিটক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ ও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিটকের সঙ্গে বাংলা লিংকের জাতীয় রোমিং ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এর ফলে বাংলালিংকের ১৬শতাধিক টাওয়ারে টেলিটক সার্ভিস সুবিধা সম্ভব।

২৪ হাজার পর্নো সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করাসহ ফেসবুক-ইউটিউবে যে ধরনের পর্নো সংক্রান্ত বা নোংরা-অশ্লীল তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয় সেগুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক ইউনিয়ন পর্যন্ত টেলিটকের ৪জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, টেলিটক নেটওয়ার্কে ৫জি প্রযুক্তি চালুকরণ, টেলিটকের নেটওয়ার্কেও সেবার মান উন্নয়নে ৬০০টি বিটিএস সাইটে ডিসি পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের ধারণক্ষসক্ষমতা বৃদ্ধি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে।

আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। আইপিভি ৪ ও আইপিভি ৬ অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যাবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপনে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) মাধ্যমে ১৫২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ৫০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের অধীন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, টেলিটকের মাধ্যমে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে ব্রডব্য- নেটওয়ার্ক স্থাপন, বিটিসিএলের মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর-বাঁওড় ও প্রত্যন্ত ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই সম্প্রসারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

গত ৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখ বিটিআরসি কর্তৃক মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।

জাতীয় জরুরি ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ : যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে জাতীয় জরুরি ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। দুর্যোগকালীন ব্যবহারের জন্য কমার্শিয়াল সেলুলার নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগকালীন ব্যবহারের জন্য আপৎকালীন পৃথক সেলুলার নেটওয়ার্ক স্থাপন, পোর্টেবল আইএমটি সলিউশন, স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার এবং প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ড্রোন ব্যবহার এবং টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্তকরণ ইত্যাদি বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য।

লক্ষ্য ও পরিকল্পনা :

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ডিজিটাল সংযোগ (কানেক্টিভিটি)। দেশের প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হবে।

দেশব্যাপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফাইভজি সংযোগ চালু করা হবে।

মহাকাশে আর্থ-অবজারভেটরি স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ প্রেরণ করা হবে।

মহাকাশে ডাটাভিত্তিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-৩ প্রেরণের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।

ডাক ব্যবস্থা ডিজিটাইজশন সম্পন্ন করে স্মার্ট ডাকঘরে রূপান্তর করা হবে।

দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের মাধ্যমে ব্যান্ডউদথ ৩০,০০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হবে।

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, রোবট, আইওটিসহ সবাই প্রকার ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশে স্বল্পমূল্যে গুণগতমানের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার ডিটেকশন সেন্টার প্রযুক্তির সর্বশেষ ভার্সনের মাধ্যমে শক্তিশালী করার মাধ্যমে যে কোন সাইবার হুমকি মোকাবেলার সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে।

গ্রাহক স্বার্থে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করে তা মেয়াদবিহীন করা হবে।

কার্যকর ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল লিটারেসি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হবে।

তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সফটওয়্যার দেশে তৈরি ও দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহারে জোর দেয়া হবে।

সরকারি-বেসরকারি সব কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির জন্য সামগ্রিক ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা হবে অর্থাৎ সব কর্মকা- হতে হবে চবৎংড়হধষরুবফ, চধঢ়বৎষবংং, ঈধংযষবংং, চৎবংবহপব ষবংং, ঋৎরপঃরড়হষবংং এবং ঈড়হংবহঃ-নধংবফ. সর্বজনীন সংযোগ অর্থ সব ব্যক্তির জন্য নয়।

স্মার্টফোন ও কম্পিউটারসহ গ্রাহক প্রান্তের যন্ত্রপাতি মাথাপিছু আয় অনুযায়ী এখনও যথেষ্ট সাশ্রয়ী নয়। দেশের শতভাগ স্কুল, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করা হবে।

প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, ঝপরবহপব, ঞবপযহড়ষড়মু, ঊহমরহববৎরহম, গধঃযবসধঃরপং (ঝঞঊগ) শিক্ষার মাধ্যমে ট্যালেন্টপুল সৃজন, স্থানীয় নেটওয়ার্ক ও গ্রাহক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম উৎপাদন, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বৈষম্য নিরসন করা হবে।

ডিজিটাল সংযোগ এবং ব্যবহারের বিভিন্ন সূচকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে বিভিন্ন সূচকে (যেমন- ডঊঋ-ঘবঃড়িৎশ জবধফরহবংং ওহফবী, টঘ-ঊ-এড়াবৎহসবহঃ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ওহফবী, ওঞট ওঈঞ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ওহফবী-এর বিভিন্ন উপসূচকে উল্লিখিত) ব্যবধান কমানো হবে।

[লেখক : সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কিবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক]

বিয়ের কিছু লোকাচার ও অপব্যয় প্রসঙ্গে

ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে রক্ষা করুন

তরুণদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব

শিশুমৃত্যু রোধে করণীয় কী

সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও মনঃসমীক্ষণ

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ও বাস্তবতা

স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরবর্তী বিয়ের আইনি প্রতিকার ও বাস্তবতা

তথ্য-উপাত্তের গরমিলে বাজারে অস্থিরতা, অর্থনীতিতে বিভ্রান্তি

দেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব

ইরানে কট্টরপন্থার সাময়িক পরাজয়

পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থার ভবিষ্যৎ কী

ক্ষমতার সাতকাহন

জলবায়ু সংকট : আমাদের উপলব্ধি

নারী-পুরুষ চুড়ি পরি, দেশের অন্যায় দূর করি!

ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবার

ছবি

সাধারণ মানুষেরা বড় অসাধারণ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও কারিগরি শিক্ষা

মাদক রুখতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ

পারিবারিক অপরাধপ্রবণতা ও কয়েকটি প্রশ্ন

ডারউইনকে খুঁজে পেয়েছি

চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফসল উৎপাদন করা জরুরি

পিএসসি প্রশ্নফাঁসের দায় এড়াবে কীভাবে

এত উন্নয়নের পরও বাসযোগ্যতায় কেন পিছিয়েই থাকছে ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য কি কেউ নেই?

জলবায়ু রক্ষায় কাজের কাজ কি কিছু হচ্ছে

অধরার হাতে সমর্পিত ক্ষমতা

প্রসঙ্গ : কোটাবিরোধী আন্দোলন

রম্যগদ্য : যে করিবে চালাকি, বুঝিবে তার জ্বালা কী

একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার পরিণতি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কেন শ্রেণীকক্ষের বাইরে

মেধা নিয়ে কম মেধাবীর ভাবনা

প্রজাতন্ত্রের সেবক কেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বনে যান

ছবি

বাইডেন কি দলে বোঝা হয়ে যাচ্ছেন?

ছবি

দুই যুগের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাপ উপকারী প্রাণীও বটে!

ছবি

বাস্তববাদী রাজনীতিক জ্যোতি বসু

tab

উপ-সম্পাদকীয়

ছয় বছরের অর্জন ও প্রত্যাশা

মোস্তাফা জব্বার

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের অনেক অর্জন রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে বিগত ছয় বছরের উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছেÑ

১২ মে ২০১৮ তারিখ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ।

২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ফোর-জি বেতার তরঙ্গ নিলাম এবং ২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইল অপারেটরদের ফোর-জি লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ফোর-জি সেবা চালু।

গত ৬ জুন ২০২১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে একদেশ এক রেট চালু করা হয়।

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল, হাওর, বিল, চর, পাহাড়, উপকূলীয় ও দ্বীপ এলাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ।

মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে গত ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ৪টি কোম্পানিকে মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

মোবাইল নেটওয়ার্ক পোর্টেবিলিটি সুবিধা চালু।

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ-অবজারভেটরি স্যাটেলাইট চালুর প্রক্রিয়া গ্রহণ।

২০১৮ সালের নভেম্বরে টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয় সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা এসএমপি নীতিমালা।

ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় করণীয় নির্ধারণ।

সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্সের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন।

বাংলা এসএমএস দিতে মোবাইল অপারেটরদের বাধ্য করা।

বাংলা এসএমএস এর মূল্য অর্ধেক করা হয়।

সুবিধা বঞ্চিত, দুর্গম এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য এলাকার পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাবঞ্চিত বিভিন্ন অঞ্চলের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রসহ মোট ৬৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯৭৮টি শ্রেণিকক্ষে ট্যাব, ল্যাপটপ, স্মার্ট ডিসপ্লে ডিভাইস সহযোগে ডিজিটাল ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ছাত্র-াত্রীদের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

১৫০ টাকায় বিটিসিএল ল্যান্ড ফোনে যতখুশি তত কথা বলা চালু লাইনরেন্ট মওকুফ এবং ৫২ পয়সা মিনিটে অন্য অপারেটরে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট এ সেবাটি চালু করা হয়।

বিনামূল্যে দেশের ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি-ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কার্যক্রম আমরা বাস্তবায়ন করা হয়।

২০২১ সালে আইএসপি নীতিমালা প্রণয়ন। এর ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

মোবাইল ফোনের নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতিমালার পাশাপাশি সর্বশেষ ২০১৮ সালের পর ২০২১ সালের ৮ মার্চ নিলামে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়।

কোভিডকালে মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শতভাগ টাওয়ার ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।

যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে স্যামসাং ও শাওমিসহ দেশে ১৫টি মোবাইল কোম্পানি স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এর ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে মেড-ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের ফাইভজি মোবাইল রপ্তানি করছে।

বিটিসিএল আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিকম সেবা আধুনিকায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এমওটিএন প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে।

সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউদথ বহনের জন্য ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে বিটিসিএল ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেডের (প্রটেকশন) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যমান ৪০ জিবিপিএস ক্ষমতার বর্তমান অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন লিংককে ২৪০ জিবিপিএস ক্ষমতায় রূপান্তর করা হয়েছে।

৫০০টি উপজেলা ও সাব-পোস্টঅফিস এবং ৮,০০০টি গ্রামীণ অবিভাগীয় শাখা ডাকঘরকে পোস্ট ডিজিটাল-সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। দ্রুত ও নিরাপদে ডাক সেবা প্রদানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মেইল ও ক্যাশ পরিবহনের জন্য ১১৮টি মেইল গাড়ি ডাক পরিবহন বহরে যুক্ত করা এবং এবং ৩৩টি গ্যারেজ নির্মাণ করা হয়ছে। পোস্ট ডি-কমার্স সার্ভিস প্রদান কার্যক্রম ডাক অধিদপ্তরের নতুন সেবা কার্যক্রম হিসেবে চালু করা হয়েছে।

ডাক অধিদপ্তরের অবিভাগীয় ডাক কর্মচারীদের বেতন শতকরা ৭৭ ভাগ বেতন বৃদ্ধি। ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ থেকে ২৩ হাজার অবিভাগীয় ডাক কর্মচারী এ সুবিধা পাচ্ছেন।

ডাক বিভাগ কর্তৃক মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিস নগদ এবং ডিজিটাল ডাক টাকা চালু করা হয়েছে।

ডাক সেবাকে ডিজিটাল ডাক সেবায় রূপান্তরের মাধ্যমে ডাক বিভাগের অবকাঠামোকে কার্যকর ডিজিটাল কমার্সের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

টেলিফোন শিল্প সংস্থা ডিজিটাল ডিভাইস নির্মাণের উপযোগী করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

টেলিটক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ ও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিটকের সঙ্গে বাংলা লিংকের জাতীয় রোমিং ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এর ফলে বাংলালিংকের ১৬শতাধিক টাওয়ারে টেলিটক সার্ভিস সুবিধা সম্ভব।

২৪ হাজার পর্নো সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করাসহ ফেসবুক-ইউটিউবে যে ধরনের পর্নো সংক্রান্ত বা নোংরা-অশ্লীল তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয় সেগুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক ইউনিয়ন পর্যন্ত টেলিটকের ৪জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, টেলিটক নেটওয়ার্কে ৫জি প্রযুক্তি চালুকরণ, টেলিটকের নেটওয়ার্কেও সেবার মান উন্নয়নে ৬০০টি বিটিএস সাইটে ডিসি পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের ধারণক্ষসক্ষমতা বৃদ্ধি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে।

আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। আইপিভি ৪ ও আইপিভি ৬ অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যাবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপনে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) মাধ্যমে ১৫২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ৫০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের অধীন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, টেলিটকের মাধ্যমে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে ব্রডব্য- নেটওয়ার্ক স্থাপন, বিটিসিএলের মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর-বাঁওড় ও প্রত্যন্ত ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই সম্প্রসারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

গত ৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখ বিটিআরসি কর্তৃক মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।

জাতীয় জরুরি ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ : যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে জাতীয় জরুরি ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। দুর্যোগকালীন ব্যবহারের জন্য কমার্শিয়াল সেলুলার নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগকালীন ব্যবহারের জন্য আপৎকালীন পৃথক সেলুলার নেটওয়ার্ক স্থাপন, পোর্টেবল আইএমটি সলিউশন, স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার এবং প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ড্রোন ব্যবহার এবং টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্তকরণ ইত্যাদি বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য।

লক্ষ্য ও পরিকল্পনা :

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ডিজিটাল সংযোগ (কানেক্টিভিটি)। দেশের প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হবে।

দেশব্যাপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফাইভজি সংযোগ চালু করা হবে।

মহাকাশে আর্থ-অবজারভেটরি স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ প্রেরণ করা হবে।

মহাকাশে ডাটাভিত্তিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-৩ প্রেরণের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।

ডাক ব্যবস্থা ডিজিটাইজশন সম্পন্ন করে স্মার্ট ডাকঘরে রূপান্তর করা হবে।

দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের মাধ্যমে ব্যান্ডউদথ ৩০,০০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হবে।

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, রোবট, আইওটিসহ সবাই প্রকার ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশে স্বল্পমূল্যে গুণগতমানের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার ডিটেকশন সেন্টার প্রযুক্তির সর্বশেষ ভার্সনের মাধ্যমে শক্তিশালী করার মাধ্যমে যে কোন সাইবার হুমকি মোকাবেলার সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে।

গ্রাহক স্বার্থে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করে তা মেয়াদবিহীন করা হবে।

কার্যকর ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল লিটারেসি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হবে।

তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সফটওয়্যার দেশে তৈরি ও দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহারে জোর দেয়া হবে।

সরকারি-বেসরকারি সব কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির জন্য সামগ্রিক ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা হবে অর্থাৎ সব কর্মকা- হতে হবে চবৎংড়হধষরুবফ, চধঢ়বৎষবংং, ঈধংযষবংং, চৎবংবহপব ষবংং, ঋৎরপঃরড়হষবংং এবং ঈড়হংবহঃ-নধংবফ. সর্বজনীন সংযোগ অর্থ সব ব্যক্তির জন্য নয়।

স্মার্টফোন ও কম্পিউটারসহ গ্রাহক প্রান্তের যন্ত্রপাতি মাথাপিছু আয় অনুযায়ী এখনও যথেষ্ট সাশ্রয়ী নয়। দেশের শতভাগ স্কুল, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করা হবে।

প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, ঝপরবহপব, ঞবপযহড়ষড়মু, ঊহমরহববৎরহম, গধঃযবসধঃরপং (ঝঞঊগ) শিক্ষার মাধ্যমে ট্যালেন্টপুল সৃজন, স্থানীয় নেটওয়ার্ক ও গ্রাহক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম উৎপাদন, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বৈষম্য নিরসন করা হবে।

ডিজিটাল সংযোগ এবং ব্যবহারের বিভিন্ন সূচকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে বিভিন্ন সূচকে (যেমন- ডঊঋ-ঘবঃড়িৎশ জবধফরহবংং ওহফবী, টঘ-ঊ-এড়াবৎহসবহঃ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ওহফবী, ওঞট ওঈঞ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ওহফবী-এর বিভিন্ন উপসূচকে উল্লিখিত) ব্যবধান কমানো হবে।

[লেখক : সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কিবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক]

back to top