মোশারফ হোসেন
নারীর পরিচয় শুধুমাত্র মা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নারী বিভিন্ন কর্মকা-ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। যোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছে শিক্ষা-দীক্ষায় দক্ষতা ধৈর্য সহনশীলতায় অকৃত্রিম ভালোবাসায় আপদকালীন সময়ে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রে তার ত্যাগ-তিতিক্ষা দুর্যোগ মহামারিতে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। প্রাকৃতিক, জৈবিক, সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ইতিবাচক রূপান্তরে বা বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নারী জড়িয়ে আছে আবহমানকাল থেকেই।
যে সমাজে মেয়েদেরও ক্ষমতায়ন যত বেশি হয়েছে, সে সমাজ তত বেশি উন্নত হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। নারী শিক্ষা ও তাদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্থাৎ মানবিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অংশগ্রহণ ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়-বরণীয়।
দেশের কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি, পোশাক শিল্প, অনলাইন ব্যবসায়, করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায়, করোেনাকালীন অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ উন্নয়ন অগ্রগতিতে নারীর অবদান অপরিসীম। নারীরা শুধু যে কৃষি সভ্যতার ভিত তৈরি করেছিলো তা কিন্তু নয় বরং সবুজ প্রকৃতিকে তার নিজস্ব সম্ভারে টিকিয়ে রাখতে চাষাবাদ পদ্ধতিতে নিজেদের যুগান্তকারী অবদান আজ অবধি রেখে যাচ্ছেন।
শিশু হচ্ছে আগামীর প্রজন্মের ধারক। শিশু মানেই নিষ্পাপ, ঝলমলে মুখ, মায়াময়, ভুবন ভুলানো হাসি, আকর্ষণ ও অপার সম্ভাবনার আধার।
জাতির কর্ণধার আজকের শিশুরাই আগামীর দিনগুলোতে দেশ তথা বিশ্ব পরিম-লে নেতৃত্ব দিবে। দেশ ছেড়ে বিশ্বদরবারে দায়িত্বশীলতার গুরুদায়িত্ব পালনের ব্রত নিয়ে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হবে। দেশমাতৃকার আপন মহিমায় মহিমান্বিত হবে। আত্মপ্রত্যয়ী শিশুটি শুধু বাবা-মা, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রেরই সম্পদ নয় বরং সমগ্র বিশ্বের সম্পদ। শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ নিশ্চিত হলে শিশুর মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভারবিকাশ হবে। আর শিশুর উপযুক্ত পরিবেশ তথা বাসযোগ্য করা অর্থাৎ শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল বিকাশ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্তমান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হলে শিশুদের প্রতি অবহেলা, ওদের প্রতি বঞ্চনা করা যাবে না।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্থাৎ মানবিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অংশগ্রহণ ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়-বরণীয়। দেশের কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি, পোশাক শিল্প, অনলাইন ব্যবসায়, করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায়, করোেনাকালীন অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ উন্নয়ন অগ্রগতিসহবেগম রোকেয়া যথার্থই বলেছেন- ‘কন্যাগুলোকে সুশিক্ষিতা করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও; নিজের অন্ন-বস্ত্র উপার্জন করুক।সময় বদলাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। সমাজের প্রতিা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে এভাবে সমতাবিধান সম্ভব হলে, নারীর ক্ষমতায়ন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে পরিবার পরিকল্পনায় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভোটদানের ক্ষেত্রে সামরিকবাহিনীতে কাজ। দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক মানবিক কর্মকা-ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নারী সমাজ।’
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগের কারণে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন দুর্যোগ পরবর্তী, দুর্যোগকালীন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দুর্যোগ পরবর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে নারী এবং শিশু সুযোগসুবিধা থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়ে থাকে, বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্যাপক সচেতনতা, প্রশিক্ষণ তথ্য সমৃদ্ধিকরণ সময় উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত নারী, প্রতিবন্ধী নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু শিশুদের পুনর্বাসন করা খুব জরুরি। শিশু খাদ্য বাসস্থান পয়ঃপ্রণালি ব্যবস্থা প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে গর্ভ পূর্ববর্তী, গর্ভকালীন, গর্ভ পরবর্তী ও প্রসূতি মা এবং নবজাতকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা যেমন, ব্রেস্টফিডিং কর্নার, পিরিয়ডকালীন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ প্রাপ্তিতে সহজ সহায়ক এবং ব্যবহার্য বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
নারীর ও শিশুর মনোসামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অস্বীকৃত কাজের স্বীকৃতি দান এবং অধিকার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্যোগের আগাম বার্তা জানতে বিভিন্ন প্রযুক্তির আশ্রয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্য সহোযোগিতায় বার্তার ভাষা বোধগম্য হতে হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন ঝুঁকি সচেতন কর্মসূচি, গবেষণা তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে সম্পষ্ট ধারণা পেতে পারে এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই নারী ও শিশু সুরক্ষিত থাকবে।
নারী ও শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়। নারীর ও শিশুর অধিকার সুপ্রতিষ্ঠত হলে অনাবিল সুখসমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে বিশ্ব সমাজে মানবতার জয় হবেÑ এটাই প্রত্যাশা।
[লেখক : প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা]
মোশারফ হোসেন
সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
নারীর পরিচয় শুধুমাত্র মা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নারী বিভিন্ন কর্মকা-ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। যোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছে শিক্ষা-দীক্ষায় দক্ষতা ধৈর্য সহনশীলতায় অকৃত্রিম ভালোবাসায় আপদকালীন সময়ে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রে তার ত্যাগ-তিতিক্ষা দুর্যোগ মহামারিতে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। প্রাকৃতিক, জৈবিক, সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ইতিবাচক রূপান্তরে বা বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নারী জড়িয়ে আছে আবহমানকাল থেকেই।
যে সমাজে মেয়েদেরও ক্ষমতায়ন যত বেশি হয়েছে, সে সমাজ তত বেশি উন্নত হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। নারী শিক্ষা ও তাদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্থাৎ মানবিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অংশগ্রহণ ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়-বরণীয়।
দেশের কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি, পোশাক শিল্প, অনলাইন ব্যবসায়, করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায়, করোেনাকালীন অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ উন্নয়ন অগ্রগতিতে নারীর অবদান অপরিসীম। নারীরা শুধু যে কৃষি সভ্যতার ভিত তৈরি করেছিলো তা কিন্তু নয় বরং সবুজ প্রকৃতিকে তার নিজস্ব সম্ভারে টিকিয়ে রাখতে চাষাবাদ পদ্ধতিতে নিজেদের যুগান্তকারী অবদান আজ অবধি রেখে যাচ্ছেন।
শিশু হচ্ছে আগামীর প্রজন্মের ধারক। শিশু মানেই নিষ্পাপ, ঝলমলে মুখ, মায়াময়, ভুবন ভুলানো হাসি, আকর্ষণ ও অপার সম্ভাবনার আধার।
জাতির কর্ণধার আজকের শিশুরাই আগামীর দিনগুলোতে দেশ তথা বিশ্ব পরিম-লে নেতৃত্ব দিবে। দেশ ছেড়ে বিশ্বদরবারে দায়িত্বশীলতার গুরুদায়িত্ব পালনের ব্রত নিয়ে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হবে। দেশমাতৃকার আপন মহিমায় মহিমান্বিত হবে। আত্মপ্রত্যয়ী শিশুটি শুধু বাবা-মা, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রেরই সম্পদ নয় বরং সমগ্র বিশ্বের সম্পদ। শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ নিশ্চিত হলে শিশুর মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভারবিকাশ হবে। আর শিশুর উপযুক্ত পরিবেশ তথা বাসযোগ্য করা অর্থাৎ শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল বিকাশ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্তমান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হলে শিশুদের প্রতি অবহেলা, ওদের প্রতি বঞ্চনা করা যাবে না।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্থাৎ মানবিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অংশগ্রহণ ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়-বরণীয়। দেশের কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি, পোশাক শিল্প, অনলাইন ব্যবসায়, করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায়, করোেনাকালীন অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ উন্নয়ন অগ্রগতিসহবেগম রোকেয়া যথার্থই বলেছেন- ‘কন্যাগুলোকে সুশিক্ষিতা করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও; নিজের অন্ন-বস্ত্র উপার্জন করুক।সময় বদলাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। সমাজের প্রতিা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে এভাবে সমতাবিধান সম্ভব হলে, নারীর ক্ষমতায়ন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে পরিবার পরিকল্পনায় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভোটদানের ক্ষেত্রে সামরিকবাহিনীতে কাজ। দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক মানবিক কর্মকা-ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নারী সমাজ।’
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগের কারণে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন দুর্যোগ পরবর্তী, দুর্যোগকালীন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দুর্যোগ পরবর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে নারী এবং শিশু সুযোগসুবিধা থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়ে থাকে, বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্যাপক সচেতনতা, প্রশিক্ষণ তথ্য সমৃদ্ধিকরণ সময় উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত নারী, প্রতিবন্ধী নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু শিশুদের পুনর্বাসন করা খুব জরুরি। শিশু খাদ্য বাসস্থান পয়ঃপ্রণালি ব্যবস্থা প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে গর্ভ পূর্ববর্তী, গর্ভকালীন, গর্ভ পরবর্তী ও প্রসূতি মা এবং নবজাতকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা যেমন, ব্রেস্টফিডিং কর্নার, পিরিয়ডকালীন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ প্রাপ্তিতে সহজ সহায়ক এবং ব্যবহার্য বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
নারীর ও শিশুর মনোসামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অস্বীকৃত কাজের স্বীকৃতি দান এবং অধিকার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্যোগের আগাম বার্তা জানতে বিভিন্ন প্রযুক্তির আশ্রয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্য সহোযোগিতায় বার্তার ভাষা বোধগম্য হতে হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন ঝুঁকি সচেতন কর্মসূচি, গবেষণা তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে সম্পষ্ট ধারণা পেতে পারে এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই নারী ও শিশু সুরক্ষিত থাকবে।
নারী ও শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়। নারীর ও শিশুর অধিকার সুপ্রতিষ্ঠত হলে অনাবিল সুখসমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে বিশ্ব সমাজে মানবতার জয় হবেÑ এটাই প্রত্যাশা।
[লেখক : প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা]